1 of 3

042.027

যদি আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছু দেখেন।
And if Allâh were to enlarge the provision for His slaves, they would surely rebel in the earth, but He sends down by measure as He wills. Verily! He is in respect of His slaves, the Well-Aware, the All-Seer (of things that benefit them).

وَلَوْ بَسَطَ اللَّهُ الرِّزْقَ لِعِبَادِهِ لَبَغَوْا فِي الْأَرْضِ وَلَكِن يُنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا يَشَاء إِنَّهُ بِعِبَادِهِ خَبِيرٌ بَصِيرٌ
Walaw basata Allahu alrrizqa liAAibadihi labaghaw fee al-ardi walakin yunazzilu biqadarin ma yashao innahu biAAibadihi khabeerun baseerun

YUSUFALI: If Allah were to enlarge the provision for His Servants, they would indeed transgress beyond all bounds through the earth; but he sends (it) down in due measure as He pleases. For He is with His Servants Well-acquainted, Watchful.
PICKTHAL: And if Allah were to enlarge the provision for His slaves they would surely rebel in the earth, but He sendeth down by measure as He willeth. Lo! He is Informed, a Seer of His bondmen.
SHAKIR: And if Allah should amplify the provision for His servants they would certainly revolt in the earth; but He sends it down according to a measure as He pleases; surely He is Aware of, Seeing, His servants.
KHALIFA: If GOD increased the provision for His servants, they would transgress on earth. This is why He sends it precisely measured to whomever He wills. He is fully Cognizant and Seer of His servants.

২৭। যদি আল্লাহ্‌ তাঁর সকল বান্দাকে জীবনোপকরনের প্রাচুর্য দিতেন তবে তারা অবশ্যই পৃথিবীতে সকল সীমা লংঘন করতো ৪৫৬৫। কিন্তু তিনি যেরূপ ইচ্ছা করেন [ সুসম ] পরিমাণ মতই[ তা ]প্রেরণ করে থাকেন।তিনি তাঁর বান্দাদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবগত এবংতাদের লক্ষ্য রাখেন ৪৫৬৬।

৪৫৬৫। মানুষের সকল প্রার্থনা আল্লাহ্‌র নিকট গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে না, এমন কি মোমেন বান্দার জন্যও না। এর উত্তর এই আয়াতে দেয়া হয়েছে। কারণ সমূহ নিম্নরূপ :

১) ভবিষ্যতের গর্ভে কি আছে আমরা কেহই তা জানি না , সুতারাং বর্তমানে যা মনোহর ও সফল মনে হয় হয়তো বা ভবিষ্যতের জন্য তা সুফল নাও বয়ে আনতে পারে। সুতারাং আমাদের জন্য প্রকৃত ভালো, আমরা কেহই জানি না। কারণ পৃথিবীতে প্রতি মূহুর্তে মূল্যবোধের অবক্ষয় ও বিকৃতি ঘটে যেতে পারে। যার ফলে অনেক সময়েই আমরা আমাদের প্রকৃত মঙ্গলকে চিহ্নিত করতে অক্ষম হই।

২) ভবিষ্যত জ্ঞানের অভাবে মানুষের ‘চাওয়া ‘ প্রকৃত কল্যাণকর নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তারা যা কামনা করে তা যদি সম্পূর্ণ তাদের দেয়া হতো তবে “তারা পৃথিবীতে সকল সীমা লঙ্ঘন করতো।” কারণ বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন স্বার্থ, পরস্পরের মাঝে এমন ভাবে মিশে যেতো যে তারা সংঘাতের সৃষ্টি করতো। সুতারাং প্রকৃতিতে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য মানুষের প্রার্থনা অনুমোদনের ক্ষেত্রে কিছুটা সমতা রক্ষা করা প্রয়োজন। বিশ্বজগতের ব্যবস্থাপনার জন্য তা প্রয়োজনীয়। কারণ মানুষের প্রত্যেকটি বাসনাপূর্ণ হওয়া মাঝে মাঝে স্বয়ং মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত উপযোগীতার পরিপন্থি হয়ে থাকে। কাজেই কোন সময় কোন মানুষের দোয়া বাহ্যত কবুল না হলে এর পশ্চাতে বিশ্বজগতের এমন কিছু স্বার্থনিহিত আছে যা সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময় স্রষ্টা ব্যতীত আর কেউ জানে না। আল্লাহ্‌ সব মানুষকে সব নেয়ামত সমভাবে বণ্টন করেন না। কাউকে ধন-সম্পদ বেশী দিয়েছেন , কাউকে স্বাস্থ্য ও শক্তি অধিক পরিমাণে দিয়েছেন , কাউকে রূপ ও সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন এবং কাউকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অপরের তুলনায় বেশী সরবরাহ করেছেন। কাউকে মেধা ও সৃজন ক্ষমতা বেশী দিয়েছেন আবার কাউকে দিয়েছেন শিল্পী সত্ত্বা। ফলে সভ্যতার ক্রমবিকাশের জন্য প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মুখাপেক্ষী। এই পারস্পরিক মুখাপেক্ষিতার উপরেই সভ্যতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ্‌ সম্যক জানেন কার জন্য কোন নেয়ামত উপযুক্ত এবং কোন নেয়ামত ক্ষতিকর। তাই তিনি প্রত্যেককে তার উপযোগী নেয়ামত দান করেন। সকল নেয়ামত সমতা ও আল্লাহ্‌র প্রজ্ঞা অনুযায়ী বণ্টন করা হয়। এর সারমর্ম এই যে, মানুষের প্রত্যেকটি বাসনা পূর্ণ হওয়া মাঝে মাঝে স্বয়ং মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত উপযোগিতার পরিপন্থি হয়ে থাকে। কাজেই কোন দোয়া বাহ্যত কবুল না হলে এর পশ্চাতে বিশ্বজগতের এমন কিছু স্বার্থ নিহিত থাকে, যা সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময় স্রষ্টা ব্যতীত অন্য কেউ জানে না।

৪৫৬৬। “তিনি যেরূপ ইচ্ছা করেন সুসম পরিমাণেই তা প্রেরণ করে থাকেন।” এই বাক্যে তার ইচ্ছামত বাক্যটি “তিনি যা উপযুক্ত মনে করেন” বাক্যটির সমতুল্য “ইচ্ছামত” শব্দটি দ্বারা স্বেচ্ছাচারিতা বুঝানো হয় নাই, বরং আল্লাহ্‌র জ্ঞান প্রজ্ঞা অনুযায়ী বোঝানো হয়েছে।