সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলেন? আমি তো চক্ষুমান ছিলাম।
He will say:”O my Lord! Why have you raised me up blind, while I had sight (before).”
قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرْتَنِي أَعْمَى وَقَدْ كُنتُ بَصِيرًا
Qala rabbi lima hashartanee aAAma waqad kuntu baseeran
YUSUFALI: He will say: “O my Lord! why hast Thou raised me up blind, while I had sight (before)?”
PICKTHAL: He will say: My Lord! Wherefor hast Thou gathered me (hither) blind, when I was wont to see?
SHAKIR: He shall say: My Lord! why hast Thou raised me blind and I was a seeing one indeed?
KHALIFA: He will say, “My Lord, why did you summon me blind, when I used to be a seer?”
১২৫। সে বলবে, ” হে আমার প্রভু! কেন তুমি আমাকে দৃষ্টিহীন ভাবে উত্থিত করলে, যখন [ পূর্বে ] আমার দৃষ্টিশক্তি ছিলো ? ” ২৬৪৯।
২৬৪৯। এই পৃথিবীতে আল্লাহ্ আদম সন্তানকে পঞ্চ ইন্দ্রিয় শোভিত করে প্রেরণ করেন। এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সে পার্থিব জ্ঞান লাভ করে। আর এই পার্থিব জ্ঞান আল্লাহ্র প্রদর্শিত পথে পরিশুদ্ধ হয়ে ব্যক্তির জীবনে বিবেকের জন্ম দেয়। সে আল্লাহ্র প্রদর্শিত পথে থেকে ন্যায় – অন্যায় , সত্য – মিথ্যা , ভালো – মন্দ ও পূণ্য – পাপের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখে। এই হচ্ছে বিবেক বা অন্তর্দৃষ্টি বা আত্মার চক্ষু। পৃথিবীতে বিবেকহীন ব্যক্তিরও শারিরীক চক্ষু বিদ্যমান। সে ভুলে যায় এই চক্ষু তাকে দান করা হয়েছে তাকে পরীক্ষার জন্য। কিভাবে সে এই পৃথিবীতে তার চক্ষুকে ব্যবহার করে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করে তা পরীক্ষার জন্য। যদি সে এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়, তবে মৃত্যুর সাথে সাথে সে যখন জাগতিক দৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে, পরকালের জন্য সে হবে অন্ধ সদৃশ্য, কারণ পৃথিবীতে সে ছিলো অন্তর্দৃষ্টি হীন।