1 of 3

047.027

ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্থা কেমন হবে?
Then how (will it be) when the angels will take their souls at death, smiting their faces and their backs?

فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمْ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ
Fakayfa itha tawaffat-humu almala-ikatu yadriboona wujoohahum waadbarahum

YUSUFALI: But how (will it be) when the angels take their souls at death, and smite their faces and their backs?
PICKTHAL: Then how (will it be with them) when the angels gather them, smiting their faces and their backs!
SHAKIR: But how will it be when the angels cause them to die smiting their backs.
KHALIFA: How will it be for them when the angels put them to death? They will beat them on their faces and their rear ends.

২৭। ফেরেশতারা যখন তাদের মুখমন্ডলে ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে মৃত্যুর মাধ্যমে আত্মা হরণ করবে, তখন উহাদের দশা কেমন হবে ? ৪৮৫১, ৪৮৫২

৪৮৫১। “মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশ ” বাক্যটি এখানে রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। মুখমন্ডল হচ্ছে শরীরের সেই অংশ যা সম্মুখে অবস্থান করে এবং দৃশ্যমান। এখানে ‘মুখমন্ডল ‘ এর উপমা দ্বারা মোনাফেকদের সেই সকল কাজ বা আচরণকে বোঝানো হয়েছে যা প্রকাশ্য এবং সর্বলোক গোচর। “পৃষ্ঠদেশ” হচ্ছে দেহের সেই অংশ যা পিছনে থাকে এবং সম্মুখের অগ্রযাত্রায় দৃশ্যমান হয় না। অথবা বলা চলে সম্মুখবর্তী সকল কিছু থেকে লুক্কায়িত থাকে। এই আয়াতে দেহের অংশের উপমার উল্লেখ দ্বারা এই সত্যকে প্রকাশ করা হয়েছে যে, মৃত্যুকালীন সময়ে তাদের ‘মুখমন্ডল ‘ অর্থাৎ প্রকাশ্য সকল কাজ ও ‘পৃষ্ঠদেশ’ অর্থাৎ গোপনীয় সকল কাজ সবই প্রকাশ করা হবে আঘাতের মাধ্যমে। অথবা অন্যভাবেও আয়াতের বক্তব্যকে প্রকাশ করা যায়। মুখমন্ডল অর্থাৎ সেই সব জিনিষ যা সম্বন্ধে মোনাফেকেরা গর্ব প্রকাশ করতো এবং পৃথিবীর সম্মুখে প্রকাশ করার জন্য উন্মুখ থাকতো। ‘পৃষ্ঠদেশ’ অর্থাৎ তাদের মন্দ কাজ বা চিন্তা যা তারা গোপন রাখতো, লোক সম্মুখে প্রকাশ করতে সাহস করতো না। অর্থাৎ মোনাফেকদের সর্বসত্তাতে মৃত্যুকালীন সময়ে আঘাত হানা হবে। প্রকাশ্য ও গোপনীয় সব কিছুই হবে আঘাতের বস্তু। দেখুন আয়াত [ ৮: ৫০ ]।

৪৮৫২। মোনাফেকেরা তাদের মোনফেকী দ্বারা জীবনে সাফল্য ও সমৃদ্ধি লাভ করে সত্য, তবে জীবনের শেষ শুধুমাত্র এই পৃথিবীতেই হয়ে যায় না। পৃথিবী ত্যাগের কালে জীবন মৃত্যুর সন্ধি ক্ষণে মোনাফেকদের অবস্থা এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। দেহত্যাগের সময়ে তারা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে যে, তাদের কোন কাজ বা চিন্তা সর্বশক্তিমানের নিকট গোপন থাকে নাই। ফেরেশতারা তাদের সর্ব গোপনীয়তাকে স্পর্শ করবে। পার্থিব জীবনের সর্ব গোপনীয়তা পরলোকে প্রকাশ্যরূপ লাভ করবে,” তখন উহাদের দশা কেমন হবে। “