1 of 3

002.217

সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।
They ask you concerning fighting in the Sacred Months (i.e. 1st, 7th, 11th and 12th months of the Islâmic calendar). Say, ”Fighting therein is a great (transgression) but a greater (transgression) with Allâh is to prevent mankind from following the Way of Allâh, to disbelieve in Him, to prevent access to Al-Masjid-al-Harâm (at Makkah), and to drive out its inhabitants, and Al-Fitnah is worse than killing. And they will never cease fighting you until they turn you back from your religion (Islâmic Monotheism) if they can. And whosoever of you turns back from his religion and dies as a disbeliever, then his deeds will be lost in this life and in the Hereafter, and they will be the dwellers of the Fire. They will abide therein forever.”

يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ وَصَدٌّ عَن سَبِيلِ اللّهِ وَكُفْرٌ بِهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِ مِنْهُ أَكْبَرُ عِندَ اللّهِ وَالْفِتْنَةُ أَكْبَرُ مِنَ الْقَتْلِ وَلاَ يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّىَ يَرُدُّوكُمْ عَن دِينِكُمْ إِنِ اسْتَطَاعُواْ وَمَن يَرْتَدِدْ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُوْلَـئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
Yas-aloonaka AAani alshshahri alharami qitalin feehi qul qitalun feehi kabeerun wasaddun AAan sabeeli Allahi wakufrun bihi waalmasjidi alharami wa-ikhraju ahlihi minhu akbaru AAinda Allahi waalfitnatu akbaru mina alqatli wala yazaloona yuqatiloonakum hatta yaruddookum AAan deenikum ini istataAAoo waman yartadid minkum AAan deenihi fayamut wahuwa kafirun faola-ika habitat aAAmaluhum fee alddunya waal-akhirati waola-ika as-habu alnnari hum feeha khalidoona

YUSUFALI: They ask thee concerning fighting in the Prohibited Month. Say: “Fighting therein is a grave (offence); but graver is it in the sight of Allah to prevent access to the path of Allah, to deny Him, to prevent access to the Sacred Mosque, and drive out its members.” Tumult and oppression are worse than slaughter. Nor will they cease fighting you until they turn you back from your faith if they can. And if any of you Turn back from their faith and die in unbelief, their works will bear no fruit in this life and in the Hereafter; they will be companions of the Fire and will abide therein.
PICKTHAL: They question thee (O Muhammad) with regard to warfare in the sacred month. Say: Warfare therein is a great (transgression), but to turn (men) from the way of Allah, and to disbelieve in Him and in the Inviolable Place of Worship, and to expel His people thence, is a greater with Allah; for persecution is worse than killing. And they will not cease from fighting against you till they have made you renegades from your religion, if they can. And whoso becometh a renegade and dieth in his disbelief: such are they whose works have fallen both in the world and the Hereafter. Such are rightful owners of the Fire: they will abide therein.
SHAKIR: They ask you concerning the sacred month about fighting in it. Say: Fighting in it is a grave matter, and hindering (men) from Allah’s way and denying Him, and (hindering men from) the Sacred Mosque and turning its people out of it, are still graver with Allah, and persecution is graver than slaughter; and they will not cease fighting with you until they turn you back from your religion, if they can; and whoever of you turns back from his religion, then he dies while an unbeliever– these it is whose works shall go for nothing in this world and the hereafter, and they are the inmates of the fire; therein they shall abide.
KHALIFA: They ask you about the Sacred Months and fighting therein: say, “Fighting therein is a sacrilege. However, repelling from the path of GOD and disbelieving in Him and in the sanctity of the Sacred Masjid, and evicting its people, are greater sacrileges in the sight of GOD. Oppression is worse than murder.” They will always fight you to revert you from your religion, if they can. Those among you who revert from their religion, and die as disbelievers, have nullified their works in this life and the Hereafter. These are the dwellers of Hell, wherein they abide forever.

রুকু – ২৭

২১৭। পবিত্র মাসে যুদ্ধ করা সম্পর্কে লোকে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে ২৩৭। বল, ‘তখন যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়। কিন্তু আল্লাহ্‌র পথে বাঁধা দান করা, আল্লাহ্‌কে অস্বীকার করা, মসজিদুল হারামে প্রবেশে বাঁধা দান করা এবং এর সদস্যদের [সেখান থেকে] বিতাড়িত করা, আল্লাহ্‌র নিকট অধিকতর অন্যায় ২৩৮।’ দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও উৎপীড়ন হত্যা অপেক্ষাও নিকৃষ্ট ২৩৯। তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে বিরত হবে না যতক্ষণ না তারা তোমাদেরকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে, যদি তারা [তা করতে] সক্ষম হয়। আর যদি তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং অবিশ্বাসী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে; পৃথিবীতে এবং পরলোকে তাদের [সকল] কাজকর্ম হবে মূল্যহীন। তারা হবে আগুনের অধিবাসী এবং সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

২৩৭। পবিত্র মাস দেখুন [২:১৯৪] ও টিকা ২০৯।

২৩৮। রাসূল (সাঃ) এর কয়েকজন সাহাবা কোন এক সফরে ঘটনাচক্রে কাফিরদের সাথে একটি খণ্ডযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সে যুদ্ধে একজন কাফির নিহত হয়। দিনটি ছিল রজব মাসের পহেলা তারিখ। যেহেতু ঘটনাটি নিষিদ্ধ মাসে সংঘটিত হয়েছিল, তাই কাফিররা মুসলমানদের দোষারোপ করতে লাগল যে, মুসলমানেরা নিষিদ্ধ মাসের সম্মান পর্যন্ত করে না। তাতে মুসলমানগণ চিন্তিত হয়ে রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন। এখানে তারই উত্তরে ইরশাদ হচ্ছে উপরের আয়াত। হিজরতের পূর্বে মক্কার সেই দুর্বিসহ দিনগুলিতে নও মুসলমানদের অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে হতো। তারা এই নির্যাতন দীর্ঘকাল ভোগ করেন যতদিন না আল্লাহ্‌ তাদের আত্মরক্ষার্থে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার হুকুম দান করেন। তারা নিষিদ্ধ মাসে আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু তা ছিল তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফলে তারা বিবেকের দংশনে জর্জরিত হয়েছিলেন। শত্রুরা শুধু যে তাদের যুদ্ধ করতে বাধ্য করে তাদের বিবেককে ক্ষত বিক্ষত করেছিল তাই-ই নয় তারা তাদের উপরে অপমান, অত্যাচারের ঝড় বইয়ে দিয়েছিলো। তারা আল্লাহ্‌কে অস্বীকার করতো, মুসলমানদেরকে কাবা ঘর থেকে বের করে দিত, মুসলমানদের নির্বাসনে যেতে বাধ্য করতো ইত্যাদি। এই আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন যে, ফিৎনা বা সন্ত্রাস হত্যার চেয়ে বেশী অপরাধ।

২৩৯। আয়াত [২:১৯১, ১৯৩]-টি, আয়াত [২:২১৭] এরই অনুরূপ। ফিৎনা কথাটির অর্থ করা হয়েছে দাঙ্গা, বিশৃঙ্খলা, গৃহযুদ্ধ, শিরক্‌, কুফর, ধর্মীয় নির্যাতন ইত্যাদি।