আমি তাঁকে তোমাদের জন্যে বর্ম নির্মান শিক্ষা দিয়েছিলাম, যাতে তা যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে। অতএব তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে?
And We taught him the making of metal coats of mail (for battles), to protect you in your fighting. Are you then grateful?
وَعَلَّمْنَاهُ صَنْعَةَ لَبُوسٍ لَّكُمْ لِتُحْصِنَكُم مِّن بَأْسِكُمْ فَهَلْ أَنتُمْ شَاكِرُونَ
WaAAallamnahu sanAAata laboosin lakum lituhsinakum min ba/sikum fahal antum shakiroona
YUSUFALI: It was We Who taught him the making of coats of mail for your benefit, to guard you from each other’s violence: will ye then be grateful?
PICKTHAL: And We taught him the art of making garments (of mail) to protect you in your daring. Are ye then thankful?
SHAKIR: And We taught him the making of coats of mail for you, that they might protect you in your wars; will you then be grateful?
KHALIFA: And we taught him the skill of making shields to protect you in war. Are you then thankful?
৮০। আমিই তোমাদের উপকারেরর জন্য তাঁকে লোহার কোট [ বর্ম ] তৈরী করতে শিখিয়েছিলাম , যেনো তোমরা [যুদ্ধক্ষেত্রে ] পরস্পরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পার। সুতারাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে না ? ২৭৩৪, ২৭৩৫।
২৭৩৪। দাউদ নবী সর্বপ্রথম লোহার বর্ম তৈরী করেন। প্রাচীনযুগে যখন তরবারীর সাহায্যে যুদ্ধ হতো , সে ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার জন্য লোহার বর্মের আবিষ্কার এক অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার বইকি। [ ৩৪ : ১০ – ১১ ] আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন যে,এই বিশেষ দক্ষতাটি দাউদ নবীকে আল্লাহ্ দান করেছেন, কারণ দাউদ নবী ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ ও পূণ্যাত্মা ব্যক্তি [ ৩৪ : ১১ ]। তাঁর এই বিশেষ দক্ষতাটি তিনি ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও নির্যাতিতের রক্ষার জন্য ব্যয় করবেন। অর্থাৎ তাঁর যুদ্ধ হবে ধর্মযুদ্ধ। এই আয়াতের মাধ্যমে এই উপদেশ দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্র দান যে কোন দক্ষতাকে মহত্বর উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদন করতে হবে। বর্তমান যুগে বিশ্ব জুড়ে যে অস্ত্র প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে তার পিছনে কোন মহত্বর উদ্দেশ্য নাই, কোন কল্যাণ নাই; যা আছে তা হচ্ছে হিংসা ও সন্ত্রাস ও অন্যকে অবদমিত করার প্রয়াস মাত্র।
২৭৩৫। দাউদ নবীর গুণাবলী কোরাণ শরীফে এ পর্যন্ত যে ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে : ১) তিনি খুব সহজেই ন্যায়কে অন্যায় থেকে পার্থক্য করতে পারতেন, ২) তিনি যে প্রার্থনা সংগীত বা ধর্ম সংগীত গাইতেন তা বিশ্ব প্রকৃতিতে আলোড়ন তুলতো, তারা দাউদ নবীর সংগীতের প্রতিধ্বনি তুলতো, ৩) তিনি লোহার আত্মরক্ষামূলক বর্ম তৈরীতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি এ সব করতে সক্ষম ছিলেন কারণ আল্লাহ্ তাকে এই বিশেষ দক্ষতা বা ক্ষমতা দান করেছিলেন। এই আয়াতে আল্লাহ্ এই উপদেশ দিয়েছেন যে, জ্ঞান , বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য , সংগীত, ইত্যাদি বিভিন্ন মানসিক দক্ষতা বা ক্ষমতা যার সাহায্যে মানুষ সৃজনশীল ক্ষমতার অধিকারী হয় তা সবই আল্লাহ্র বিশেষ দান। মানুষ এই সাধারণ কথাটি ভুলে যেয়ে নিজস্ব কৃতিত্বের অহংকারে মত্ত হয়ে যায় তাই আল্লাহ্ বলেছেন, ” সুতারাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হইবে না ? ” এসব নেয়ামতের জন্য মানুষের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।