1 of 3

002.104

হে মুমিন গণ, তোমরা ‘রায়িনা’ বলো না-‘উনযুরনা’ বল এবং শুনতে থাক। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
O you who believe! Say not (to the Messenger Peace be upon him ) Râ’ina but say Unzurna (Do make us understand) and hear. And for the disbelievers there is a painful torment. (See Verse 4:46)

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَقُولُواْ رَاعِنَا وَقُولُواْ انظُرْنَا وَاسْمَعُوا ْوَلِلكَافِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌ
Ya ayyuha allatheena amanoo la taqooloo raAAina waqooloo onthurna waismaAAoo walilkafireena AAathabun aleemun

YUSUFALI: O ye of Faith! Say not (to the Messenger) words of ambiguous import, but words of respect; and hearken (to him): To those without Faith is a grievous punishment.
PICKTHAL: O ye who believe, say not (unto the Prophet): “Listen to us” but say “Look upon us,” and be ye listeners. For disbelievers is a painful doom.
SHAKIR: O you who believe! do not say Raina and say Unzurna and listen, and for the unbelievers there is a painful chastisement.
KHALIFA: O you who believe, do not say, “Raa`ena” (be our shepherd). Instead, you should say, “Unzurna” (watch over us), and listen. The disbelievers have incurred a painful retribution.

১০৩। যদি তারা ঈমান আনতো এবং পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতো; তবে আল্লাহ্‌র নিকট থেকে পুরস্কার অধিক কল্যাণকর হতো-যদি তারা তা জানতো।

রুকু – ১৩

১০৪। হে বিশ্বাসীগণ! [নবীকে দ্বর্থ্যবোধক শব্দ] ‘রাঈনা’ বলো না, বরং [সম্মানকনক শব্দ] ‘উরজুরনা ‘ বল, এবং [তাঁর কথা] মনোযোগের সাথে শোন। অবিশ্বাসীদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি ১০৬।

১০৬। কোন কোন ইহুদী রাসুলুল্লাহ্‌কে (সাঃ) এর নিকট এসে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে তাঁকে, ‘রাঈনা’ বলে সম্বোধন করত। হিব্রু ভাষায় এর অর্থ একটি বদ দোয়া। তারা এ নিয়তেই তা বলতো কিন্তু আরবী ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে ‘আমাদের প্রতি লক্ষ্য করুন’ ফলে আরবীভাষীরা তাদের এই দুরভিসন্ধি বুঝতে পারতো না। ভাল অর্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে কোন কোন মুসলমানও রাসুলুল্লাহ্‌কে এই শব্দে সম্বোধন করতেন। এতে দুষ্টরা আরও আশ্‌কারা পেতো ও পরস্পর হাসাহাসি করতো আর বলতো, ‘এত দিন আমরা গোপনেই তাকে মন্দ বলতাম। এখন এতে মুসলমানদেরও শরীক হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে মন্দ বলার সুযোগ এসেছে’। তাদের এই সুযোগ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ্‌ মুসলমানদের নির্দেশ দিচ্ছেন, ‘হে মুমিনগণ তোমরা ‘রাঈনা’ শব্দটি বলো না। এর পরিবর্তে উনযুরনা বলবে।

সার্বজনীন শিক্ষা হচ্ছে, প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক জাতির মধ্যে একশ্রেণীর লোক থাকে যারা ভালো জিনিষকে কথার মাধ্যমে মন্দভাবে উপস্থাপন করতে ভালবাসে। এরা হচ্ছে বিশ্বনিন্দুক। এদের কথার ধুম্রজালে সাধারণ মানুষ হয় বিভ্রান্ত। আল্লাহ্‌র হুকুম হচ্ছে চিন্তা ও বক্তব্যে সৎ হওয়া। বক্তব্য হবে স্বচ্ছ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। আরও হুকুম হচ্ছে সৎ বিবেকবান নেতার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, যে জাতির চিন্তা ও কথার মধ্যে ব্যবধান থাকে তারা মুনাফিক। কারণ তারা ভাবে এক কথা বলে অন্য কথা এরূপ ব্যক্তি বা জাতির উপর আল্লাহ্‌র গজব অবশ্যই নিপতিত হবে।