সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও দিবাভাগে, সম্ভবতঃ তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন।
So bear patiently (O Muhammad SAW) what they say, and glorify the praises of your Lord before the rising of the sun, and before its setting, and during some of the hours of the night, and at the sides of the day (an indication for the five compulsory congregational prayers), that you may become pleased with the reward which Allâh shall give you.
فَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا وَمِنْ آنَاء اللَّيْلِ فَسَبِّحْ وَأَطْرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّكَ تَرْضَى
Faisbir AAala ma yaqooloona wasabbih bihamdi rabbika qabla tulooAAi alshshamsi waqabla ghuroobiha wamin ana-i allayli fasabbih waatrafa alnnahari laAAallaka tarda
YUSUFALI: Therefore be patient with what they say, and celebrate (constantly) the praises of thy Lord, before the rising of the sun, and before its setting; yea, celebrate them for part of the hours of the night, and at the sides of the day: that thou mayest have (spiritual) joy.
PICKTHAL: Therefor (O Muhammad), bear with what they say, and celebrate the praise of thy Lord ere the rising of the sun and ere the going down thereof. And glorify Him some hours of the night and at the two ends of the day, that thou mayst find acceptance.
SHAKIR: Bear then patiently what they say, and glorify your Lord by the praising of Him before the rising of the sun and before its setting, and during hours of the night do also glorify (Him) and during parts of the day, that you may be well pleased
KHALIFA: Therefore, be patient in the face of their utterances, and praise and glorify your Lord before sunrise and before sunset. And during the night glorify Him, as well as at both ends of the day, that you may be happy.
১৩০। সুতারাং তারা যা বলে , সে বিষয়ে তুমি ধৈর্য ধারণ কর, এবং সূর্যদয়ের পূর্বে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার প্রভুর সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর ২৬৫৪। হ্যাঁ , রাত্রির কিছু অংশ এবং দিবসের প্রান্ত সমূহে মহিমা ঘোষণা কর যেনো তুমি [ আধ্যাত্মিক ] আনন্দ লাভ করতে পার ২৬৫৫।
২৬৫৪। যদিও এই আয়াতটিতে রসুলের [সা] প্রতি উপদেশ দান করা হয়েছে, কিন্তু এর আবেদন সকল যুগের পূণ্যাত্মাদের জন্য প্রযোজ্য। চারিদিকে পাপীদের তান্ডবলীলা দর্শনে পূণ্যাত্মারা অধৈর্য্য হবে না। তারা ধৈর্য্য ধারণ করবে। এই ধৈর্য্য ধারণের অর্থ এই নয় যে, নিষ্ক্রিয়তা, হাত পা গুটিয়ে নিষ্কৃয়ভাবে বসে থাকা। পাপীদের অন্যায় কাজকে বা পাপকে প্রতিহত করার জন্য কোন উদ্যোগই সে গ্রহণ করবে না, একে ধৈর্য্য ধারণ করা বলে না। ইসলামের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পাপের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে এবং এই সংগ্রামে একান্ত বিশ্বস্তভাবে আল্লাহ্র প্রতি নির্ভরশীলতায় পথ অতিক্রম করতে হবে। কোন অবস্থাতেই অধৈর্য হয়ে সংগ্রামের পথকে পরিহার করা চলবে না। আল্লাহ্র কাছে তারা প্রার্থনা করবে , যোগাযোগ স্থাপন করবে যেনো আল্লাহ্ তাদের সৎপথে থাকার ও পাপের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার তৌফিক দান করেন। প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের মনোবল ও বিশ্বাসের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হবে। ফলে তারা অন্যায় ও পাপের বিরুদ্ধে আরও সুদৃঢ় ভাবে অবস্থান গ্রহণ করতে পারবে। তাদের এই সংগ্রামে শুধু যে ইহকালেই তাদের ধৈর্য্য;মনোবল ও বিশ্বাসের ভিত্তি সুদৃঢ় হবে তাই – ই নয় , পরকালেও তারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভ করবে।
২৬৫৫। সূর্যদয়ের পূর্বের প্রার্থনা হচ্ছে ‘ফজর’। সূর্যাস্তের পূর্বে ‘ আসর’ , রাত্রির একাংশ হচ্ছে ‘মাগরিব’ এবং ‘এশা’। মাগরিব হচ্ছে রাত্রির প্রথমাংশ এবং এশা শয়ন গ্রহনের পূর্বে। দিবসের প্রান্তে অর্থাৎ সূর্য মধ্যাহ্ন গগন থেকে হেলে যাওয়ার পরে অর্থাৎ ‘জোহর’। এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের বিবরণ, এখানে দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ তফসীরকারগণ এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথাই বলেছেন। তবে কেউ কেউ এর সাথে ঐচ্ছিক বা নফল এবাদতেরও উল্লেখ করেছেন। আসলে পূণ্যাত্মা ব্যক্তির জীবন হচ্ছে আল্লাহ্র এবাদতে নিবেদিত প্রাণ। তার সর্ব সত্তাই হচ্ছে আল্লাহ্র প্রশংসা গীত। অর্থাৎ নির্দ্দিষ্ট সময়ের বাইরেও তাদের অন্তরাত্মা সর্বদা প্রার্থনায় নিয়োজিত থাকে।