025.049

তদ্দ্বারা মৃত ভূভাগকে সঞ্জীবিত করার জন্যে এবং আমার সৃষ্ট জীবজন্তু ও অনেক মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্যে।
That We may give life thereby to a dead land, and We give to drink thereof many of the cattle and men that We had created.

لِنُحْيِيَ بِهِ بَلْدَةً مَّيْتًا وَنُسْقِيَهُ مِمَّا خَلَقْنَا أَنْعَامًا وَأَنَاسِيَّ كَثِيرًا
Linuhyiya bihi baldatan maytan wanusqiyahu mimma khalaqna anAAaman waanasiyya katheeran

YUSUFALI: That with it We may give life to a dead land, and slake the thirst of things We have created,- cattle and men in great numbers.
PICKTHAL: That We may give life thereby to a dead land, and We give many beasts and men that We have created to drink thereof.
SHAKIR: That We may give life thereby to a dead land and give it for drink, out of what We have created, to cattle and many people.
KHALIFA: With it, we revive dead lands and provide drink for our creations – multitudes of animals and humans.

৪৯। যেনো এর দ্বারা আমি মৃত ভূখন্ডকে জীবন দান করতে পারি এবং আমার সৃষ্ট সকলের তৃষ্ণা নিরারণ করতে পারি ৩১০৬, [ যার মধ্যে আছে ] বহু গৃহপালিত প্রাণী ও মানুষ।

৩১০৬। এই আয়াতের মাধ্যমে প্রকৃতির ‘পানি চক্রের’ উপস্থাপন করা হয়েছে। পানি চক্র হচ্ছে : সমুদ্রের পানির বাষ্প হয়ে মেঘে বা শিলা বা তুষারে পরিণত হওয়া আবার মেঘ বা তুষার স্থলভাগে ঝরে পড়া এবং নদীবাহিত হয়ে এই পানির পুণরায় সাগর বক্ষে প্রত্যাবর্তন। সমুদ্রের লবনাক্ততা নদীবাহিত পানির বর্জ্য দ্রব্য সমূহ পরিশোধিত করে যাচ্ছে অবিরত ধারাতে। এ ভাবেই পৃথিবী পৃষ্ঠ প্রতিমূহুর্তের বর্জ্য পদার্থ মুক্ত হয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। আবার বৃষ্টি , তুষার, হিমাবহ, নদী , হ্রদ ইত্যাদি পানির বিভিন্ন অবস্থান পৃথিবী পৃষ্ঠে বিরাজমান। ভূপৃষ্ঠের পানির এই বিভিন্ন অবস্থানের জন্য পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভূগোলের জন্ম দেয়। বৃষ্টির অভাবে শষ্য শ্যামল ভূমি মরুভূমিতে পরিণত হয়, আবার উষর মরুভূমি বৃষ্টির স্পর্শে শষ্যশ্যামল ভূমিতে পরিণত হয়। সমস্ত সুপেয় পানির উৎস যথাঃ নদী, খাল-বিল, হ্রদ, জলাধার , ঝরণা , কূপ, অথবা যে কোনও প্রকার সূপেয় পানির উৎস হচ্ছে বৃষ্টি। পানির সাথে জীবনের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। পানির অপর নাম জীবন। কারণ জীবনের যে মূল কণিকা প্রোটোপ্লাজমের অধিকাংশ পানি দ্বারা গঠিত। দেখুন নীচের আয়াত [ ২৫ : ৫৪ ]।