তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন-তিনি বলে দিন যে, সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই পথপ্রাপ্ত হব। মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলেন যে, এ গাভী ভূকর্ষণ ও জল সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়-হবে নিষ্কলঙ্ক, নিখুঁত।
They said, ”Call upon your Lord for us to make plain to us what it is. Verily to us all cows are alike, And surely, if Allâh wills, we will be guided.”
قَالُواْ ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِيَ إِنَّ البَقَرَ تَشَابَهَ عَلَيْنَا وَإِنَّآ إِن شَاء اللَّهُ لَمُهْتَدُونَ
Qaloo odAAu lana rabbaka yubayyin lana ma hiya inna albaqara tashabaha AAalayna wa-inna in shaa Allahu lamuhtadoona
YUSUFALI: They said: “Beseech on our behalf Thy Lord to make plain to us what she is: To us are all heifers alike: We wish indeed for guidance, if Allah wills.”
PICKTHAL: They said: Pray for us unto thy Lord that He make clear to us what (cow) she is. Lo! cows are much alike to us; and Lo! if Allah wills, we may be led aright.
SHAKIR: They said: Call on your Lord for our sake to make it plain to us what she is, for surely to us the cows are all alike, and if Allah please we shall surely be guided aright.
KHALIFA: They said, “Call upon your Lord to show us which one. The heifers look alike to us and, GOD willing, we will be guided.”
৬৮। তারা বলেছিলো, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তোমার প্রভুর নিকট প্রার্থনা করে স্পষ্টভাবে আমাদের জন্য জেনে নাও [বক্না গাভীটি] কেমন হবে! সে [মুসা] বলেছিলো, [আল্লাহ্ বলেছেন]: ‘বক্না গাভীটি খুব বৃদ্ধও নয় আবার খুব বাচ্চাও নয়, কিন্তু তা হবে এ দুয়ের মাঝামাঝি বয়সের। এখন তোমাদের যা আদেশ করা হয়েছে তা কর।’
৬৯। তারা বলেছিলো, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তোমার প্রভুর নিকট প্রার্থনা করে স্পষ্টভাবে জেনে নাও উহার রং কি?’ সে [মুসা] বলেছিলো, ‘আল্লাহ্ বলেছেন, [হরিণ শিশুর ন্যায়] হলুদ বর্ণের গাভী, উজ্জ্বল রং এর আমেজ যা দর্শকদের সন্তুষ্ট করে।’
৭০। তারা বলেছিলো, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তোমার প্রভুর নিকট বল, তিনি যেনো আমাদের সুস্পষ্ট করে বলেন এটি কেমন হবে; আমাদের নিকট সকল গাভীই এক রকম; যদি আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন তবে নিশ্চয়ই আমরা নির্দেশ পাব।
৭১। সে বলেছিলো, ‘আল্লাহা বলেছেন, উহা এমন একটি গাভী যা ক্ষেত চাষ বা পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয় নাই। সুস্থ এবং নিখুঁত।’ তারা বলেছিলো, ‘এখন তুমি সত্য এনেছ।’ অতঃপর তারা গাভীটিকে কোরবাণী দিলো যদিও তারা তা করতে ইচ্ছুক ছিলো না।
রুকু – ৯
৭২। স্মরণ কর যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে ৮১, এবং অপরাধের ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলে। কিন্তু তোমরা যা গোপন করেছিলে, আল্লাহ্ তা প্রকাশ করে দিতেছেন।
৮১। ইহুদী ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী এক ব্যক্তিকে হত্যা করে মাঠে ফেলে রাখা হয়েছিলো, কেউই জানতো না তার হত্যাকারী কে? আল্লাহ্র নির্দেশ হলো বক্না গাভী কোরবানী দিয়ে তার উপরে নগরের প্রতিটি লোক তার হস্ত প্রক্ষালন করবে এবং নিজেকে নির্দোষ দাবী করবে। এভাবেই তাদেরকে রক্তের ঋণ শোধ করতে হুকুম দেয়া হল। প্রথমে তারা একে অন্যকে দোষারোপ শুরু করলো, তারপরে তারা চেষ্টা করলো যেন বক্না গাভটিকে কোরবানী দেওয়া না হয়, সেজন্য নানা টালবাহানা বের করলো যেমন বর্ণনা করা হয়েছে। যখন গরু জবাই হলো, আল্লাহ্র হুকুমে মৃত ব্যক্তি জীবিত হয়ে তার হত্যাকারীকে সনাক্ত করলো।
এই আয়াতের উপদেশ হচ্ছে, মানুষ তার পাপ ও অন্যায়কে লুকাতে চায়। এটা হতে পারে ব্যক্তিগতভাবে বা সমষ্টিগতভাবে। কিন্তু পাপ কখনও লুকায়িত থাকে না। যে কোন ভাবেই হোক পাপ জনসম্মুখে প্রকাশ পাবেই। এ-ই হচ্ছে আল্লাহ্র বিধান। ইহুদীদের জাতীয় ইতিহাসের মাধ্যমে এই শিক্ষাই আমাদের দেয়া হচ্ছে।