027.040

কিতাবের জ্ঞান যার ছিল, সে বলল, আপনার দিকে আপনার চোখের পলক ফেলার পূর্বেই আমি তা আপনাকে এনে দেব। অতঃপর সুলায়মান যখন তা সামনে রক্ষিত দেখলেন, তখন বললেন এটা আমার পালনকর্তার অনুগ্রহ, যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন যে, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, না অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে নিজের উপকারের জন্যেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে জানুক যে, আমার পালনকর্তা অভাবমুক্ত কৃপাশীল।
One with whom was knowledge of the Scripture said: ”I will bring it to you within the twinkling of an eye!” then when [Sulaimân (Solomon)] saw it placed before him, he said: ”This is by the Grace of my Lord to test me whether I am grateful or ungrateful! And whoever is grateful, truly, his gratitude is for (the good of) his ownself, and whoever is ungrateful, (he is ungrateful only for the loss of his ownself). Certainly! My Lord is Rich (Free of all wants), Bountiful.”

قَالَ الَّذِي عِندَهُ عِلْمٌ مِّنَ الْكِتَابِ أَنَا آتِيكَ بِهِ قَبْلَ أَن يَرْتَدَّ إِلَيْكَ طَرْفُكَ فَلَمَّا رَآهُ مُسْتَقِرًّا عِندَهُ قَالَ هَذَا مِن فَضْلِ رَبِّي لِيَبْلُوَنِي أَأَشْكُرُ أَمْ أَكْفُرُ وَمَن شَكَرَ فَإِنَّمَا يَشْكُرُ لِنَفْسِهِ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ رَبِّي غَنِيٌّ كَرِيمٌ
Qala allathee AAindahu AAilmun mina alkitabi ana ateeka bihi qabla an yartadda ilayka tarfuka falamma raahu mustaqirran AAindahu qala hatha min fadli rabbee liyabluwanee aashkuru am akfuru waman shakara fa-innama yashkuru linafsihi waman kafara fa-inna rabbee ghaniyyun kareemun

YUSUFALI: Said one who had knowledge of the Book: “I will bring it to thee within the twinkling of an eye!” Then when (Solomon) saw it placed firmly before him, he said: “This is by the Grace of my Lord!- to test me whether I am grateful or ungrateful! and if any is grateful, truly his gratitude is (a gain) for his own soul; but if any is ungrateful, truly my Lord is Free of all Needs, Supreme in Honour !”
PICKTHAL: One with whom was knowledge of the Scripture said: I will bring it thee before thy gaze returneth unto thee. And when he saw it set in his presence, (Solomon) said: This is of the bounty of my Lord, that He may try me whether I give thanks or am ungrateful. Whosoever giveth thanks he only giveth thanks for (the good of) his own soul; and whosoever is ungrateful (is ungrateful only to his own soul’s hurt). For lo! my Lord is Absolute in independence, Bountiful.
SHAKIR: One who had the knowledge of the Book said: I will bring it to you in the twinkling of an eye. Then when he saw it settled beside him, he said: This is of the grace of my Lord that He may try me whether I am grateful or ungrateful; and whoever is grateful, he is grateful only for his own soul, and whoever is ungrateful, then surely my Lord is Self-sufficient, Honored.
KHALIFA: The one who possessed knowledge from the book said, “I can bring it to you in the blink of your eye.” When he saw it settled in front of him, he said, “This is a blessing from my Lord, whereby He tests me, to show whether I am appreciative or unappreciative. Whoever is appreciative is appreciative for his own good, and if one turns unappreciative, then my Lord is in no need for him, Most Honorable.”

৪০। কিতাব সম্বন্ধে যার জ্ঞান ছিলো , এমন একজন বলেছিলো ৩২৭৫ , “আমি চোখের নিমিষে উহা আপনার নিকট নিয়ে আসবো। ” অতঃপর সুলেমান যখন উহা নিজের সম্মুখে স্থাপিত দেখতে পেলো, তখন সে বলেছিলো, ” এটা আমার প্রভুর অনুগ্রহ! তিনি আমাকে পরীক্ষা করতে চান আমি কি কৃতজ্ঞ না অকৃতজ্ঞ ৩২৭৬। যদি কেউ কৃতজ্ঞ হয়, সে তা দ্বারা নিজেরই আত্মার [ উপকার ] করে। কিন্তু যদি কেউ অকৃতজ্ঞ হয় , আমার প্রভু সত্যই সকল অভাবমুক্ত , শ্রেষ্ঠ সম্মানিত ৩২৭৭। ”

