1 of 3

০২৬.২২৫ সূরা শুয়ারা : আয়াত – ২২৫

তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
Seest thou not that they wander distracted in every valley?-

أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ
Alam tara annahum fee kulli wadin yaheemoona

YUSUFALI: Seest thou not that they wander distracted in every valley?-
PICKTHAL: Hast thou not seen how they stray in every valley,
SHAKIR: Do you not see that they wander about bewildered in every valley?
KHALIFA: Do you not see that their loyalty shifts according to the situation?

২২৫। তুমি কি দেখ না ওরা [ কবিরা ] বিভ্রান্ত হয়ে প্রত্যেক উপত্যকায় ঘুরে বেড়ায় ?

২২৬। এবং ওরা যা সম্পাদন করে না তাই -ই বলে ?

২২৭। তারা ব্যতীত যারা বিশ্বাস করে ও সৎ কাজ করে এবং আল্লাহ্‌র স্মরণে নিজেকে নিয়োজিত রাখে ৩২৩৮। যারা অন্যায় ভাবে আক্রান্ত হলেই কেবলমাত্র আত্মরক্ষা করে ৩২৩৯। শীঘ্রই [ অন্যায় ] আক্রমণকারী জানতে পারবে তাদের কর্ম তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে কোথায় ফিরিয়ে নেবে।

৩২৩৮। কাব্য এবং চারু কারুকলা কখনও নিন্দনীয় বিষয় বস্তু নয়। এ কথা সর্বদা স্মরণ রাখতে হবে যে, মানুষের জীবনের যে কোন প্রতিভা ; জ্ঞান , শিল্পকলা, কাব্য প্রতিভা, সঙ্গীত প্রতিভা নেতৃত্বের ক্ষমতা সব কিছুই সেই মহাপরাক্রমশালী মহাপ্রভুর দান। সুতারাং এসব প্রতিভা কখনও নিন্দনীয় হতে পারে না। নিন্দনীয় হচ্ছে যখন এসব প্রতিভাশালী মন খোদাদ্রোহীতা দ্বারা উদ্ধত ও অহংকারী হয়ে ওঠে এবং তাদের প্রতিভাকে আল্লাহ্‌র বিমুখতার প্রতি নিয়োগ করে। ফলে তাদের প্রতিভা জীবনের সুক্ষ শিল্প কলাকে প্রকাশের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তা হয়ে ওঠে আত্ম গৌরব ও আত্ম প্রশংসার মাধ্যম মাত্র। যে শিল্প-কলা স্রষ্টার মাহাত্ম্যকে প্রকাশে অক্ষম হয়, তা কখনও কালজয়ী বা যুগকাল অতিক্রান্ত শিল্প, সঙ্গীত, বা কাব্য প্রতিভা হতে পারে না। কারণ সকল শিল্প ও কলার কেন্দ্র বিন্দু সেই বিশ্বস্রষ্টা। সে কারণেই প্রকৃত শিল্পী কখনও আক্রান্ত না হলে [ যেমন জিহাদ ] আক্রমণ করে না, অবশ্য তারা সব সময়েই মন্দের প্রতিরোধে হয় সুদৃঢ়। সে ভাবে বলা চলে একজন প্রকৃত শিল্পী হচ্ছেন একজন প্রকৃত ও শ্রেষ্ঠ মানব। মানুষের জীবনের লক্ষ্যই হচ্ছে আল্লাহ্‌র ইচ্ছানুযায়ী গুণে ,গরিমায়, এই পৃথিবীতে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু নিষ্কলঙ্ক বিশুদ্ধ চরিত্রের শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে পৃথিবীতে নিজেকে গড়ে তোলা এক অসম্ভব কাজ। কিন্তু এ ধূলার ধরণীতে প্রতিটি মানুষের লক্ষ্য হবে একটাই – আর তা হচ্ছে চরিত্রগত গুণে আল্লাহ্‌র চোখে নিজেকে বিশুদ্ধ ও নিষ্কলঙ্ক প্রমাণ করা। বিশেষতঃ যাদের আল্লাহ্‌ শিল্প ও কাব্য প্রতিভা দ্বারা ধন্য করেছেন। এ কথা সত্য যে, বৈশিষ্ট্য বা কলাকৌশলের জন্য কেউ কালোত্তীর্ন শিল্প সৃষ্টি করতে পারে না। কালোত্তীর্ণ শিল্প তখনই সৃষ্টি হয় যখন তা বিশ্ব ভূবনের মূল আত্মার যে বিকাশ বা প্রকাশ তা সঠিকভাবে উত্থাপন করতে পারে। এই বিশাল বিশ্বভূবনের মাঝে স্রষ্টা তাঁর জ্ঞান , শিল্প সত্তাকে বিকশিত করেছেন। এই সত্তাকে অনুধাবনের মাধ্যমে যে তা প্রকাশ করতে পারে সেই হতে পার কালোত্তীর্ণ ও ক্ষণজন্মা শিল্পী। অন্যথায় তা হবে সঙ্কীর্ণতায় পর্যবসিত। দুটোর তুলনা হচ্ছে অসীম সমুদ্রের বিশাল বারিধারা যা মনকে বিশালতায় ভরিয়ে তোলে। অপরটি হচ্ছে ছোট ডোবা যার আবদ্ধ পানি শুধু দুগর্ন্ধ ছড়ায়। বিশালতার যে পূঁজারী সেই তো পার্থিব পঙ্কিলতাময় পৃথিবীতে থেকেও পৃথিবীর উর্দ্ধে উঠতে সক্ষম। এখানেই শিল্পীর বৈশিষ্ট্য এবং এখানেই শিল্প সত্তার সার্থকতা। রসুলের [ সা ] সময়ে যে সব স্বনামধন্য কবি ছিলেন তাদের মধ্যে কবি হাসান ও কবি লাবিদের কবিতা সর্বোচ্চ সাতটি কবিতার মধ্যে র্নিবাচিত কবিতা হতো যা কাবা ঘরের দেয়ালে টাঙ্গানো হতো সেই ইসলাম পূর্ব অন্ধকার যুগে।

৩২৩৯। বিপক্ষের সমালোচনার উত্তর কবিতার মাধ্যমে প্রদান করে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।