০২১.০৪৯

যারা না দেখেই তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে এবং কেয়ামতের ভয়ে শঙ্কিত।
Those who fear their Lord without seeing Him, while they are afraid of the Hour.

الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِالْغَيْبِ وَهُم مِّنَ السَّاعَةِ مُشْفِقُونَ
Allatheena yakhshawna rabbahum bialghaybi wahum mina alssaAAati mushfiqoona

YUSUFALI: Those who fear their Lord in their most secret thoughts, and who hold the Hour (of Judgment) in awe.
PICKTHAL: Those who fear their Lord in secret and who dread the Hour (of doom).
SHAKIR: (For) those who fear their Lord in secret and they are fearful of the hour.
KHALIFA: The ones who reverence their Lord, even when alone in their privacy, and they worry about the Hour.

৪৯। যারা তাদের [ অন্তরের ] নিভৃত চিন্তাতেও আল্লাহকে ভয় পায় এবং শেষ বিচারের দিন সম্বন্ধে থাকে ভীত সন্ত্রস্ত ২৭১০।

২৭১০। লক্ষ্য করুন তিন ধরণের ভয়ের উল্লেখ আছে আয়াতে [ ২১ : ৪৮ – ৪৯ ] ‘মুত্তাকী’ অর্থাৎ যারা ‘তাকওয়া’ অবলম্বন করে। ‘তাকওয়া’ অর্থ আল্লাহ্‌ ভীতি তবে এই ভয় শাস্তির ভয় নয়। এই ভয় প্রিয়জনের মনে ব্যাথা দেওয়ার ভয়। এই ভয়ের উৎপত্তি আল্লাহ্‌র প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকে জন্ম। আল্লাহ্‌র নামে তাদের চোখ অশ্রুতে ভরে যায় আনন্দে , কৃতজ্ঞতায় ,ভালোবাসায়, এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে : এরা হলেন পূত পবিত্র চরিত্রের অধিকারী , ন্যায়ের পথে যারা ধ্বজাধারী। এরা হলেন সর্বোচ্চ। ২) “Khashyat” – যারা না দেখেও তার প্রতিপালককে ভয় পায়। এ সব লোক তাদের অন্তরে এই ধ্যান ধারণা রাখে যে তারা আল্লাহ্‌র সম্মুখে সর্বদা উপস্থিত। সুতারাং মহামান্য আল্লাহ্‌র ভয়ে তারা প্রকাশ্যে বা গোপনে যে কোনও সময়ে আল্লাহ্‌ কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজ করতে ভয় পায়। তারা প্রাণপণে চেষ্টা করে আল্লাহ্‌ কর্তৃক নির্দ্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী জীবনকে পরিচালিত করতে। এরাও পূণ্যাত্মা , তবে প্রথম শ্রেণীর অর্থাৎ ‘তাকওয়া’ অবলম্বনকারীদের নিম্নে এদের অবস্থান। ‘তাকওয়ার’ জন্ম আল্লাহ্‌র প্রতি ভালোবাসা থেকে অপর পক্ষে “Khashyat” এর জন্ম আল্লাহ্‌র প্রতি ভয় থেকে। আর এক ধরণের লোক আছেন যারা পরকালের শাস্তির ভয়ে [ Ishfaq ] পাপ থেকে বিরত থাকেন। এর ফলেও তারা মুত্তাকী অর্জন করেন, এরাও পূণ্যাত্মা বলে পরিগণিত তবে, তিন শ্রেণীর মধ্যে এদের অবস্থান সর্বনিম্নে। সম্ভবতঃ উপরের আয়াতে মানদণ্ড বা ফুরকান , জ্যোতি, ও উপদেশের কথা বলা হয়েছে এই তিন শ্রেণীর লোক তারই অনুরূপ।