ফেরেশতারা বলবে, আপনি পবিত্র, আমরা আপনার পক্ষে, তাদের পক্ষে নই, বরং তারা জিনদের পূজা করত। তাদের অধিকাংশই শয়তানে বিশ্বাসী।
They (angels) will say: ”Glorified be You! You are our Walî (Lord) instead of them. Nay, but they used to worship the jinns; most of them were believers in them.”
قَالُوا سُبْحَانَكَ أَنتَ وَلِيُّنَا مِن دُونِهِم بَلْ كَانُوا يَعْبُدُونَ الْجِنَّ أَكْثَرُهُم بِهِم مُّؤْمِنُونَ
Qaloo subhanaka anta waliyyuna min doonihim bal kanoo yaAAbudoona aljinna aktharuhum bihim mu/minoona
YUSUFALI: They will say, “Glory to Thee! our (tie) is with Thee – as Protector – not with them. Nay, but they worshipped the Jinns: most of them believed in them.”
PICKTHAL: They will say: Be Thou Glorified. Thou (alone) art our Guardian, not them! Nay, but they worshipped the jinn; most of them were believers in them.
SHAKIR: They shall say: Glory be to Thee! Thou art our Guardian, not they; nay! they worshipped the jinn; most of them were believers in them.
KHALIFA: They will answer, “Be You glorified. You are our Lord and Master, not them. Instead, they were worshiping the jinns; most of them were believers therein.”
৪১। তারা বলবে, ” সব মহিমা তোমার ! রক্ষাকর্তা হিসেবে আমাদের [ বন্ধন ] তোমার সাথে ৩৮৫১ – তাদের সাথে নয়। বরং ওরা জ্বিনদের পূঁজা করতো। ওদের অধিকাংশই তাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলো ৩৮৫২।”
৩৮৫১। “Wali” -এই আরবী শব্দটির অর্থ বন্ধু অর্থাৎ যে রক্ষা করে , অথবা উপকার করে অথবা যে অতিশয় প্রিয়। অর্থাৎ বদ্যানতা,বিশ্বাস,ও বন্ধুত্বের বন্ধন যেখানে বর্তমান। ফেরেশতারা মিথ্যা উপাস্যের পূঁজারীদের সাথে সম্পর্ককে অস্বীকার করবে এবং তাদের নির্ভরশীলতা যে শুধুমাত্র আল্লাহ্র উপরে সেই ঘোষণা দেবে। তারা বলবে যে, তারা শুধুমাত্র আল্লাহ্র নিরাপত্তার উপরে নির্ভরশীল। তারা অন্য কারও নিরাপত্তার জন্য দায়ী নয় বা তারা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাউকে এবাদত করার জন্য উৎসাহ প্রদান করে নাই। তারা আরও বলবে যে, তারা যখন ভান করতো যে, তারা ফেরেশতাদের পূঁজা করছে, আসলে তারা জ্বিনের পূঁজা করে থাকে। দেখুন পরবর্তী টিকা।
৩৮৫২। জ্বিন দেখুন [ ৬ : ১০০ ] এবং টিকা ৯২৯। যাদের ঈমান দুর্বল তারা এক আল্লাহ্র পরির্বতে বিভিন্ন জিনিষকে এবাদতের বস্তুতে পরিণত করে; যেমন : উজ্জ্বল ফেরেশতাদের মূর্তি ,পীর , মাজার , নবী-রাসুল, শক্তিশালী নেতা ইত্যাদি। এরা বিপদ-আপদে আল্লাহ্র পরির্বতে এদের সাহায্য কামনা করে থাকে। তারা আল্লাহ্র পরিবর্তে এদের দাসত্ব করে – যা হচ্ছে শয়তানের লুক্কায়িত শক্তি। এরা শয়তানের শক্তির কাছে আত্মসমর্পন করে এবং এই শক্তিতে বিশ্বাস স্থাপন করে – যদিও আল্লাহ্র শক্তির নিকট এ সব শক্তি অত্যন্ত তুচ্ছ।
মন্তব্য : বাংলাদেশে বর্তমানে আল্লাহ্ ব্যতীতও বিভিন্ন জিনিষের প্রতি এবাদতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন : পীর পূঁজা,মাজার পূঁজা,রত্ন পাথর ধারণ, মাদুলী ধারণ ইত্যাদি।