002.108

ইতিপূর্বে মূসা (আঃ) যেমন জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন, (মুসলমানগন, ) তোমরাও কি তোমাদের রসূলকে তেমনি প্রশ্ন করতে চাও? যে কেউ ঈমানের পরিবর্তে কুফর গ্রহন করে, সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।
Or do you want to ask your Messenger (Muhammad Peace be upon him ) as Mûsa (Moses) was asked before (i.e. show us openly our Lord?) And he who changes Faith for disbelief, verily, he has gone astray from the right way.

أَمْ تُرِيدُونَ أَن تَسْأَلُواْ رَسُولَكُمْ كَمَا سُئِلَ مُوسَى مِن قَبْلُ وَمَن يَتَبَدَّلِ الْكُفْرَ بِالإِيمَانِ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاء السَّبِيلِ
Am tureedoona an tas-aloo rasoolakum kama su-ila moosa min qablu waman yatabaddali alkufra bial-eemani faqad dalla sawaa alssabeeli

YUSUFALI: Would ye question your Messenger as Moses was questioned of old? but whoever changeth from Faith to Unbelief, Hath strayed without doubt from the even way.
PICKTHAL: Or would ye question your messenger as Moses was questioned aforetime? He who chooseth disbelief instead of faith, verily he hath gone astray from a plain road.
SHAKIR: Rather you wish to put questions to your Messenger, as Musa was questioned before; and whoever adopts unbelief instead of faith, he indeed has lost the right direction of the way.
KHALIFA: Do you wish to demand of your messenger what was demanded of Moses in the past? Anyone who chooses disbelief, instead of belief, has truly strayed off the right path.

১০৭। তুমি কি জান না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সীমানা আল্লাহ্‌রই নিয়ন্ত্রণাধীনে? তিনি ব্যতীত তোমাদের কোনও অভিভাবক নাই, সাহায্যকারীও নাই।

১০৮। তোমরা কি তোমাদের রাসূলকে সেইরূপ প্রশ্ন করতে চাও, প্রাচীনকালে মুসাকে যেরূপ করা হয়েছিল? ১০৮। কিন্তু যে বিশ্বাসী থেকে অবিশ্বাসীতে পরিবর্তিত হয়, নিঃসন্দেহে সে সরল পথ থেকে বিপথে যায় ১০৯।

১০৮। ইহুদীরা হযরত মুসা (আঃ) কে অপ্রাসঙ্গিক কুটিল প্রশ্ন দ্বারা অবিরাম হয়রানী করতো। এখানে আল্লাহ্‌ মুসলমানদের সেই উদাহরণ অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। আধ্যাত্মিক জগতে নিজেকে জাহির করা বা প্রচার করার মাধ্যমে কিছুই পাওয়া যায় না। সত্যিকারের যদি কিছু জানার আকাঙ্ক্ষা থাকে শুধুমাত্র তবেই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত।

১০৯। আরবী শব্দ ‘সাওয়াআ’ এর অর্থ অনেক ব্যাপক। শুধুমাত্র সরল পথ বা মসৃন পথ-এভাবে এর অর্থ প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এর দ্বারা বিভিন্ন ভাবের প্রকাশ পায়। যেমন-এ এমন পথ যা মসৃন [বন্ধুর পথের বিপরীত]; সুসামঞ্জস্যপূর্ণ [এলোমেলো এর বিপরীত]; সঙ্গতিপূর্ণ [অসঙ্গতির বিপরীত]; ন্যায়ের পথ [অন্যায়ের বিপরীত]; মধ্য পথ [চরম পথের বিপরীত] এবং যে পথ আদর্শ বা উদ্দেশ্যের প্রতি নিবেদিত। অর্থাৎ এটা এমন এক পথ যা মধ্য পথ, ন্যায় ও সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত, পারিপার্শ্বিকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভালোর প্রতি, সত্য ও সুন্দরের প্রতি নিবেদিত পরিকল্পিত জীবন। সুতরাং এ পথ অবলম্বন করতে হলে চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করতে হবে। সরল পথ হারায় অর্থাৎ চারিত্রিক গুণাবলীর যে মাধুর্য যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সরল পথকে নির্দেশ করে, তা হারিয়ে ফেলে এবং ঠিক তার বিপরীত ধর্মই তার চরিত্রে প্রকাশ পায়। চারিত্রিক গুণাবলীর বিকাশই হচ্ছে ইসলামের সরল পথের ঠিকানা। ‘সাওয়াআ’ অর্থ এই সরল পথের ঠিকানা।