1 of 3

024.040

অথবা (তাদের কর্ম) প্রমত্ত সমুদ্রের বুকে গভীর অন্ধকারের ন্যায়, যাকে উদ্বেলিত করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ, যার উপরে ঘন কালো মেঘ আছে। একের উপর এক অন্ধকার। যখন সে তার হাত বের করে, তখন তাকে একেবারেই দেখতে পায় না। আল্লাহ যাকে জ্যোতি দেন না, তার কোন জ্যোতিই নেই।
Or [the state of a disbeliever] is like the darkness in a vast deep sea, overwhelmed with a great wave topped by a great wave, topped by dark clouds, darkness, one above another, if a man stretches out his hand, he can hardly see it! And he for whom Allâh has not appointed light, for him there is no light.

أَوْ كَظُلُمَاتٍ فِي بَحْرٍ لُّجِّيٍّ يَغْشَاهُ مَوْجٌ مِّن فَوْقِهِ مَوْجٌ مِّن فَوْقِهِ سَحَابٌ ظُلُمَاتٌ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ إِذَا أَخْرَجَ يَدَهُ لَمْ يَكَدْ يَرَاهَا وَمَن لَّمْ يَجْعَلِ اللَّهُ لَهُ نُورًا فَمَا لَهُ مِن نُّورٍ
Aw kathulumatin fee bahrin lujjiyyin yaghshahu mawjun min fawqihi mawjun min fawqihi sahabun thulumatun baAAduha fawqa baAAdin itha akhraja yadahu lam yakad yaraha waman lam yajAAali Allahu lahu nooran fama lahu min noorin

YUSUFALI: Or (the Unbelievers’ state) is like the depths of darkness in a vast deep ocean, overwhelmed with billow topped by billow, topped by (dark) clouds: depths of darkness, one above another: if a man stretches out his hands, he can hardly see it! for any to whom Allah giveth not light, there is no light!
PICKTHAL: Or as darkness on a vast, abysmal sea. There covereth him a wave, above which is a wave, above which is a cloud. Layer upon layer of darkness. When he holdeth out his hand he scarce can see it. And he for whom Allah hath not appointed light, for him there is no light.
SHAKIR: Or like utter darkness in the deep sea: there covers it a wave above which is another wave, above which is a cloud, (layers of) utter darkness one above another; when he holds out his hand, he is almost unable to see it; and to whomsoever Allah does not give light, he has no light.
KHALIFA: Another allegory is that of being in total darkness in the midst of a violent ocean, with waves upon waves, in addition to thick fog. Darkness upon darkness – if he looked at his own hand, he could barely see it. Whomever GOD deprives of light, will have no light.

৪০। অথবা [ অবিশ্বাসীদের অবস্থা হচ্ছে ] গভীর সমুদ্র তলের জমাট অন্ধকার সদৃশ্য যাকে আচ্ছন্ন করে ঢেউয়ের উপরে ঢেউ, যার উর্দ্ধে মেঘপুঞ্জ ৩০১৩। স্তরের উপরে স্তর জমাট অন্ধকার পুঞ্জ ৩০১৪। যদি কেহ নিজের হাতকে প্রসারিত করে সে তা আদৌ দেখতে পাবে না। যাকে আল্লাহ্‌ জ্যোতি দান করেন না , তার জন্য কোন আলো নাই ৩০১৫।

৩০১৩। অন্ধকারের কি ভয়ানক চিত্র এই আয়াতে আঁকা হয়েছে। এই অন্ধকার হচ্ছে আত্মার অন্ধকার। যে হৃদয় স্রষ্টাকে হৃদয়ের মাঝে অনুভব করতে পারে তাঁর আত্মা মুক্তি পায় অন্ধকার থেকে, আলোর জগতে তাঁর বিচরণ। আল্লাহ্‌র অস্তিত্বের অনুভূতি তার আত্মাকে সত্যের আলোতে ভরিয়ে দেয়। ফলে এই পৃথিবীর জীবন তাঁর জন্য হয় শান্তিময় এবং পরলোকের জীবনের সে পায় নিরাপত্তার আশ্বাস। অপর পক্ষে আল্লাহকে অস্বীকারকারী ও আল্লাহ্‌র সত্যকে [ বিধান ] বিসর্জনকারীরা কখনও তাদের আত্মার মাঝে আল্লাহ্‌র অস্তিত্বকে অনুভবে সক্ষম হবে না। সুতারাং প্রকৃত সত্যের বা আল্লাহ্‌ নূরের আলো থেকে তারা হবে বঞ্চিত। এ সব আত্মা বিভ্রান্তির ধূম্রজালের অতল গহ্বরে নিপতিত হয়। এই অন্ধকারকে গভীর সাগরের তলদেশে , গভীর অন্ধকার তার উপরে ঢেউএর উপরে ঢেউ। সেই সাথে গভীর কালো মেঘপুঞ্জ সূর্যের আলো ঢেকে দিয়েছে। আত্মার সেই অন্ধকারকে ভাষায় প্রকাশের জন্য উপরের উপমাগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে।

দ্রষ্টব্য : গভীর সমুদ্রের তলদেশের অন্ধকার আমরা কল্পনা করতে পারি না। কারণ মানুষের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয় – পানির প্রচন্ড চাপের কারণে। কিন্তু অগভীর সমুদ্রের তলদেশেও আলোর প্রবেশ লাভ খুব একটা ঘটে না। কারণ এসব গভীরতায় যে সব মাছ পাওয়া যায়, দেখা যায় তাদের দৃষ্টি শক্তি নাই। কারণ সেই অন্ধকারে দৃষ্টিশক্তির প্রয়োজন হয় না।

৩০১৪। “স্তরের উপর স্তর অন্ধকার পুঞ্জ ” – এই লাইনটি তুলনা যোগ্য [ ২৪ : ৩৫ ] আয়াতের পংক্তিটি যেখানে বলা হয়েছে ” জ্যোতির উপর জ্যোতি “। পাপীদের আত্মিক অবস্থা ও পূণ্যাত্মাদের আত্মিক অবস্থা উপরের পংক্তিদ্বয়ের দ্বারা রূপকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

৩০১৫। একমাত্র আল্লাহ্‌-ই হচ্ছেন জাগতিক ও আধ্যাত্মিক সকল আলোর উৎস। মোমেন বান্দাদের হৃদয় বা আত্মা আল্লাহ্‌র নূরে আলোকিত হয়। তাদের আত্মায় আল্লাহ্‌র সত্য ভাস্বর হয়। এ সব আলোকিত আত্মিক গুণসম্পন্ন লোকের কর্ম দ্বারা পৃথিবীর অংগন আলোকিত হয়। তাদের কাজের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র আলোর প্রতিফলন ঘটে – যার উল্লেখ পূর্বের আয়াতে করা হয়েছে। যারা আল্লাহ্‌র সত্যকে অস্বীকার করে, তার বিধানের বিরোধিতা করে তারা আল্লাহ্‌র নূর থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে তাদের আত্মায় আলোকিত হওয়ার সকল পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এ সব আত্মাকেই বলা হয়েছে অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত আত্মা। আল্লাহ্‌র নূর বঞ্চিত আত্মা হবে সম্পূর্ণ অন্ধকারে নিমজ্জিত। এই অন্ধকার হবে সম্পূর্ণ জ্যোতিহীন। অর্থাৎ আপেক্ষিক বা হাল্‌কা অন্ধকার হবে না।