০২১.০২৫

২৪। অথবা ওরা কি আল্লাহ্‌ ব্যতীত [ অন্য ] উপাস্য গ্রহণ করেছে ? ২৬৮৪। বল, ” তোমাদের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থিত কর। ইহা আমার সাথে যারা আছে তাদের জন্য উপদেশ এবং আমার পূর্বে যারা ছিলো তাদের জন্য উপদেশ ” ২৬৮৫। কিন্তু ওদের অধিকাংশই প্রকৃত সত্য জানে না , ফলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।

আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং আমারই এবাদত কর।
And We did not send any Messenger before you (O Muhammad SAW) but We inspired him (saying): Lâ ilâha illa Ana [none has the right to be worshipped but I (Allâh)], so worship Me (Alone and none else).”

وَمَا أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ
Wama arsalna min qablika min rasoolin illa noohee ilayhi annahu la ilaha illa ana faoAAbudooni

YUSUFALI: Not a messenger did We send before thee without this inspiration sent by Us to him: that there is no god but I; therefore worship and serve Me.
PICKTHAL: And We sent no messenger before thee but We inspired him, (saying): There is no Allah save Me (Allah), so worship Me.
SHAKIR: And We did not send before you any messenger but We revealed to him that there is no god but Me, therefore serve Me.
KHALIFA: We did not send any messenger before you except with the inspiration: “There is no god except Me; you shall worship Me alone.”

২৫। আমি তোমার পূর্বে এমন কোন রাসুল প্রেরণ করি নাই, তার প্রতি এই ওহী ব্যতীত যে , আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। সুতারাং আমার এবাদত কর এবং আনুগত্য কর।

২৬৮৪। উপরের টিকা ২৬৮২ তে দুধরণের ইলাহ্‌ বা মিথ্যা উপাস্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদি এই দুধরণের মিথ্যা উপাস্য থাকতো তবে তার পরিণতির উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতে বহু উপাস্যের ফলে তৃতীয় আর এক পরিণতি বা ক্ষতির উল্লেখ করা হয়েছে। আরব মোশরেকরা বহু উপাস্যের উদ্ভাবনে ছিলো উর্বর মস্তিষ্ক। কিন্তু তা ছিলো প্রকৃত সত্য থেকে বহুদূর। নীচের [২৬ ] আয়াতে চতুর্থ আর এক ধরণের উপাস্যের ব্যাপারে সাবধান করা হয়েছে। যারা ধারণা করে আল্লাহ্‌র পুত্র সন্তান পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহ্‌র পরিবর্তে তাই হচ্ছে উপাস্য।

২৬৮৫। এই আয়াতটি [ ২৪ ] পরবর্তী [২৫ ] আয়াতের সাথে সমন্বিত করে পড়তে হবে। পূর্ববর্তী আয়াতগুলিতে এ কথাই বলা হয়েছে যে, বহু উপাস্যের ধারণা পরস্পর বিরোধী ধারণা যা সৃষ্টিকে রক্ষা করার পরিবর্তে ধ্বংস করে দেবে। সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহ্‌র একত্বের দিকে নির্দ্দেশ করে। এই একত্ববাদের ধারণা শুধু যে ইসলামে বিদ্যমান তা নয়। শুধু যে হযরত মুহম্মদ [সা] এই বাণী প্রচার করেছেন তা নয়; এই আয়াতে রসুলুল্লাহ্‌ [সা] বলছেন যে তার পূর্ববর্তী নবী ও রসুলেরাও এই একই একত্ববাদের প্রচার করে গেছেন। প্রচারক হিসেবে হযরত মুহম্মদ [ সা ] শেষ নবী। সৃষ্টির আদিতে হযরত আদম থেকে শেষ নবী হযরত মুহম্মদ [সা] পর্যন্ত আল্লাহ্‌র একত্বের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সকল নবী ও রসুলদের প্রত্যাদেশের মর্মবাণীই ছিলো আল্লাহ্‌র একত্বের ঘোষণা। পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক , নৈতিক, জাগতিক সকল বিষয়বস্তুর মূল সূত্র হচ্ছে আল্লাহ্‌র একত্বে বিশ্বাস থেকে উদ্ভুদ।