1 of 3

041.046

যে সৎকর্ম করে, সে নিজের উপকারের জন্যেই করে, আর যে অসৎকর্ম করে, তা তার উপরই বর্তাবে। আপনার পালনকর্তা বান্দাদের প্রতি মোটেই যুলুম করেন না।
Whosoever does righteous good deed it is for (the benefit of) his ownself, and whosoever does evil, it is against his ownself, and your Lord is not at all unjust to (His) slaves.

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهِ وَمَنْ أَسَاء فَعَلَيْهَا وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِيدِ
Man AAamila salihan falinafsihi waman asaa faAAalayha wama rabbuka bithallamin lilAAabeedi

YUSUFALI: Whoever works righteousness benefits his own soul; whoever works evil, it is against his own soul: nor is thy Lord ever unjust (in the least) to His Servants.
PICKTHAL: Whoso doeth right it is for his soul, and whoso doeth wrong it is against it. And thy Lord is not at all a tyrant to His slaves.
SHAKIR: Whoever does good, it is for his own soul, and whoever does evil, it is against it; and your Lord is not in the least unjust to the servants.
KHALIFA: Whoever works righteousness does so for his own good, and whoever works evil does so to his own detriment. Your Lord is never unjust towards the people.

৪৬। যে সৎ কাজ করে সে তা করে নিজের আত্মার কল্যাণের জন্য, যে অসৎ কাজ করে সে তা করে নিজের আত্মার বিরুদ্ধে। তোমার প্রভু তার বান্দাদের প্রতি [ সামান্য পরিমাণও ] অন্যায় করেন না।

পঞ্চবিংশতম পারা

৪৭। কেয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহ্‌র নিকটেই রয়েছে। ৪৫১৯ তাঁর অজ্ঞাতে কোন ফল উহার আবরণ থেকে বের হয় না এবং কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না , [সন্তান ] প্রসবও করে না।যেদিন আল্লাহ্‌ তাদের ডেকে বলবেন, ” আমার[ প্রতি আরোপিত ] শরীকেরা কোথায় ? ” তারা বলবে , ” আমরা আপনার নিকট নিবেদন করি যে ,এই ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।” ৪৫২০

৪৫১৯। স্রষ্টার জ্ঞানের তুলনায় মানুষের জ্ঞান অতি অকিঞ্চিতকর। আল্লাহ্‌র জ্ঞানকে ধারণ করা দূরে থাকুক , তা অনুমান করাও মানুষের সাধ্যের বাইরে। সেই সীমাহীন জ্ঞানের এক নিগুঢ় রহস্য হচ্ছে কেয়ামতের জ্ঞান। একমাত্র আল্লাহ্‌র নিকটই সেই জ্ঞানের দ্বার উন্মুক্ত। কারণ আল্লাহ্‌-ই সকল কিছুর পরিচালনা করেন, নিয়ন্ত্রণ করেন। কেয়ামতের জ্ঞান হচ্ছে সেরূপ একটি জ্ঞান যা শুধু আল্লাহ্‌রই নিয়ন্ত্রণে এবং কখন তা ঘটবে তা শুধুমাত্র আল্লাহ্‌-ই জানেন। যে জ্ঞানের সীমানা মানুষের আয়ত্বের বাইরে; তার সম্বন্ধে মানুষের বৃথা তর্কে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। কারণ কেয়ামতের ব্যাপারে মানুষের জ্ঞান শুধুমাত্র অনুমান ভিত্তিক বুদ্ধিমত্তা। ধর্মের ব্যাপারে এরূপ অনুমান হযরত মুসার সম্প্রদায়কে বিপথে চালিত করে এবং তারা সন্দেহ এবং বিতর্কের ঊষর , অনূর্বর মনোজগতে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে হারিয়ে ফেলে। যে জ্ঞানের জগত মানুষের সীমানার বাইরে তার সম্বন্ধে মিথ্যা তর্ক-বির্তক বিপথে চালিত করে।সুতারাং ধর্ম সম্বন্ধে মিথ্যা কুট তর্কে নিজেকে জড়িত না করে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে আল্লাহ্‌র প্রতি কর্তব্যে অবিচল থাকা এবং আল্লাহকে ও মানুষকে ভালোবাসা [ আয়াত নং ৪৫ও ৪৬ লক্ষ্য করুন ]। যা তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।দেখুন আয়াত [ ২১ : ৪ ]।

৪৫২০। কিয়ামত দিবসে প্রতিটি কর্মের মূল্যবোধের , সত্য রূপকে প্রকাশ করা হবে। সমস্ত মিথ্যা প্রচার ও ভান সেদিন তিরোহিত হবে এবং তাদের প্রকৃতরূপকে সর্বসমক্ষে উদ্ঘাটিত করা হবে। সেদিন মিথ্যা উপাস্যদের প্রকৃত রূপ প্রকাশিত হয়ে পড়বে , তারা সব সেদিন অদৃশ্য হয়ে যাবে। মিথ্যা উপাস্যের উপাসনাকারীদের সেদিন বোধদয় ঘটবে। কিন্তু সে চৈতন্যলাভ তাদের কোন উপকারে আসবে না। কারণ তা হয়ে যাবে বহু দূর।