1 of 3

002.142

এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।
The fools (pagans, hypocrites, and Jews) among the people will say, ”What has turned them (Muslims) from their Qiblah [prayer direction (towards Jerusalem)] to which they were used to face in prayer.” Say, (O Muhammad SAW) ”To Allâh belong both, east and the west. He guides whom He wills to a Straight Way.”

سَيَقُولُ السُّفَهَاء مِنَ النَّاسِ مَا وَلاَّهُمْ عَن قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُواْ عَلَيْهَا قُل لِّلّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَن يَشَاء إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
Sayaqoolu alssufahao mina alnnasi ma wallahum AAan qiblatihimu allatee kanoo AAalayha qul lillahi almashriqu waalmaghribu yahdee man yashao ila siratin mustaqeemin

YUSUFALI: The fools among the people will say: “What hath turned them from the Qibla to which they were used?” Say: To Allah belong both east and West: He guideth whom He will to a Way that is straight.
PICKTHAL: The foolish of the people will say: What hath turned them from the qiblah which they formerly observed? Say: Unto Allah belong the East and the West. He guideth whom He will unto a straight path.
SHAKIR: The fools among the people will say: What has turned them from their qiblah which they had? Say: The East and the West belong only to Allah; He guides whom He likes to the right path.
KHALIFA: The fools among the people would say, “Why did they change the direction of their Qiblah?” Say, “To GOD belongs the east and the west; He guides whoever wills in a straight path.”

দ্বিতীয় পারা
রুকু – ১৭

১৪২। তাদের মধ্যে যারা নির্বোধ ১৪০ তারা বলবে, ‘তারা যে, কিব্‌লাতে অভ্যস্ত ছিলো, তা থেকে কি তাদের ফিরিয়ে দিলো ১৪১?’ বল, ‘পূর্ব পশ্চিম সবই আল্লাহ্‌র। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন।’

১৪০। যারা নির্বোধ তারা স্রষ্টার নির্দেশের অপেক্ষা তাদের পুরনো অভ্যাসের দিকেই বেশি ঝুঁকে থাকে, দিশেহারা হয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে থাকে। কোন কিছুতেই তাদের অবিচল আস্থা থাকে না। এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে মূর্তি পূজারী, মুশরিক এবং ইহুদীদের একটা অংশকে যারা সবসময়ই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তাঁর সাথীকে তাদের বিভিন্ন খোঁড়া যুক্তি দিয়ে পেরেশান করতে সচেষ্ট থাকতো। এমনকি এ ধরণের লোকেরা হযরত ঈসা (আঃ) এর সময়ে তাঁকেও এভাবে বিরক্ত করতো (Matt. xxii, ১৫, ২৩)।

১৪১। আলোচ্য আয়াতে কিবলা পরিবর্তন সম্পর্কে বিরোধীতাকারীদের আপত্তি বর্ণনা করে তার জওয়াব দেওয়া হয়েছে। আয়াতটি বোঝার জন্য কিবলার স্বরূপ ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জেনে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। [কিবলার শাব্দিক অর্থ মুখ করার দিক। প্রত্যেক এবাদতে মুমিনদের মুখ এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ্‌র দিকেই থাকে। আল্লাহ্‌ পবিত্র সত্তা পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ বন্ধন থেকে মুক্ত, তিনি কোনও বিশেষ দিকে অবস্থান করেন না। ফলে কোনও এবাদতকারী যদি যে দিকে ইচ্ছা সেদিকেই মুখ করতো কিংবা একই ব্যক্তি এক সময়ে একদিকে, অন্য সময়ে অন্যদিকে মুখ করতো, তবে তাও স্বাভাবিক নিয়মের পরিপন্থি হতো না।]

কিন্তু অপর একটি রহস্যের কারণে সমস্ত ইবাদতকারীর মুখ একদিকেই যাওয়া উচিত। রহস্যটি এই, ইবাদত বিভিন্ন প্রকার। কিছু ইবাদত ব্যক্তিগত, আর কিছু ইবাদত সমষ্টিগত। আল্লাহ্‌র যিকির, রোযা প্রভৃতি ব্যক্তিগত ইবাদত। এগুলো নির্জনে ও গোপনভাবে সম্পাদন করতে হয়। নামাজ ও হজ্ব সমষ্টিগত ইবাদত। এগুলো সংঘবদ্ধভাবে ও প্রকাশ্যে সম্পাদন করতে হয়। সমষ্টিগত ইবাদতের বেলায় ইবাদতের সাথে সাথে মুসলমানদের সংঘবদ্ধ জীবনের রীতি-নীতিও শিক্ষা দেওয়া লক্ষ্য থাকে। এটা সবারই জানা যে, সংঘবদ্ধ জীবন-ব্যবস্তার প্রধান মূলনীতি হচ্ছে বহু ব্যক্তিভিত্তিক ঐক্য ও একাত্মতা। ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা ও বিচ্ছিন্নতা, সংঘবদ্ধ জীবন ব্যবস্থার পক্ষে বিষতুল্য। এরপর ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু কি হবে; তা নির্ধারণ করার ব্যাপারে বিভিন্ন যুগের মানুষ বিভিন্ন মত পোষণ করেছে। কোন কোন সম্প্রদায় বংশকে কেন্দ্র বিন্দু সাব্যস্ত করেছে, কেউ দেশ ও ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যকে এবং কেউ বর্ণ ও ভাষাকে ঐক্যের কেন্দ্র বিন্দু হিসাবে সাব্যস্ত করেছে। প্রকৃতপক্ষে এসব বিষয় সমগ্র জাতিকে একই কেন্দ্রে সমবেত করতে সমর্থও নয়। বরং চিন্তা করলে দেখা যায় এ জাতীয় ঐক্য প্রকৃতপক্ষে মানব জাতিকে বেহুদা বিভক্ত করে দেয় এবং পারস্পরিক সংঘর্ষ ও মতানৈক্যই সৃষ্টি করে বেশী।
বিশ্বের সকল পয়গম্বরের ধর্ম ইসলাম অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীমের দ্বারা যার নামকরণ হয়েছিল। যার মূল কথা হচ্ছে কোটি কোটির প্রভুর এবাদতে বিভক্ত বিশ্বকে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ্‌র এবাদত ও আনুগত্যের প্রতি আহবান।

এই আয়াতের তাৎপর্য এই যে বায়তুল মোকাদ্দাস বা কাবা শরীফ এসব স্থানের নিজস্ব কোন বৈশিষ্ট্য নাই। কিবলা হিসেবে আল্লাহ্‌ তায়ালা যে এগুলোকে মনোনীত করেছেন, এটাই সে স্থানের শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র কারণ। মহানবী (সাঃ) এর বেলায় কেবলা পরিবর্তনের রহস্য সম্ভবত এই যে, কার্যক্ষেত্রে মানুষ জেনে নিক যে, কিবলা কোন পূজনীয় মূর্তি বা বিগ্রহ নয় বরং আসল বিষয় হচ্ছে আল্লাহ্‌র নির্দেশ ও নির্দেশ মানার আনুগত্য।