1 of 3

030.043

যে দিবস আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাহূত হবার নয়, সেই দিবসের পূর্বে আপনি সরল ধর্মে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন। সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে।
So set you (O Muhammad SAW) your face to (the obedience of Allâh, your Lord) the straight and right religion (Islâmic Monotheism), before there comes from Allâh a Day which none can avert it. On that Day men shall be divided [(in two groups), a group in Paradise and a group in Hell].

فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ الْقَيِّمِ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهُ مِنَ اللَّهِ يَوْمَئِذٍ يَصَّدَّعُونَ
Faaqim wajhaka lilddeeni alqayyimi min qabli an ya/tiya yawmun la maradda lahu mina Allahi yawma-ithin yassaddaAAoona

YUSUFALI: But set thou thy face to the right Religion before there come from Allah the Day which there is no chance of averting: on that Day shall men be divided (in two).
PICKTHAL: So set thy purpose resolutely for the right religion, before the inevitable day cometh from Allah. On that day mankind will be sundered-
SHAKIR: Then turn thy face straight to the right religion before there come from Allah the day which cannot be averted; on that day they shall become separated.
KHALIFA: Therefore, you shall devote yourself completely to this perfect religion, before a day comes which is made inevitable by GOD. On that day, they will be shocked.

৪৩। অতএব, সঠিক ধর্মের দিকে তোমার লক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত কর, আল্লাহ্‌র নিকট থেকে সে দিন আসার পূর্বেই যাকে ফেরানোর কোন সম্ভাবনা নাই ৩৫৫৯। সেদিন মানুষ [ দুদলে ] বিভক্ত হয়ে পড়বে ৩৫৬০।

৩৫৫৯। ইসলাম হচ্ছে সহজ সরল দ্বীন। মিথ্যা ও পাপ মানুষকে দ্বীনের সহজ সরল পথ থেকে বিচ্যূত করে দেয়। ফলে জীবনের ভারসাম্য বিচ্যুত হয়ে যায়, মানুষ মিথ্যামূল্য-বোধ ও আনুষ্ঠানিকতাকে ধর্ম বলে মনে করতে থাকে। খুব বেশী দেরী হয়ে যাওয়ার পূর্বেই আমাদের ভুল পথকে পরিহার করা উচিত। রোজ-কেয়ামত বা “সেই অনিবার্য দিন” – যা অবশ্যই আসবে যেদিন ব্যক্তির প্রতিটি কাজের প্রকৃত মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করা হবে এবং সকল মিথ্যা এবং পাপকে ধ্বংস করা হবে। বর্তমান জীবনে পাপকে অনুধাবনের মাধ্যমে ,পাপকে পরিহার করা এবং অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনই হচ্ছে শেষ বিচারের দিনের ভয়াবহ পরিণতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার একমাত্র পথ। যখন কেয়ামত সংঘটিত হবে, তখন অনেক দেরী হয়ে যাবে , আর অনুতাপ করার সময় পাওয়া যাবে না। কারণ তখন পাপ ও পূণ্য ; ভালো ও মন্দের মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য বাঁধার সৃষ্টি করা হবে, যার ফলে আল্লাহ্‌র নির্দ্দেশিত পথে তখন আর ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না।

৩৫৬০। শেষ বিচারের দিন বা কেয়ামত দিবসে মানুষ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়বে। তারাই হতভাগ্য, যারা পার্থিব জীবনে সত্যকে প্রত্যাখান করেছিলো, ধর্মীয় বিশ্বাসকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছিলো , পরলোকে তারা নির্মম যন্ত্রণার সম্মুখীন হবে। আর অন্যদল হচ্ছে যারা পূণ্যাত্মা তারা লাভ করবে শান্তি এবং তাদের আত্মা সকল কামনা-বাসনা থেকে মুক্তি লাভ করবে [নীচের আয়াত দেখুন ]। পৃথিবীতে তাদের কৃতকর্মের দ্বারা তারা আল্লাহ্‌র আর্শীবাদে ধন্য হয় এবং তাদের জীবন সুখ ও শান্তিতে ভরে ওঠে ,ইহকালে ও পরকালেও।