আর এমন কিছু লোক রযেছে যাদের পার্থিব জীবনের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে। আর তারা সাক্ষ্য স্থাপন করে আল্লাহকে নিজের মনের কথার ব্যাপারে। প্রকৃতপক্ষে তারা কঠিন ঝগড়াটে লোক।
And of mankind there is he whose speech may please you (O Muhammad SAW), in this worldly life, and he calls Allâh to witness as to that which is in his heart, yet he is the most quarrelsome of the opponents.
وَمِنَ النَّاسِ مَن يُعْجِبُكَ قَوْلُهُ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيُشْهِدُ اللّهَ عَلَى مَا فِي قَلْبِهِ وَهُوَ أَلَدُّ الْخِصَامِ
Wamina alnnasi man yuAAjibuka qawluhu fee alhayati alddunya wayushhidu Allaha AAala ma fee qalbihi wahuwa aladdu alkhisami
YUSUFALI: There is the type of man whose speech about this world’s life May dazzle thee, and he calls Allah to witness about what is in his heart; yet is he the most contentious of enemies.
PICKTHAL: And of mankind there is he whoso conversation on the life of this world pleaseth thee (Muhammad), and he calleth Allah to witness as to that which is in his heart; yet he is the most rigid of opponents.
SHAKIR: And among men is he whose speech about the life of this world causes you to wonder, and he calls on Allah to witness as to what is in his heart, yet he is the most violent of adversaries.
KHALIFA: Among the people, one may impress you with his utterances concerning this life, and may even call upon GOD to witness his innermost thoughts, while he is a most ardent opponent.
২০৪। একদল লোক আছে পার্থিব জীবন সম্বন্ধে যাদের কথাবার্তা তোমাকে চমৎকৃত করবে ২২৭। এবং সে তার অন্তরের [কথা] সম্বন্ধে আল্লাহ্কে সাক্ষী রাখে। প্রকৃত পক্ষে শত্রুদের মধ্যে সেই সবচেয়ে বেশী কলহ প্রিয়।
২০৫। যখন সে ফিরে যায়, তার উদ্দেশ্য হয় পৃথিবীর সর্বত্র অশান্তির সৃষ্টি করা এবং শস্য ও গৃহপালিত পশুর ধ্বংস সাধন করা। আর অশান্তি সৃষ্টিকারীকে আল্লাহ্ পছন্দ করেন না।
২০৬। যখন তাদের বলা হয়, ‘আল্লাহ্কে ভয় কর’, তখন সে তার ঔদ্ধত্য [রিপুর] দ্বারা পরিচালিত হয় [আরও] অপরাধের প্রতি। এদের জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট; [শোওয়ার জন্য] কত নিকৃষ্ট সে বিছানা।
২২৭। আয়াত [২:২০০] এবং আয়াত [২:২০১] এ দু’ধরণের লোকের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এই আয়াতে [২:২০৪] তৃতীয় আর এক ধরণের লোকের কথা বলা হয়েছে। এরা হচ্ছে ধূর্ত চালাক এবং কথা বার্তায় সাবলীল মোনাফেক। সাধারণ মানুষ এদের মনে করে, দুনিয়াদারী সম্বন্ধে অত্যন্ত অভিজ্ঞ। চমকপ্রদ কথা বার্তার ফলে এদের কথা দ্বারা তারা মোহবিষ্ট হয়ে পড়ে। নিষ্ঠাবান মুমিন মুসলমান, যারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য আত্ম বিসর্জন দিকে কুণ্ঠাবোধ করেন না, এদের ক্ষতি সাধন করা, তাদের বিপথে চালিত করাই এই সব মোনাফেকদের উদ্দেশ্য। এদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহ্ বলেছেন (১) এরা মুখে অত্যন্ত মিষ্টি কিন্তু পিছনে এরা অঘটন ঘটনে পটিয়সী। (২) বিবাদ-বিসংবাদ ঘটানো, ঘৃণা-দ্বেষ, ঈর্ষা ছড়াতে এরা ওস্তাদ। (৩) এদের বাক্চাতুর্য্য আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হবে অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত এবং যুক্তিসঙ্গত। (৪) এরা কথায় কথায় প্রতিজ্ঞা করে। সাধারণ ব্যক্তিদের পক্ষে এদের জাল জুয়াচুরি ধরা প্রায় অসম্ভব। (৫) এরা পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তা থেকে ফায়দা লুটতে আগ্রহী, এরা আল্লাহ্র অনুগ্রহ বঞ্চিত।