এমনিভাবে আমি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি এবং এতে নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহভীরু হয় অথবা তাদের অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়।
And thus We have sent it down as a Qur’ân in Arabic, and have explained therein in detail the warnings, in order that they may fear Allâh, or that it may cause them to have a lesson from it (or to have the honour for believing and acting on its teachings).
وَكَذَلِكَ أَنزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا وَصَرَّفْنَا فِيهِ مِنَ الْوَعِيدِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ أَوْ يُحْدِثُ لَهُمْ ذِكْرًا
Wakathalika anzalnahu qur-anan AAarabiyyan wasarrafna feehi mina alwaAAeedi laAAallahum yattaqoona aw yuhdithu lahum thikran
YUSUFALI: Thus have We sent this down – an arabic Qur’an – and explained therein in detail some of the warnings, in order that they may fear Allah, or that it may cause their remembrance (of Him).
PICKTHAL: Thus we have revealed it as a Lecture in Arabic, and have displayed therein certain threats, that peradventure they may keep from evil or that it may cause them to take heed.
SHAKIR: And thus have We sent it down an Arabic Quran, and have distinctly set forth therein of threats that they may guard (against evil) or that it may produce a reminder for them.
KHALIFA: We thus revealed it, an Arabic Quran, and we cited in it all kinds of prophecies, that they may be saved, or it may cause them to take heed.
১১৩। এভাবেই আমি আরবী ভাষায় কুর-আন প্রেরণ করেছি। এবং সেখানে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছি সতর্কবাণী যেনো, তারা আল্লাহকে ভয় পায় অথবা তা তাদের জন্য [আল্লাহ্কে ] স্মরণ করার কারণ হয় ২৬৩৮।
২৬৩৮। কোরাণ আরবী ভাষাতে অবতীর্ণ, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, আরবভাষী অজ্ঞ লোকেরাও যেনো এই ঐশী গ্রন্থের মূল বক্তব্যকে অনুধাবন করতে পারে, এবং বাণীকে অনুধাবনের মাধ্যমে ও প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় তার প্রতিফলনের দ্বারা সে সর্তক হতে পারে, উপকৃত হতে পারে। কোরাণকে আল্লাহ্ রসুলের [সা] অন্তরে ওহী বা অনুপ্রেরণার [ Inspiration] মাধ্যমে প্রেরণ করেন যা রসুলের [ সা ] মাতৃভাষা আরবীতে প্রকাশ পায়। এ যেনো এক প্রদীপ্ত প্রদীপ অগ্নি শিখা, যার আলো মূল আঁধার থেকে চর্তুদ্দিকে বিচ্ছুরিত হয়। আরব থেকে ইসলামের প্রচার শুরু হয় যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীকে আলোকিত করতে সক্ষম হবে। ইসলামের প্রচারের প্রথম কয়েক শতাব্দীতে এই বক্তব্যের সমর্থন মেলে। যদি আমরা কোরাণের দীপ্তিকে সঠিকভাবে ধারণ করতে পারি, তবে এ বিশ্বসভায় এ কথার সত্যতা আবার প্রমাণ হতে বাধ্য। পাপীদের জন্য এতে আছে সর্তকবাণী যেনো তারা অনুতাপের মাধ্যমে নিজেকে সংশোধনের চেষ্টা করে। পূণ্যাত্মাদের জন্য কোরাণ হচ্ছে বিশ্বাসের অঙ্গীকার যা আল্লাহ্র স্মরণ দ্বারা শক্তি লাভ করে ও শান্তি পায়।
উপদেশ : কোরাণকে বুঝে পড়তে হবে , সেই জন্য আরবীর সাথে সাথে কোরাণের অনুবাদ ও তফসীর পাঠের প্রয়োজন।