1 of 3

002.168

হে মানব মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষন কর। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
O mankind! Eat of that which is lawful and good on the earth, and follow not the footsteps of Shaitân (Satan). Verily, he is to you an open enemy.

يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُواْ مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلاَلاً طَيِّباً وَلاَ تَتَّبِعُواْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ
Ya ayyuha alnnasu kuloo mimma fee al-ardi halalan tayyiban wala tattabiAAoo khutuwati alshshaytani innahu lakum AAaduwwun mubeenun

YUSUFALI: O ye people! Eat of what is on earth, Lawful and good; and do not follow the footsteps of the evil one, for he is to you an avowed enemy.
PICKTHAL: O mankind! Eat of that which is lawful and wholesome in the earth, and follow not the footsteps of the devil. Lo! he is an open enemy for you.
SHAKIR: O men! eat the lawful and good things out of what is in the earth, and do not follow the footsteps of the Shaitan; surely he is your open enemy.
KHALIFA: O people, eat from the earth’s products all that is lawful and good, and do not follow the steps of Satan; he is your most ardent enemy.

রুকু – ২১

১৬৮। হে মানবজাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে, তা থেকে আহার কর ১৬৯। এবং শয়তানের পদ চিহ্ন অনুসরণ করো না। অবশ্যই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।

১৬৯। এই আয়াতটি খাদ্য বস্তুর হালাল সম্পর্কে সতর্ক করে আরম্ভ করা হয়েছে। প্রথমে [২: ১৬৮-৭১] বিশ্ববাসীকে সম্বোধন করা হয়েছে। হতে পারে তারা মুসলিম বা পৌত্তলিক বা কিতাবধারী জাতি। আল্লাহ্‌র এ আহবান জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য। আয়াত [২:১৭২-৭৩]এ বিশেষভাবে মুসলমানদের আহবান করা হয়েছে। তারপর [২:১৭৪-৭৬] তাদেরই সম্বোধন করা হয়েছে যারা ধর্মে আনুষ্ঠানিকতার উপরে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় এবং ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে এরাই আমাদের সমাজের মৌলবাদীরূপে পরিচিত। এরা প্রকৃত ধর্মের প্রাণ থেকে বহুদূরে। আবার আর এক শ্রেণীর কথা বলা হয়েছে যারা কোনও নিয়ম কানুনে বিশ্বাস করে না, এরা আমাদের সমাজে প্রগতিশীল বলে দাবী করে। কিন্তু ইসলাম হচ্ছে মধ্যপথ অবলম্বী। সুন্দর, সুস্থ সমাজে অবশ্যই কিছু ধরা বাঁধা নিয়ম-কানুন থাকবে। এই নিয়ম কানুন সমাজের সকল সদস্য-সদস্যাদের মঙ্গলার্থে সৃষ্টি এবং এই নিয়ম কানুন সম্পর্কে সমাজের সকল সদস্য-সদস্যাদের আন্তরিকতা থাকবে তা মানার জন্য। তবেই একটা Homogeneous (সমপ্রকৃতি) সমাজ হওয়া সম্ভব। তবে এখানে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন যে, এই সব নিয়ম-কানুন যেনো বাড়াবাড়িতে না পৌছাঁয় [২:১৭৬]। [পবিত্র বা Good : Taiyib=Pure, Clean, Wholesome, nourishing, pleasing to taste] সুতরাং নিয়ম-কানুন বা ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা বা আইন তা যদি সুস্থ, সুন্দর ও সমাজের বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য হয় তবে তাই-ই হচ্ছে ধর্মের আসল আনুষ্ঠানিকতা। কারণ ধর্মের আনুষ্ঠানিকতার সৃষ্টি করেছেন স্রষ্টা মানব গোষ্ঠীর বৃহত্তর কল্যাণের জন্য। তবে আনুষ্ঠানিকতা কখনও ধর্ম নয়। যে আনুষ্ঠানিকতা বা নিয়ম-কানুন সমাজকে এগিয়ে নেয়, মানব সভ্যতায় স্রষ্টার কাছাকাছি হতে সাহায্য করে এবং সমাজের মঙ্গলের জন্য সৃষ্টি তাই-ই স্রষ্টার মনোনীত। সুতরাং সাধারণ নীতি হচ্ছে, যা ইসলামী আইন দ্বারা সিক্ত করেছে এবং যা ভালো এবং সমাজ ও মানুষের মঙ্গলের জন্য তা অনুসরণ যোগ্য এবং যা মন্দ, লজ্জ্বাজনক, যা সমাজের মঙ্গল বিধান করে না তা পরিহার করতে হবে। ধর্মের নামে অনেক অপব্যাখ্যা চালু হয়েছে আমাদের সমাজে, উদ্ভব হয়েছে মৌলবাদীদের; ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি হয়েছে আমাদের সমাজের মৌলবাদী মুসলিমদের যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, ‘মেয়েদের ঘরে আবদ্ধ রাখলেই ইসলাম রক্ষিত হবে।’ আবার সমাজের অনেককে দেখা যায় বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় বিশ্বাসী যার সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই যেমন মাজার পূঁজা ও ভাগ্য গণনায় বিশ্বাস করা ও পাথর ধারণ করা, বিশেষ ধরণের পোষাক পরিধান করা ইত্যাদি।