1 of 3

033.059

হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
O Prophet! Tell your wives and your daughters and the women of the believers to draw their cloaks (veils) all over their bodies (i.e.screen themselves completely except the eyes or one eye to see the way). That will be better, that they should be known (as free respectable women) so as not to be annoyed. And Allâh is Ever Oft­Forgiving, Most Merciful.

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
a ayyuha alnnabiyyu qul li-azwajika wabanatika wanisa-i almu/mineena yudneena AAalayhinna min jalabeebihinna thalika adna an yuAArafna fala yu/thayna wakana Allahu ghafooran raheeman

YUSUFALI: O Prophet! Tell thy wives and daughters, and the believing women, that they should cast their outer garments over their persons (when abroad): that is most convenient, that they should be known (as such) and not molested. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
PICKTHAL: O Prophet! Tell thy wives and thy daughters and the women of the believers to draw their cloaks close round them (when they go abroad). That will be better, so that they may be recognised and not annoyed. Allah is ever Forgiving, Merciful.
SHAKIR: O Prophet! say to your wives and your daughters and the women of the believers that they let down upon them their over-garments; this will be more proper, that they may be known, and thus they will not be given trouble; and Allah is Forgiving, Merciful.
KHALIFA: O prophet, tell your wives, your daughters, and the wives of the believers that they shall lengthen their garments. Thus, they will be recognized (as righteous women) and avoid being insulted. GOD is Forgiver, Most Merciful.

রুকু – ৮

৫৯। [ হে নবী ! ] তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের এবং বিশ্বাসী নারীদের বল ৩৭৬৪, [ বাহিরে যাওয়ার সময়ে ] তারা যেনো তাদের চাঁদরের কিয়দংশ দেহের উপরে টেনে দেয় ৩৭৬৫। এতে তাদের চিনতে সুবিধা হবে, ফলে তাদের উত্ত্যক্ত করা হবে না ৩৭৬৬। আল্লাহ্‌ বারে বারে ক্ষমাশীল , পরম করুণাময় ৩৭৬৭।

৩৭৬৪। এই আয়াতটি সার্বজনীন। সকল মুসলিম নারীদের জন্য তা প্রযোজ্য হবে। আয়াতের বক্তব্য নবীপত্নী ও অন্যান্য মুসলিম নারী সকলের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। তাদের বলা হয়েছে যখন তারা রাস্তায় বের হবেন তখন একটি বহিরাবরণ পরিধান করবেন।

৩৭৬৫। “Jilbad” বহুবচনে “Jalabib” অর্থ বহিরাবরণ। লম্বা গাউন যা সর্বশরীরকে ঢেকে দেয় অথবা পোষাক যা ঘাড় , গলা ও বুক ঢেকে ফেলে।

৩৭৬৬। এই আয়াতের মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে মহিলাদের বহিরাবরণের উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। এর দ্বারা মহিলাদের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করতে চাওয়া হয় নাই বরং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মহিলাদের কুদৃষ্টি ও উক্ত্যক্ত করার হাত থেকে রক্ষা করা। পাপাসক্ত পুরুষ যাতে সহজে নারীর সৌন্দর্য্যে আকর্ষিত না হয় সেই কারণে এই ব্যবস্থা। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সকল স্থানেই প্রাচীন যুগ থেকে সম্মানীয় নারী ও পুরুষেরা বহিরাগমনের সময়ে বিশেষ পোষাক পরিধান করে থাকেন। পোষাক আভিজাত্য প্রকাশের এক বিশেষ মাধ্যম বিশেষ। পোষাকের এই বিশেষ দিকটি সর্ব যুগে বিদ্যমান ছিলো। এমন কি প্রাচীন আসেরিয়ান [ Assyrian ] সভ্যতার সময়ে , আসেরিয়ান আইন ছিলো যে বিবাহিত মহিলারা রাস্তায় বের হতে অবগুণ্ঠনের ব্যবহার করবেন, যা ছিলো সম্মানের প্রতীক স্বরূপ। কারণ উক্ত অবগুণ্ঠন ক্রীতদাসী এবং চরিত্রহীনাদের জন্য নিষিদ্ধ ছিলো। দেখুন Cambridge Ancient History III 107 সুতারাং মুসলিম মহিলাদের অবগুণ্ঠণের দ্বারা নিজেকে আবৃত করে রাস্তায় বের হওয়ার অর্থ এই নয় যে , তাদের স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ। আল্লাহ্‌ পরিষ্কার ভাবে এই আয়াতের মাধ্যমে বলেছেন যে, বহিরাবরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে ” উহাদিগকে উত্ত্যক্ত করা হইবে না।” এখানে লক্ষ্যণীয় যে বহিরাবরণে মুখ ঢাকার উল্লেখ নাই, কারণ এই আবরণটি এমন হবে যেনো মহিলাদের “সহজে চেনা যায়।” রাস্তায় বের হলে মহিলাদের ” চেনা সহজতর ” এবং ” উত্ত্যক্ত হওয়ার ” হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য-ই ইসলাম নারীদের জন্য বহিরাবরণের সুবন্দোবস্ত করেছে। সেই কারণে নারী যখন যৌবন ও সৌন্দর্য্য হারায় তখন আর বহিরাবরণের প্রয়োজন নাই। দেখুন সূরা নূরে আয়াত [ ২৪ : ৬ ০ ] এ বর্ণনা করা হয়েছে , “বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না , যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে তাদের বহিরাবরণ খুলে রাখে, তাদের জন্য দোষ নাই।” এই আয়াত থেকে এই ধারণাই সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যে মহিলাদের গৃহে বন্দী করার জন্যই পর্দ্দার বন্দোবস্ত করা হয় নাই। বর্তমান বিশ্বে মুসলমান নারীদের পর্দ্দার দোহাই দিয়ে তাদের বহিঃবির্শ্বের সাথে সংযোগ স্থাপনে বাধা দান করা হয় যা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী। ইসলামের প্রথম যুগের বিভিন্ন মহিয়সী মহিলাদের জীবনই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। নারী ও পুরুষ প্রত্যেকেই প্রত্যেকের দৈহিক শালীনতা রক্ষা করে চলবে এই হচ্ছে ইসলামিক জীবন বিধান।

৩৭৬৭। ” আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু।” এই আয়াতে মুসলিম মহিলাদের জন্য যে বিধানের প্রচলন করা হয়েছে, তা মহিলারা আন্তরিক ভাবে ও বিশ্বস্তভাবে মেনে চলতে চেষ্টা করবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ মনের দিক থেকে দুর্বল। যদি কেউ মানবিক দুর্বলতার কারণে তা মানতে অক্ষম হয়, তবে আল্লাহ্‌ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ” ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।”