002.103

যদি তারা ঈমান আনত এবং খোদাভীরু হত, তবে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম প্রতিদান পেত। যদি তারা জানত।
And if they had believed, and guarded themselves from evil and kept their duty to Allâh, far better would have been the reward from their Lord, if they but knew!

وَلَوْ أَنَّهُمْ آمَنُواْ واتَّقَوْا لَمَثُوبَةٌ مِّنْ عِندِ اللَّه خَيْرٌ لَّوْ كَانُواْ يَعْلَمُونَ
Walaw annahum amanoo waittaqaw lamathoobatun min AAindi Allahi khayrun law kanoo yaAAlamoona

YUSUFALI: If they had kept their Faith and guarded themselves from evil, far better had been the reward from their Lord, if they but knew!
PICKTHAL: And if they had believed and kept from evil, a recompense from Allah would be better, if they only knew.
SHAKIR: And if they had believed and guarded themselves (against evil), reward from Allah would certainly have been better; had they but known (this).
KHALIFA: If they believe and lead a righteous life, the reward from GOD is far better, if they only knew.

১০৩। যদি তারা ঈমান আনতো এবং পাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতো; তবে আল্লাহ্‌র নিকট থেকে পুরস্কার অধিক কল্যাণকর হতো-যদি তারা তা জানতো।

রুকু – ১৩

১০৪। হে বিশ্বাসীগণ! [নবীকে দ্বর্থ্যবোধক শব্দ] ‘রাঈনা’ বলো না, বরং [সম্মানকনক শব্দ] ‘উরজুরনা ‘ বল, এবং [তাঁর কথা] মনোযোগের সাথে শোন। অবিশ্বাসীদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি ১০৬।

১০৬। কোন কোন ইহুদী রাসুলুল্লাহ্‌কে (সাঃ) এর নিকট এসে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে তাঁকে, ‘রাঈনা’ বলে সম্বোধন করত। হিব্রু ভাষায় এর অর্থ একটি বদ দোয়া। তারা এ নিয়তেই তা বলতো কিন্তু আরবী ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে ‘আমাদের প্রতি লক্ষ্য করুন’ ফলে আরবীভাষীরা তাদের এই দুরভিসন্ধি বুঝতে পারতো না। ভাল অর্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে কোন কোন মুসলমানও রাসুলুল্লাহ্‌কে এই শব্দে সম্বোধন করতেন। এতে দুষ্টরা আরও আশ্‌কারা পেতো ও পরস্পর হাসাহাসি করতো আর বলতো, ‘এত দিন আমরা গোপনেই তাকে মন্দ বলতাম। এখন এতে মুসলমানদেরও শরীক হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে মন্দ বলার সুযোগ এসেছে’। তাদের এই সুযোগ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ্‌ মুসলমানদের নির্দেশ দিচ্ছেন, ‘হে মুমিনগণ তোমরা ‘রাঈনা’ শব্দটি বলো না। এর পরিবর্তে উনযুরনা বলবে।

সার্বজনীন শিক্ষা হচ্ছে, প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক জাতির মধ্যে একশ্রেণীর লোক থাকে যারা ভালো জিনিষকে কথার মাধ্যমে মন্দভাবে উপস্থাপন করতে ভালবাসে। এরা হচ্ছে বিশ্বনিন্দুক। এদের কথার ধুম্রজালে সাধারণ মানুষ হয় বিভ্রান্ত। আল্লাহ্‌র হুকুম হচ্ছে চিন্তা ও বক্তব্যে সৎ হওয়া। বক্তব্য হবে স্বচ্ছ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। আরও হুকুম হচ্ছে সৎ বিবেকবান নেতার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, যে জাতির চিন্তা ও কথার মধ্যে ব্যবধান থাকে তারা মুনাফিক। কারণ তারা ভাবে এক কথা বলে অন্য কথা এরূপ ব্যক্তি বা জাতির উপর আল্লাহ্‌র গজব অবশ্যই নিপতিত হবে।