এদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।
Such are they whom Allâh has cursed, so that He has made them deaf and blinded their sight.
أُوْلَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ
Ola-ika allatheena laAAanahumu Allahu faasammahum waaAAma absarahum
YUSUFALI: Such are the men whom Allah has cursed for He has made them deaf and blinded their sight.
PICKTHAL: Such are they whom Allah curseth so that He deafeneth them and maketh blind their eyes.
SHAKIR: Those it is whom Allah has cursed so He has made them deaf and blinded their eyes.
KHALIFA: It is those who incurred a curse from GOD, whereby He rendered them deaf and blind.
২৩। এরাই তারা যাদের আল্লাহ্ অভিশপ্ত করেছেন ৪৮৪৮। নিশ্চয়ই তিনি তাদের করেছেন বধির এবং চক্ষুকে করেছেন অন্ধ।
৪৮৪৮। “অভিশপ্ত ” – অর্থাৎ আল্লাহ্র করুণা বঞ্চিত। কারণ তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র সত্যকে প্রত্যাখান করেছে। আল্লাহ্র করুণা বঞ্চিত আত্মার অবস্থানকে এই আয়াতের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। তারা হবে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন। এই বধিরতা ও দৃষ্টিশক্তিহীনতা শারীরিক নয়। তা হবে আত্মিক। ফলশ্রুতিতে তারা যা শোনে তার প্রকৃত মর্ম অনুধাবনে অক্ষম হয়। তারা যা দেখে তার সঠিক চিত্র উপলব্ধি করতে পারে না। এই ” শোনা ” ও ” দেখা ” হচ্ছে আধ্যাত্মিক ভাবে অনুধাবন ক্ষমতা। তারা দেখেও দেখে না শুনেও শোনে না। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে অনুধাবন করার কোনও ইচ্ছাই তাদের মাঝে জন্মাবে না। ফলে এসব লোক পার্থিব জ্ঞানে সমৃদ্ধ হলেও প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও ন্যায়পরায়ণতা লাভ করবে না। তারা প্রকৃত সত্যের রূপকে অনুধাবনে অক্ষম হবে ফলে তারা সত্য মিথ্যা, ন্যায় অন্যায় ও ভালো -মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম হবে। তারা হবে প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণহীন অন্যায়কারী। কারণ ন্যায় ও সত্যের বাণীর প্রতি তারা তাদের হৃদয়ের দুয়ারকে তালাবদ্ধ করে ফেলেছে। এরাই হচ্ছে অভিশপ্ত আত্মা।