1 of 3

034.037

তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে না। তবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তারা তাদের কর্মের বহুগুণ প্রতিদান পাবে এবং তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।
And it is not your wealth, nor your children that bring you nearer to Us (i.e. pleases Allâh), but only he (will please Us) who believes (in the Islâmic Monotheism), and does righteous deeds; as for such, there will be twofold reward for what they did, and they will reside in the high dwellings (Paradise) in peace and security.

وَمَا أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُم بِالَّتِي تُقَرِّبُكُمْ عِندَنَا زُلْفَى إِلَّا مَنْ آمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ لَهُمْ جَزَاء الضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوا وَهُمْ فِي الْغُرُفَاتِ آمِنُونَ
Wama amwalukum wala awladukum biallatee tuqarribukum AAindana zulfa illa man amana waAAamila salihan faola-ika lahum jazao alddiAAfi bima AAamiloo wahum fee alghurufati aminoona

YUSUFALI: It is not your wealth nor your sons, that will bring you nearer to Us in degree: but only those who believe and work righteousness – these are the ones for whom there is a multiplied Reward for their deeds, while secure they (reside) in the dwellings on high!
PICKTHAL: And it is not your wealth nor your children that will bring you near unto Us, but he who believeth and doeth good (he draweth near). As for such, theirs will be twofold reward for what they did and they will dwell secure in lofty halls.
SHAKIR: And not your wealth nor your children, are the things which bring you near Us in station, but whoever believes and does good, these it is for whom is a double reward for what they do, and they shall be secure in the highest places.
KHALIFA: It is not your money or your children that bring you closer to us. Only those who believe and lead a righteous life will receive the reward for their works, multiplied manifold. In the abode of Paradise they will live in perfect peace.

রুকু – ৫

৩৭। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কেহই তোমাদের আমার সামান্যতম নিকটবর্তী করতে পারবে না ৩৮৪৪। কিন্তু যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে – এদের জন্যই রয়েছে তাদের কাজের দরুণ বহুগুণ পুরষ্কার ৩৮৪৫। তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে [ বসবাস ] করবে ৩৮৪৬।

৩৮৪৪। নশ্বর দেহের মাঝে যে আত্মা – তা পরমাত্মার অংশ। কারণ আল্লাহ্‌ তাঁর রুহুর অংশ মাটির নশ্বর দেহের অভ্যন্তরে ফুঁকে দিয়েছেন [ ৩২ : ৯ ; ১৫ : ২৯ ]। সুতারাং এই আত্মা সৃষ্টির আদিতে থাকে পূত ও পবিত্র। পৃথিবীতে এই আত্মার ক্রমবিকাশই প্রতিটি মানুষের ইহলোকের জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। পরলোকে যখন প্রতিটি আত্মাকে হিসেবের সম্মুখীন করা হবে, তখন পাথির্ব ধন-দৌলত হিসেবের বিবেচ্য বিষয় হবে না। যা বিবেচ্য হবে তা হচ্ছে আত্মিক উন্নতি। আর এই উন্নতির মানদন্ড পার্থিব ধন-দৌলত নয়। ঈমান ও সৎকর্ম -ই হবে সেদিন প্রধান মানদণ্ড। ঈমানের সর্বোচ্চ বিকাশ আত্মার মাঝে তখনই ঘটে যখন ব্যক্তি আত্মার মাঝে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য অনুভব করে থাকে।

৩৮৪৫। দেখুন আয়াত [ ৩০ : ৩৯ ]। পার্থিব অর্থ-সম্পদ , প্রভাব-প্রতিপত্তি , ক্ষমতা, সন্তান-সন্ততি কিছুই চিরস্থায়ী নয়। সময়ের পরিক্রমায় তা একদিন শেষ হয়ে যায়। অনন্ত কালের পটভূমিতে তাদের স্থায়ীত্ব এতই কম যে এ সবের কোনও প্রকৃত মূল্যমান নাই। কিন্তু যারা আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনে ও আল্লাহ্‌কে খুশী করার জন্য সৎ কাজ করে , তারাই প্রকৃত পক্ষে আত্মিক বিকাশের ক্ষেত্রে অগ্রগামী। পার্থিব জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ধন-সম্পদ অর্জন নয়। আত্মিক বিকাশ ও উন্নতিই হচ্ছে এই ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। যে এই উদ্দেশ্য সফল করতে পেরেছে। সেই ধন্য ইহকালে ও পরকালে। তাদের সম্বন্ধে আল্লাহ্‌ বলেছেন, তাদের জন্য অঢেল পুরষ্কার আছে যা তাদের কর্মগুণকেও অতিক্রম করে যাবে। তারা আল্লাহ্‌র সীমাহীন অনুগ্রহের অংশীদারিত্ব লাভ করবে।

৩৮৪৬। এসব পূণ্যাত্মাদের পুরষ্কারের বর্ণনা এভাবে করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে তারা সুখের সাগরে নিমজ্জিত হবে। পার্থিব সকল সুখের থেকে প্রকৃত পক্ষে তা হবে বহুগুণ [ বহুগুণ পুরষ্কার ] ; এবং তাদের এই পুরষ্কার হবে মহিমান্বিত , সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ [ “প্রাসাদে থাকিবে ” ]। পাথরের সুউচ্চ প্রাসাদের ন্যায় তা মহিমান্বিত ও সুউচ্চ। তাদের সুখ -শান্তি হবে অনন্তকাল স্থায়ী [ নিরাপদে থাকিবে ]। তা পার্থিব সুখ শান্তির মত সময়ের আবর্তনে হারিয়ে যাবে না।