1 of 3

033.004

আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন।
Allâh has not put for any man two hearts inside his body. Neither has He made your wives whom you declare to be like your mothers’ backs, your real mothers. [Az­Zihâr is the saying of a husband to his wife, ”You are to me like the back of my mother” i.e. You are unlawful for me to approach.], nor has He made your adopted sons your real sons. That is but your saying with your mouths. But Allâh says the truth, and He guides to the (Right) Way.

مَّا جَعَلَ اللَّهُ لِرَجُلٍ مِّن قَلْبَيْنِ فِي جَوْفِهِ وَمَا جَعَلَ أَزْوَاجَكُمُ اللَّائِي تُظَاهِرُونَ مِنْهُنَّ أُمَّهَاتِكُمْ وَمَا جَعَلَ أَدْعِيَاءكُمْ أَبْنَاءكُمْ ذَلِكُمْ قَوْلُكُم بِأَفْوَاهِكُمْ وَاللَّهُ يَقُولُ الْحَقَّ وَهُوَ يَهْدِي السَّبِيلَ
Ma jaAAala Allahu lirajulin min qalbayni fee jawfihi wama jaAAala azwajakumu alla-ee tuthahiroona minhunna ommahatikum wama jaAAala adAAiyaakum abnaakum thalikum qawlukum bi-afwahikum waAllahu yaqoolu alhaqqa wahuwa yahdee alssabeela

YUSUFALI: Allah has not made for any man two hearts in his (one) body: nor has He made your wives whom ye divorce by Zihar your mothers: nor has He made your adopted sons your sons. Such is (only) your (manner of) speech by your mouths. But Allah tells (you) the Truth, and He shows the (right) Way.
PICKTHAL: Allah hath not assigned unto any man two hearts within his body, nor hath He made your wives whom ye declare (to be your mothers) your mothers, nor hath He made those whom ye claim (to be your sons) your sons. This is but a saying of your mouths. But Allah saith the truth and He showeth the way.
SHAKIR: Allah has not made for any man two hearts within him; nor has He made your wives whose backs you liken to the backs of your mothers as your mothers, nor has He made those whom you assert to be your sons your real sons; these are the words of your mouths; and Allah speaks the truth and He guides to the way.
KHALIFA: GOD did not give any man two hearts in his chest. Nor did He turn your wives whom you estrange (according to your custom) into your mothers. Nor did He turn your adopted children into genetic offspring. All these are mere utterances that you have invented. GOD speaks the truth, and He guides in the (right) path.

০৪। আল্লাহ্‌ কোন মানুষের [ একটি ] শরীরে দুটি হৃদয় স্থাপন করেন নাই ৩৬৬৯ ; অথবা তোমাদের যে সকল স্ত্রীকে তোমরা জেহার [ মা বলে সম্বোধন ] কর তাদের তোমাদের মা করেন নাই ৩৬৭০। এবং তোমাদের পোষ্য পুত্রকে পুত্র করেন নাই ৩৬৭১। এগুলি তোমাদের মুখের কথা [ মাত্র ] । কিন্তু আল্লাহ্‌ [তোমাদের ] সত্য বলেন , এবং তিনি [সঠিক ] পথ দেখিয়ে থাকেন।

৩৬৬৯। “মানুষের শরীরে দুইটি হৃদয় স্থাপন করেন নাই।” দুইটি হৃদয় অর্থাৎ দুইটি অসঙ্গত আত্মবিরোধী আচরণ , যেমন : একই সাথে আল্লাহকে এবং অসদুপায়ে প্রাপ্ত ধনদৌলত বা দুর্নীতির আরাধনা করা সম্ভব নয়। অথবা একই সাথে সত্যের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন এবং কুসংস্কারচ্ছন্ন হওয়া সম্ভব নয়। অথবা মোনাফেকদের ন্যায় একটি জিনিষের ভান করা এবং কিন্তু মনের উদ্দেশ্য বিপরীত থাকা ইত্যাদি। অর্থাৎ দুই বিপরীত আচরণ একই ব্যক্তির চরিত্রে থাকা কোনও প্রকারে সম্ভব নয়। যে দুর্নীতিপরায়ণ বা মোনাফেক বা কুসংস্কারচ্ছন্ন তার আত্মা অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যাবে। সেখানে সত্যের আলো প্রবেশ লাভ করা সম্ভব নয়। কারণ এই-ই হচ্ছে আল্লাহ্‌র আইন। জাগতিক প্রাকৃতিক আইনের ন্যায় আল্লাহ্‌ আমাদের জন্য আধ্যাত্মিক আইনের সৃষ্টি করেছেন। সেই আইনের অধীনে এরূপ বিপরীত কর্মধারা একই ব্যক্তির পক্ষে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এ সবই তখন মোনাফেকীর নামান্তর হয়ে দাঁড়ায়। এই আয়াতে অজ্ঞতার যুগের পৌত্তলিক আরবদের দুইটি খারাপ প্রথার উল্লেখ করা হয়েছে উদাহরণ হিসেবে এবং তাদের অন্যায় আচরণের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। দেখুন টিকা ৩৬৭০ এবং ৩৬৭১।

৩৬৭০। প্রাক্‌-ইসলামী যুগে আরব সমাজে যদি কোনি ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলতো, ” তুমি আমার জন্য আমার মাতার পৃষ্ঠদেশ ‘ তাহলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যেতো। এভাবে বিয়ের বন্ধনকে ছিন্ন করাকে ইসলামী পরিভাষায় জিহার বলে। আরও দেখুন আয়াত [ ৫৮ : ১ – ৫ ] যেখানে জিহারকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। এবং শাস্তির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষ লোকে রাগের বশবর্তী হয়ে এরূপ বাক্য উচ্চারণ করতে পারে তার ফলে তার কোন সামাজিক স্বীকৃতির বা সম্মান হানি ঘটে না; কিন্তু নারীর জন্য সমাজে তা অত্যন্ত অসম্মানজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

৩৬৭১। প্রাক্‌-ইসলাম যুগে পোষ্য পুত্রকে আপন পুত্রবৎ গণ্য করা হতো। এই আয়াতে বলা হয়েছে পোষ্য পুত্র আপন পুত্র নয়। শরীয়তে পিতা -পুত্রের যে সম্পর্ক নির্ধারিত হয়েছে তা পোষ্য পুত্রের জন্য প্রযোজ্য নয়। পোষ্য পুত্রের ধারণা পিতা-পুত্রের সাধারণ সম্পর্ককে জটিল করতে পারে। কারণ এ ধারণার সাথে রক্তের সম্পর্ক বিদ্যমান নয় -এগুলি শুধুমাত্র একটা ধারণা বা কথার কথা। এগুলি আক্ষরিক , প্রকৃত সত্য নয়। প্রকৃত সত্যকে মুখের কথায় পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। মুখের কথায় জীববিজ্ঞানের বংশগতির ধারাকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। মুসলিম আইনে পোষ্য পুত্রের ধারণা অমূলক। সেই কারণে তালাকপ্রাপ্ত নিজ পুত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম কিন্তু পোষ্য পুত্রের বেলাতে এই আইন প্রযোজ্য নয়। দেখুন আয়াত [ ৪ : ২৩ ]।