1 of 3

046.014

তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল।
Such shall be the dwellers of Paradise, abiding therein (forever), a reward for what they used to do.

أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
Ola-ika as-habu aljannati khalideena feeha jazaan bima kanoo yaAAmaloona

YUSUFALI: Such shall be Companions of the Gardens, dwelling therein (for aye): a recompense for their (good) deeds.
PICKTHAL: Such are rightful owners of the Garden, immortal therein, as a reward for what they used to do.
SHAKIR: These are the dwellers of the garden, abiding therein: a reward for what they did.
KHALIFA: They have deserved Paradise, where they abide forever; a reward for their works.

১৪। এরাই হবে বেহেশতের অধিবাসী ; সেখানে তারা স্থায়ী হবে ; তাদের [ ভালো ] কাজের পুরষ্কার স্বরূপ।

১৫। আমি মানুষকে তার পিতা -মাতার সাথে সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি ৪৭৮৯। তার মা দৈহিক যন্ত্রণার মাধ্যমে তাকে গর্ভে ধারণ করে, দৈহিক যন্ত্রণার সাথে তাকে প্রসব করে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে এবং তার দুধ ছাড়ানোতে ত্রিশ মাস [ সময় ] লাগে ৪৭৯০। অবশেষে, সে যখন পূর্ণ যৌবনে পৌঁছে, ৪৭৯১, এবং চল্লিশ বৎসরে উপণীত হয়, তখন সে বলে, ” হে আমার প্রভু ! তুমি আমাকে এই ক্ষমতা দান কর যেনো আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ দান করেছ, তার জন্য, এবং যেনো আমি সৎকাজ করতে পারি যা তুমি অনুমোদন কর। সন্তান সন্তানাদিদের ব্যাপারে আমার প্রতি অনুগ্রহশীল হও। নিশ্চয়ই আমি তোমার অভিমুখী হলাম এবং নিশ্চয়ই আমি আত্মসমর্পনকারীদের অন্তর্গত। ”

৪৭৮৯। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ২৯ : ৮ ] এবং [ ৩১ : ১৪ ]।

৪৭৯০। সূরা [ ৩১ : ১৪ ] আয়াতে স্তন্যদানের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে দুবৎসর অর্থাৎ ২৪ মাস। সূরা [ ২ : ২৩ ] আয়াতেও দু বৎসর সময়ের উল্লেখ আছে। এই আয়াতে গর্ভধারণ ও স্তন্যদান উভয়ের সময়কাল বর্ণিত হয়েছে ত্রিশ মাস। অতএব স্তন্যদানের দুবছর অর্থাৎ চব্বিশ মাস বাদ দিলে গর্ভধারণের জন্য ছয় মাস অবশিষ্ট থাকে। সুতারাং এটাই হবে গর্ভধারণের সর্বনিম্ন সময়কাল, যে সময় অতিক্রম করলে ভূমিষ্ট শিশু জীবিত থাকতে পারে। বর্তমানে বিজ্ঞান এ কথা স্বীকার করে যে গর্ভধারণের সর্বনিম্ন সময়কাল ছয় মাস হওয়া সম্ভবপর। এর কম সময়ে সন্তান সুস্থ ও পূর্ণাঙ্গ জন্মগ্রহণ করতে পারে না। গর্ভধারণের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২৮০ দিন। অবশ্য সে ক্ষেত্রে স্তন্যদানের সময়সীমা দুবছরের কম হয়ে যাবে। দুবছর নির্ধারিত হয়েছে শিশুর ‘দুধ দাঁত’ ওঠা সম্পূর্ণ হয়ে যায়। ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে নীচের দুটো দাঁত ওঠে তারপরে ধীরে ধীরে অন্যান্য দাঁত উঠতে শুরু করে যতদিন না সমস্ত ওঠা শেষ হয়। মাড়ির দাঁত ওঠতে শুরু করে দুবছর বয়েসে। এভাবেই দুধ দাঁতের সারি পরিপূর্ণ হয় এবং শিশু মাতৃদুগ্ধ ব্যতীত অন্যন্য খাদ্যে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, কারণ এখন সে চিবুতে সক্ষম। ছয় বৎসর বয়েসে দুধ দাঁত পড়ে যেয়ে স্থায়ী দাঁত ওঠে এবং ১৮- ২০ বৎসর বয়েসে আক্কেল দাঁত ওঠে।

৪৭৯১। “পূর্ণ শক্তি প্রাপ্ত হয় [ ashudd ] ” – এই বয়েস হচ্ছে কৈশর শেষে যৌবনে প্রাপ্ত হওয়ার বয়েস। অর্থাৎ ১৮ থেকে ৩০/৩২ বৎসরের মধ্যে। ৩০ থেকে ৪০ বৎসরের মধ্যে মানুষ পূর্ণ যৌবন প্রাপ্ত হয় – জীবনের সকল ক্ষেত্রে সে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। এর পরে তার ক্ষয় শুরু হয়। ইতিমধ্যে পরবর্তী বংশধরগণ দায়িত্ব নেবার যোগ্যতা অর্জন করে। অপরপক্ষে ৪০ বৎসর পরেই মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের দিগন্ত উম্মোচিত হতে শুরু করে।