030.046

তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি এই যে, তিনি সুসংবাদবাহী বায়ু প্রেরণ করেন, যাতে তিনি তাঁর অনুগ্রহ তোমাদের আস্বাদন করান এবং যাতে তাঁর নির্দেশে জাহাজসমূহ বিচরণ করে এবং যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ কর এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।
And among His Signs is this, that He sends the winds as glad tidings, giving you a taste of His Mercy (i.e. rain), and that the ships may sail at His Command, and that you may seek of His Bounty, in order that you may be thankful.

وَمِنْ آيَاتِهِ أَن يُرْسِلَ الرِّيَاحَ مُبَشِّرَاتٍ وَلِيُذِيقَكُم مِّن رَّحْمَتِهِ وَلِتَجْرِيَ الْفُلْكُ بِأَمْرِهِ وَلِتَبْتَغُوا مِن فَضْلِهِ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
Wamin ayatihi an yursila alrriyaha mubashshiratin waliyutheeqakum min rahmatihi walitajriya alfulku bi-amrihi walitabtaghoo min fadlihi walaAAallakum tashkuroona

YUSUFALI: Among His Signs is this, that He sends the Winds, as heralds of Glad Tidings, giving you a taste of His (Grace and) Mercy,- that the ships may sail (majestically) by His Command and that ye may seek of His Bounty: in order that ye may be grateful.
PICKTHAL: And of His signs is this: He sendeth herald winds to make you taste His mercy, and that the ships may sail at His command, and that ye may seek his favour, and that haply ye may be thankful.
SHAKIR: And one of His signs is that He sends forth the winds bearing good news, and that He may make your taste of His mercy, and that the ships may run by His command, and that you may seek of His grace, and that you may be grateful.
KHALIFA: Among His proofs is that He sends the winds with good omen, to shower you with His mercy, and to allow the ships to run in the sea in accordance with His rules, and for you to seek His bounties (through commerce), that you may be appreciative.

৪৬। তার নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি হচ্ছে, তিনি সুসংবাদবাহী বায়ু প্রেরণ করেন ৩৫৬৩ এই উদ্দেশ্যে যে, তিনি [ তার দ্বারা ] তোমাদের তাঁর [ অনুগ্রহ এবং ] দয়া আস্বাদন করাবেন ৩৫৬৪, যেনো জাহাজ সকল তাঁর আদেশে [ রাজকীয় ভাবে ] সমুদ্র যাত্রা করতে পারে ; এবং তোমরা তাঁর অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পার ; যেনো তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পার ৩৫৬৫।

৪৭। অবশ্যই আমি তোমার পূর্বে বহু রসুলকে তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিকট পাঠিয়েছিলাম , এবং তাঁরা সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ তাদের কাছে গিয়েছিলো। অতঃপর যারা সীমালংঘন করেছিলো ,আমি তাদের প্রতিশোধ নিয়েছিলাম। যারা বিশ্বাস করে তাদের সাহায্য করা আমার কর্তব্য।

৩৫৬৩। মানুষের পার্থিব ও আধ্যাত্মিক জীবনে আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ সমূহকে অপূর্ব শিল্পিজনোচিত ভাবে পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে আয়াতে [ ৩০ :২০ – ২৭ ]। তারপরের আয়াতে [ ৩০ : ২৮ – ৪০ ] এ বর্ণনা করা হয়েছে যে, আল্লাহ্‌ মানুষ ও প্রকৃতিকে সৃষ্টির আদিতে পূত পবিত্র রূপে সৃষ্টি করেন, এবং আল্লাহ্‌র ইচ্ছা মানুষ আত্মার এই পবিত্রতা রক্ষা করুক, কিন্তু আমরা তার কতটুকু করি ? এখান থেকে শুরু হয়েছে পার্থিব ও আধ্যাত্মিক জগতকে পরিশুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ্‌ তাঁর যে সব প্রতিনিধি প্রেরণ করেছেন তাদের বর্ণনা।

৩৫৬৪। দেখুন অনুরূপ আয়াত [৭ :৫৭ ] ও টিকা ১০৩৬ এবং [২৫ : ৪৮ ] আয়াত ও টিকা ৩১০৪।

৩৫৬৫। জড় জগতে আমরা দেখি, গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহের পরে, বর্ষণ ধারা প্রকৃতিকে ঠান্ডা করে দেয় এবং বাতাসকে ধূলিমুক্ত করে পরিষ্কার করে ফেলে। শুধু তাই নয় বৃষ্টির ফলে শুষ্ক মাটি সিক্ত হয়, ফলে জমি ঊর্বরতা লাভ করে , নদী সমূহ নাব্যতা লাভ করে, যার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। এর ফলে আন্তঃমহাদেশীয় , সামাজিক মেলামেশা সম্ভব হয়েছে নৌযানে বা এরোপ্লেনে। এগুলি সবই আল্লাহ্‌র অনুগ্রহের স্বাক্ষর। যারা আল্লাহ্‌র এসব অনুগ্রহকে ব্যবহার করার যোগ্যতা অর্জন করে, তারা সমৃদ্ধি লাভ করে এবং আনন্দিত হয় – যেমন উন্নত দেশ সমূহ আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ সমূহকে ব্যবহার করার যোগ্যতা অর্জন করেছে। অপর পক্ষে যারা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ সমূহকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় না তারা পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এ হচ্ছে জাগতিক বা জড় জগতের নিয়ম। আধ্যাত্মিক জগতের জন্যও আল্লাহ্‌ তাঁর প্রতিনিধি নবী, রসুল প্রেরণ করেছেন , সুসংবাদ দানের জন্য। যারা তা গ্রহণ করে তাঁরা আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি দ্বারা ধন্য হয়, যারা তা অবজ্ঞাভরে প্রত্যাখান করে তাদের আধ্যাত্মিক জগত ধ্বংস হয়ে যায়। পরের আয়াত দেখুন।