1 of 3

020.044

অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে।
”And speak to him mildly, perhaps he may accept admonition or fear Allâh.”

فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى
Faqoola lahu qawlan layyinan laAAallahu yatathakkaru aw yakhsha

YUSUFALI: “But speak to him mildly; perchance he may take warning or fear (Allah).”
PICKTHAL: And speak unto him a gentle word, that peradventure he may heed or fear.
SHAKIR: Then speak to him a gentle word haply he may mind or fear.
KHALIFA: “Speak to him nicely; he may take heed, or become reverent.”

৪৪। ” তার সাথে নম্রভাবে কথা বলবে। হয়তো সে সর্তকবাণী গ্রহণ করবে অথবা [আল্লাহকে ] ভয় করবে ২৫৬৮। ”

২৫৬৮। গর্ব ও অহংকারে ফেরাউন আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ভুলে গিয়েছিলো। বিশ্ব স্রষ্টার কাছে মানুষের অস্তিত্ব কত ক্ষুদ্র কত নগণ্য , সে কথা মুসাকে স্মরণ করিয়ে দিতে বলা হয়। সম্ভবতঃ সে অনুতাপের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। নিদেন পক্ষে , ফেরাউন আল্লাহ্‌র ভয়ে ” সীমা লংঘন ” থেকে বিরত থাকবে। সংসারে কিছু লোক থাকে যারা ” উপদেশ ” গ্রহণ করে এবং পাপ ও অন্যায় থেকে বিরত থাকে শুধু মাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য। এরা অত্যন্ত উন্নত চরিত্রের। এদের দ্বারা মানবতা উপকৃত হয়। আবার আর একদল আছে যারা কৃত কর্মের ভয়াবহ পরিণামের জন্য ভীত হয়ে , পাপ ও অন্যায় থেকে বিরত থাকে। এরা আত্মিক উন্নতিতে পূর্বোক্ত শ্রেণী থেকে অনুন্নত। তবে তারা পূর্বোক্ত শ্রেণীতে আরোহণের যোগ্যতা রাখেন।

এই আয়াতের অন্যতম প্রধান উপদেশ হচ্ছে কোনও বড় ও মহৎ কাজের আবেদন আল্লাহ্‌র কাছে হতে হবে বিনয়ের মাধ্যমে।