০২১.০৩৫

প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।
Everyone is going to taste death, and We shall make a trial of you with evil and with good, and to Us you will be returned.

كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ
Kullu nafsin tha-iqatu almawti wanablookum bialshsharri waalkhayri fitnatan wa-ilayna turjaAAoona

YUSUFALI: Every soul shall have a taste of death: and We test you by evil and by good by way of trial. to Us must ye return.
PICKTHAL: Every soul must taste of death, and We try you with evil and with good, for ordeal. And unto Us ye will be returned.
SHAKIR: Every soul must taste of death and We try you by evil and good by way of probation; and to Us you shall be brought back.
KHALIFA: Every person will taste death, after we put you to the test through adversity and prosperity, then to us you ultimately return.

৩৫। প্রতিটি আত্মাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে ২৬৯৭। আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি। আমারই নিকট তোমরা ফিরে আসবে।

২৬৯৭। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ৩ : ১৮৫ ] এবং টিকা ৪৯১। আত্মা চিরঞ্জীব, অমর। কারণ আত্মা তো সেই পরমাত্মার অংশ। আল্লাহ্‌ আদম সৃষ্টির আদিতে মৃত্তিকার তৈরী নশ্বর দেহে রুহু বা আত্মা দান করেছেন [ ১৫ : ২৯] ][৩২:৯], [৩৮:৭২]। সময়ের পরিক্রমায় এই নশ্বর দেহ বার্দ্ধক্য , জরা, রোগে আক্রান্ত হয় এবং একদিন আত্মা এই বার্দ্ধক্য ও জরা পীড়িত দেহ ত্যাগ করে মৃত্যুর সিংহদুয়ার অতিক্রম করে এবং পরলোকে যাত্রা করে। যে আত্মা সুদীর্ঘকাল দেহের খাঁচায় বন্দী থেকে দেহের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়; মৃত্যুর মাধ্যমে আত্মা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নশ্বর দেহ পড়ে থাকে মাটির পৃথিবীতে, কিন্তু দেহকে ত্যাগ করার যে অভিজ্ঞতা তাই হচ্ছে আত্মার জন্য “মৃত্যুর স্বাদ” বা অভিজ্ঞতা যা আত্মা বহন করে নেবে পরলোকে। এই পৃথিবীতে আত্মার অবস্থান ক্ষণকালীন ” শিক্ষানবীশ” হিসেবে পরলোকের জন্য। পৃথিবীর যাত্রাপথে দেহের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আত্মা লাভ করে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা। আমাদের দৃঢ়তা, চরিত্রের গুণাবলী সবই পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হতে হবে পৃথিবীর এই শিক্ষানবীশ কালে। এ সব পরীক্ষা কখনও আসে বিপদ দুর্বিপাকের আকারে। কখনও আসে শোক ও দুঃখের মাধ্যমে, কখনও আসে প্রাচুর্য ও সুখের রূপ ধরে। আল্লাহ্‌ পরীক্ষা করে নেন তাঁর কোন বান্দা দুঃখের অমানিশাতে ধৈর্য্য না হারিয়ে শুধু মাত্র আল্লাহ্‌র উপরে নির্ভর করে বিপদ ও দুঃখকে অতিক্রম করতে পারে। পরীক্ষা করে নেন তাঁর কোন বান্দা প্রাচুর্য ও সুখের দিনে অহংকারে ও দম্ভে স্ফীত না হয়ে , বিনয়ের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র শোকর গোজারী করে এবং আল্লাহ্‌র রাস্তায় সকল অবস্থায় আল্লাহ্‌র উপরে নির্ভরশীল হয় – বান্দার এই মানসিক অবস্থা [ State of mind ] , যা আল্লাহ্‌র প্রতি একান্ত নিবেদিত, আল্লাহ্‌র কাম্য। বান্দা যখন আল্লাহ্‌র প্রতি নিবেদিত এবং নির্ভরশীলতার এই আত্মিক অবস্থা লাভ করে , তখন ব্যক্তির চরিত্রে দুর্লভ গুণাবলীর জন্ম লাভ করে। ধৈর্য্য, সহিষ্ণুতা, দৃঢ়তা, সংযম, সাহসিকতা,একাগ্রতা, অধ্যবসায়ী প্রভৃতি বিভিন্ন চারিত্রিক গুণাবলী তাঁর চরিত্রকে করে উজ্জ্বল ও সমুন্নত। যদি আমরা এই পৃথিবীর জীবনে আমাদের চরিত্রকে সমুন্নত রাখতে পারি, চারিত্রিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ করতে পারি, তবেই আমরা আমাদের ক্ষণকালীন ” শিক্ষানবীশ কাল” সাফল্যের সাথে উত্তরণ করতে সক্ষম হব। প্রত্যেককেই মৃত্যুর দুয়ার পেরিয়ে পরলোকে আল্লাহ্‌র নিকট নীত করা হবে। এবং সেখানেই তাদের পৃথিবীর শিক্ষানবীশ কালের মূল্যায়ন করা হবে।