৩২৭৫। রাণী বিলকিসের জানার পূর্বেই তাঁর সিংহাসনকে সুলাইমানের দরবারে হাজির করা হলো। এখানে উল্লেখযোগ্য এবং দ্রষ্টব্য এই যে, সুলাইমানের এত শক্তিশালী জনগোষ্ঠি থাকা সত্বেও তিনি ক্ষমতার গর্বে , অহংকারে স্ফীত হয়ে ওঠেন নাই। তিনি আল্লাহ্‌র দরবারে তাঁর এই ক্ষমতার জন্য কৃতজ্ঞ ছিলেন এবং আল্লাহ্‌র অনুগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন।

উপদেশ : যারা প্রকৃত মোমেন বান্দা , তারা তাদের সত্ত্বার মাঝে অনুভব করেন যে, পৃথিবীর সকল ক্ষমতা ও নেয়ামতের মালিক সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌। তিনি যাকে যতটুকু ইচ্ছা তাঁর নেয়ামতে ধন্য করেন।

৩২৭৬। যদি সুলাইমান আল্লাহ্‌র নেয়ামতের জন্য অকৃতজ্ঞ হতেন, তবে তিনি তাঁর ক্ষমতা ও শক্তিকে নিজস্ব জাগতিক উন্নতির জন্য ব্যবহার করতেন। ‘ইফরীত’ জ্বীনের ক্ষমতাকে তিনি পার্থিব শক্তি ও সুনামের জন্য নিয়োজিত করতেন। যে আল্লাহ্‌র নেয়ামতের জন্য অকৃতজ্ঞ সে আল্লাহ্‌র নেয়ামতকে নিজস্ব ক্ষুদ্র স্বার্থে ব্যবহার করে। আর যে, আল্লাহ্‌ প্রদত্ত নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ সে তার কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটায় প্রাপ্ত নেয়ামতের সুষ্ঠু ব্যবহারে। আল্লাহ্‌র সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে তাঁর কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটে। ক্ষুদ্র স্বার্থ বুদ্ধির উর্দ্ধে উঠতে সে সক্ষম হয়। এখানে সুলাইমান ইফরীতের ক্ষমতার প্রয়োগ করে রাণী বিলকিসের সিংহাসনের এমন পরিবর্তন ঘটান ,যে পরিবর্তন রাণী ও তাঁর প্রজাকূলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। স্বর্গীয় হেদায়েতের আলোতে তাঁরা অবগাহন করে সর্বোচ্চ কল্যাণের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন। সুলাইমানের সম্মুখে খোলা ছিলো দুটি পথ। একটি হচ্ছে শক্তির সাহায্যে বিলকিসকে পরাভূত করে সামাজ্যের বিস্তার করা এবং পার্থিবভাবে লাভবান হওয়া। অন্য রাস্তাটি হচ্ছে রাণী বিলকিস ও তাঁর প্রজাকূলকে সত্যের রাস্তায় আল্লাহ্‌র হেদায়েতের রাস্তায় নিয়ে আসা। সুলাইমান দ্বিতীয় পথটি অবলম্বন করেন, কারণ তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত আল্লাহ্ভীরু এবং আল্লাহ্‌র নিকট কৃতজ্ঞ ব্যক্তি।

৩২৭৭। আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ফলে আল্লাহ্‌র কোন উপকার সাধিত হয় না। আল্লাহ্‌ অভাবমুক্ত। আল্লাহ্‌কে স্মরণ করা, বা আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে ব্যক্তিসত্ত্বার আমূল পরিবর্তন ঘটে। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তার নিজস্ব কল্যাণের জন্য করে। স্রষ্টার প্রতি এই কৃতজ্ঞাবোধ আত্মার মাঝে তৃপ্ত , শান্ত, অনুভবে ভরিয়ে দেয় , যা আত্মার উন্নতিতে সহায়ক , যা তাঁকে পরলোকের জীবনে উচ্চতর অবস্থানে নিতে সক্ষম হবে। কৃতজ্ঞ আত্মা শান্তির আবাসস্থল ইহলোকে এবং পরলোকেও। অপরপক্ষে অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির অন্তর সর্বদা হাহাকারে পরিপূর্ণ থাকে। জীবনে না পাওয়ার হিসাবে সে সর্বদা ব্যস্ত – ফলে আত্মিক শান্তি হয় তিরোহিত। যে নেয়ামতে আল্লাহ্‌ তাকে ধন্য করেছেন তা সনাক্ত করতে সে অক্ষম ,ফলে তার জীবন না পাওয়ার হাহাকারে ভরে যায়। মানুষের অকৃতজ্ঞতা – আল্লাহ্‌র মহিমা সম্মান বা নেয়ামতকে খর্ব করতে পারবে না। আল্লাহ্‌ এ সবের উর্দ্ধে ; তিনি সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী , তার মহিমা ও বদ্যনতা অপ্রতিদ্বন্দী। আরবী ‘করিম ‘ শব্দটি আল্লাহ্‌র উপরিউক্ত গুনাবলীর জন্য আরোপিত।