আমরা সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ। তারা ছিল এক সম্প্রদায়-যারা গত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদেরই জন্যে। তারা কি করত, সে সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না।
That was a nation who has passed away. They shall receive the reward of what they earned and you of what you earn. And you will not be asked of what they used to do.
تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ وَلاَ تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ
Tilka ommatun qad khalat laha ma kasabat walakum ma kasabtum wala tus-aloona AAamma kano yaAAmaloona
YUSUFALI: That was a people that hath passed away. They shall reap the fruit of what they did, and ye of what ye do! Of their merits there is no question in your case!
PICKTHAL: Those are a people who have passed away. Theirs is that which they earned, and yours is that which ye earn. And ye will not be asked of what they used to do.
SHAKIR: This is a people that have passed away; they shall have what they earned and you shall have what you earn, and you shall not be called upon to answer for what they did.
KHALIFA: Such is a community from the past. They are responsible for what they earned, and you are responsible for what you earned. You are not answerable for anything they have done.
১৩৪। সেই ছিলো এক সম্প্রদায় যারা গত হয়েছে। তারা যা করেছে তার ফল তারা লাভ করবে এবং তোমরা যা করবে তা তোমাদের। তাদের যোগ্যতা সম্বন্ধে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে না ১৩৩।
১৩৩। শেষ বিচারের দিনে প্রত্যেককেই তার নিজ নিজ কর্মফল সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হবে। ব্যক্তিগত কর্মের এবং কর্মের নিয়ত দ্বারাই তাকে বিচার করা হবে। প্রত্যেক আত্মাকে তার ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব স্বীকার করতে হয়। অন্যজনের পাপ আর একজনকে স্পর্শ করবে না। সেইরূপ অন্যজনের কৃত পূণ্যও আর একজনকে স্পর্শ করবে না। কোনও সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না। হোক সে খৃষ্টানদের বড় পাদ্রী বা মুসলমানদের বড় পীর, কারও সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না।
ইহুদী এবং খৃষ্টানরা বলে তারা হযরত ইব্রাহীমের সন্তান। সুতরাং তারা পরকালে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে। তাদের বিশ্বাস তাদের পূর্ব পুরুষের সুকৃতি তাদের পরকালে মুক্তি দেবে। কিন্তু এই আয়াত [২:১৩৪] থেকে বোঝা যায় যে বাপ-দাদার সৎকর্ম সন্তানের উপকারে আসবে না; যতক্ষণ না তারা নিজে সৎকর্ম সম্পাদন করে। এমনিভাবে বাপ-দাদাদের কুকর্মের শাস্তিও সন্তানেরা ভোগ করবে না; যদি তারা সৎ কর্মশীল হয়। এতে ইহুদীদের যে দাবী-তারা যা খুশী তাই করবে, শুধুমাত্র তারা ইহুদী এবং বাপ-দাদার সৎকর্মের উত্তরাধিকার সেই কারণে তারা বেহেশ্তে যাবে, কুরআনের আলোকে তা ভুল প্রমাণিত। আমাদের মুসলমানদের মধ্যে কিছু লোকের ভ্রান্ত ধারণা আছে যে যারা সৈয়দ পরিবারের, রাসূলের বংশধর দেখে তারা পরকালে বিচারের সম্মুখীন হবে না। কুরআনে এ বিষয়টি বার বার বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ‘প্রত্যেকের আমলের [কাজের] দায়িত্ব তার নিজেকে বহন করতে হবে’। আরও আছে, ‘কিয়ামতের দিন একজনের বোঝা অন্যজন বহন করবে না’। হাদীসে আছে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, ‘হে বনী হাশেম! এমন যেন না হয় যে, কিয়ামতের দিন অন্যান্য লোক নিজ নিজ সৎকর্ম নিয়ে আসবে আর তোমরা আসবে সৎকর্ম থেকে উদাসীন হয়ে শুধু বংশ গৌরব নিয়ে এবং আমি বলবো যে, আল্লাহ্র আযাব থেকে আমি তোমাদের বাঁচাতে পারবো না।’