028.043

আমি পূর্ববর্তী অনেক সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার পর মূসাকে কিতাব দিয়েছি মানুষের জন্যে জ্ঞানবর্তিকা। হেদায়েত ও রহমত, যাতে তারা স্মরণ রাখে।
And indeed We gave Mûsa (Moses), after We had destroyed the generations of old, the Scripture [the Taurât (Torah)] as an enlightenment for mankind, and a guidance and a mercy, that they might remember (or receive admonition).

وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ مِن بَعْدِ مَا أَهْلَكْنَا الْقُرُونَ الْأُولَى بَصَائِرَ لِلنَّاسِ وَهُدًى وَرَحْمَةً لَّعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
Walaqad atayna moosa alkitaba min baAAdi ma ahlakna alquroona al-oola basa-ira lilnnasi wahudan warahmatan laAAallahum yatathakkaroona

YUSUFALI: We did reveal to Moses the Book after We had destroyed the earlier generations, (to give) Insight to men, and guidance and Mercy, that they might receive admonition.
PICKTHAL: And We verily gave the Scripture unto Moses after We had destroyed the generations of old: clear testimonies for mankind, and a guidance and a mercy, that haply they might reflect.
SHAKIR: And certainly We gave Musa the Book after We had destroyed the former generations, clear arguments for men and a guidance and a mercy, that they may be mindful.
KHALIFA: We gave Moses the scripture – after having annihilated the previous generations, and after setting the examples through them – to provide enlightenment for the people, and guidance, and mercy, that they may take heed.

রুকু – ৫

৪৩। পূর্ববর্তী বহু প্রজন্মকে ধবংস করার পরে আমি মুসাকে কিতাব দান করেছিলাম মানুষের জন্য অন্তর্দৃষ্টি [ বা জ্ঞান বর্তিকা ] এবং পথনির্দ্দেশ ও দয়া স্বরূপ ; যেনো তারা উপদেশ গ্রহণ করে ৩৩৭৫।

৩৩৭৫। অত্যাচারী ফেরাউন এবং ফেরাউনের ন্যায় বহু অত্যাচারীকে ধ্বংসের পরে আল্লাহ্‌ পৃথিবীর মানুষের জন্য হযরত মুসার মাধ্যমে নূতন ভাবে প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেন – মুসার যুগে তার নিকট প্রেরিত কিতাবে। মানবতার ইতিহাস আবার নূতন ভাবে শুরু হয় – এ যেনো নূতন স্লেটে প্রথম আঁচরের মত। মুসার কিতাব হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাদেশ যা তিনটি দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখার জন্য আমাদের দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়েছে। এই কিতাব হচ্ছে :

১) জ্ঞান বর্তিকা বা জ্ঞানের প্রদীপ বা অন্তর্দৃষ্টি বা দিব্যজ্ঞান ,যা মানুষের বিবেককে জাগরিত করে বা আলোকিত করে।

২) পথ-নির্দ্দেশ , যা সংসার জীবনে এই পৃথিবীতে সঠিক পথে চলার নির্দ্দেশ দান করে থাকে। মানুষকে পরিষ্কার ভাষায় পাপ ও পূণ্যের পথের নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে, যেনো সে ভুল করে পাপের পথে না যায়।

৩) আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও করুণা স্বরূপ। কারণ আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশিত পথে চলার ফলেই মানব আল্লাহ্‌র ক্ষমা ও করুণা লাভে সক্ষম হবে। সূরা [ ৬ : ৯১] আয়াতে জ্ঞান বর্তিকা ও পথ নির্দ্দেশের কথা বলা হয়েছে , হযরত মুসার প্রত্যাদেশের প্রসঙ্গে এবং [ ৬ : ১৫৪ ] আয়াতে পথ-নির্দ্দেশ ও করুণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ঐ একই প্রসঙ্গে। এই আয়াতে জ্ঞানের প্রদীপ বা দিব্যজ্ঞান , পথ নির্দ্দেশ, আল্লাহ্‌র করুণা ও ক্ষমা , তিনটিকে এক সুত্রে গ্রথিত করা হয়েছে। এখানে ‘Nur’ শব্দটির স্থলে ‘Basair’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।