আমি পর্বতমালাকে তার অনুগামী করে দিয়েছিলাম, তারা সকাল-সন্ধ্যায় তার সাথে পবিত্রতা ঘোষণা করত;
It was We that made the hills declare, in unison with him, Our Praises, at eventide and at break of day,
إِنَّا سَخَّرْنَا الْجِبَالَ مَعَهُ يُسَبِّحْنَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِشْرَاقِ
Inna sakhkharna aljibala maAAahu yusabbihna bialAAashiyyi waal-ishraqi
YUSUFALI: It was We that made the hills declare, in unison with him, Our Praises, at eventide and at break of day,
PICKTHAL: Lo! We subdued the hills to hymn the praises (of their Lord) with him at nightfall and sunrise,
SHAKIR: Surely We made the mountains to sing the glory (of Allah) in unison with him at the evening and the sunrise,
KHALIFA: We committed the mountains in his service, glorifying with him night and day.
১৮। আমি পর্বতমালাকে তার সাথে সন্ধ্যায় ও ঊষালগ্নে আমার মহিমা ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিলাম ৪১৬৮।
৪১৬৮। দেখুন আয়াত [২১ : ৭৯ ] ও টিকা ২৭৩৩। মানুষের অনুভুতিকে উপলব্ধির মাধ্যমে তীক্ষ্ণ করলে মানুষ দেখতে পেতো বিশ্বপ্রকৃতি সকল কিছুই আল্লাহ্র প্রশংসা কীর্তন করে চলেছে , আল্লাহ্র একত্ব ঘোষণা করছে। বিশ্ব প্রকৃতির সকল কিছুই এক প্রাকৃতিক আইনের অধীনে নিয়ন্ত্রিত , যেমন আলোর কথাই ধরা যাক, বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের সকল স্থানেই আলোর ধর্ম এক। মঙ্গলে এক ধর্ম , নিহারিকাতে আর এক ধর্ম , পৃথিবীতে আলোর জন্য অন্য ধর্ম , এ ব্যবস্থা বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের কোথাও নাই। বিভিন্ন স্রষ্টা হলে তাই-ই ঘটতো। এভাবেই জড় ও জীব প্রত্যেকেই একই সুত্রে গাঁথা এবং একই সুত্র মানার মাধ্যমে তারা আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ ঘটায় ও প্রশংসা গীত গায়। দাউদ নবীকে আল্লাহ্র সঙ্গীতে বিশেষ প্রতিভা দান করেন। তিনি যখন আল্লাহ্র প্রশংসা গীত গাইতেন তখন তাঁর সাথে আকাশ-বাতাস, পাহাড়-পর্বত, বিশ্ব প্রকৃতি যোগদান করতো। প্রভাতে পাখীরা যখন তাদের সারাদিনের যাত্রার জন্য প্রস্তুত হয় , সন্ধ্যায় পাখীরা যখন দিন শেষে তাদের সারা রাতের ঘুমের জন্য নীড়ে ফিরে আসে, তখন পাখীরা সমস্বরে ডাকাডাকি করে। দাউদ নবীর সাথে এই সময়ে পাখীরা একসাথে আল্লাহ্র গুণগানে নিমগ্ন হয়ে পড়তো।