1 of 3

025.015

বলুন এটা উত্তম, না চিরকাল বসবাসের জান্নাত, যার সুসংবাদ দেয়া হয়েছে মুত্তাকীদেরকে? সেটা হবে তাদের প্রতিদান ও প্রত্যাবর্তন স্থান।
Say: (O Muhammad SAW) ”Is that (torment) better or the Paradise of Eternity promised to the Muttaqûn (pious and righteous persons – see V.2:2)?” It will be theirs as a reward and as a final destination.

قُلْ أَذَلِكَ خَيْرٌ أَمْ جَنَّةُ الْخُلْدِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ كَانَتْ لَهُمْ جَزَاء وَمَصِيرًا
Qul athalika khayrun am jannatu alkhuldi allatee wuAAida almuttaqoona kanat lahum jazaan wamaseeran

YUSUFALI: Say: “Is that best, or the eternal garden, promised to the righteous? for them, that is a reward as well as a goal (of attainment).
PICKTHAL: Say: Is that (doom) better or the Garden of Immortality which is promised unto those who ward off (evil)? It will be their reward and journey’s end.
SHAKIR: Say: Is this better or the abiding garden which those who guard (against evil) are promised? That shall be a reward and a resort for them.
KHALIFA: Say, “Is this better or the eternal Paradise that is promised for the righteous? It is their well deserved reward; a well deserved destiny.”

১৪। “আজকে [শুধু ] একবার ধ্বংসের আবেদন করো না, [বরং ] বারে বারে ধ্বংসের জন্য আবেদন কর।”

১৫। বল, ” এটাই কি উত্তম , না স্থায়ী বেহেশ্‌ত , যার প্রতিশ্রুতি পূণ্যাত্মাদের দেয়া হয়েছে তা ? ৩০৬৯ তাদের জন্য এটা হচ্ছে পুরষ্কার এবং [ সকল চাওয়া পাওয়ার ] শেষ গন্তব্য স্থল ৩০৭০।

৩০৬৯। এখানে বক্তব্যের ধারাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। পরকালের দোযখের আগুন ও বেহেশতের শান্তির বর্ণনার পরে মর্তের মানুষদের সম্বোধন করে বলা হয়েছে , ” পাপের ও পূণ্যের ফলাফল এখানে বর্ণনা করা হয়েছে, এখন বল তোমরা কোনটা পছন্দ করবে ? ”

৩০৭০। এই আয়াতটি গভীর তত্বজ্ঞান পূর্ণ। পাপ ও পূণ্যের বিচার এবং শাস্তি ও পুরষ্কার। শুধু সাদামাটা এই বক্তব্যের দ্বারা আয়াতটির পূর্ণ অর্থ বোধগম্য নয়। পুরষ্কার শব্দটি দ্বারা সঠিক ভাবকে প্রকাশ করা যায় না কারণ ১) পূণ্যাত্মারা বেহেশতে যে শান্তি লাভ করবেন তা তাদের কৃত কর্মের পুরষ্কারের বহুগুণ হবে এবং ২) পূণ্যাত্মা নিজেই নিজের পুরষ্কার। পূণ্যাত্মাদের প্রকাশ এ ভাবে করা যায় যে, তাদের সকল ইচ্ছা এমন কি সর্বোচ্চ ইচ্ছাকেও সম্মান করা হবে। পার্থিব জীবনে তাদের একান্ত এবং সর্বোচ্চ কাম্য ছিলো আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য লাভ করা, পরলোকে স্রষ্টা তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করবেন। আল্লাহ্‌র সান্নিধ্যে পূণ্যাত্মারা হবে ধন্য। মানব জীবনের সর্বোচ্চ পাওয়ায় তারা হবেন পরিতৃপ্ত তাদের আত্মার মোক্ষলাভ ঘটবে।