1 of 3

032.023

আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি, অতএব আপনি কোরআন প্রাপ্তির বিষয়ে কোন সন্দেহ করবেন না। আমি একে বনী ইসরাঈলের জন্যে পথ প্রদর্শক করেছিলাম।
And indeed We gave Mûsa (Moses) the Scripture [the Taurât (Torah)]. So be not you in doubt of meeting him [i.e.when you met Mûsa (Moses) during the night of Al­Isra’ and Al­Mi’râj over the heavens]. And We made it [the Taurât (Torah)] a guide to the Children of Israel.

وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ فَلَا تَكُن فِي مِرْيَةٍ مِّن لِّقَائِهِ وَجَعَلْنَاهُ هُدًى لِّبَنِي إِسْرَائِيلَ
Walaqad atayna moosa alkitaba fala takun fee miryatin min liqa-ihi wajaAAalnahu hudan libanee isra-eela

YUSUFALI: We did indeed aforetime give the Book to Moses: be not then in doubt of its reaching (thee): and We made it a guide to the Children of Israel.
PICKTHAL: We verily gave Moses the Scripture; so be not ye in doubt of his receiving it; and We appointed it a guidance for the Children of Israel.
SHAKIR: And certainly We gave the Book to Musa, so be not in doubt concerning the receiving of it, and We made it a guide for the children of Israel.
KHALIFA: We have given Moses the scripture – do not harbor any doubt about meeting Him – and we made it a guide for the Children of Israel.

রুকু – ৩

২৩। আমি তো পূর্বে মুসাকে কিতাব দিয়েছিলাম ৩৬৫৬। সুতারাং [তোমার নিকট ] ইহার প্রাপ্তি সম্বন্ধে কোন সন্দেহের মধ্যে থেকো না ৩৬৫৭। বণী ইসরাঈলীদের জন্য আমি উহাকে পথ প্রদর্শক করেছিলাম।

৩৬৫৬। যুগে যুগে আল্লাহ্‌ মানুষের হেদায়েতের জন্য নবী রসুলদের পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তাদের কাছে পবিত্র গ্রন্থ প্রেরণ করেছেন। একমাত্র হযরত মুহম্মদের [সা] নিকট প্রেরিত গ্রন্থ ব্যতীত কোনও গ্রন্থই সম্পূর্ণ নয়। হযরত মুসার কিতাবে আছে শুধুমাত্র ‘সারিয়া’ আইন বা জীবন বিধান। এই আইন হচ্ছে জীবন ধারণের পথ নির্দ্দেশ। মুসার পরে হযরত ঈসা আল্লাহ্‌র নিকট থেকে ঐশি গ্রন্থ প্রাপ্ত হন। তাঁর প্রাপ্ত কিতাব ‘ইন্‌জিলে’ শুধুমাত্র নৈতিক নীতিমালার সাধারণ বর্ণনা আছে, কোন ‘সারিয়া’ আইন বা জীবন বিধানের বর্ণনা নাই। হযরত ঈসার পরে বিশ্ব নবীর [ সা ] আগমন। তাঁর কাছে ঐশি গ্রন্থ কোরাণ প্রেরণ করা হয়। কোরাণের বিশেষত্ব হচ্ছে কোরাণ একটি সম্পূর্ণ ধর্মগ্রন্থ। এখানে ‘সারিয়া’ আইন বা জীবন বিধান [ code of life ] ও নৈতিক নীতিমালার সমন্বয় ঘটেছে। একই সাথে এই সূরাটি মক্কান সূরা। মক্কান সূরাগুলির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে কোন জীবন বিধানের উল্লেখ নাই। জীবন বিধান বা ‘সারিয়া’ আইন সম্বলিত সূরা অবতীর্ণ হয় মদিনাতে। এই সূরাতে রসুলকে [সা] আশ্বাস দান করা হয়েছে যে রসুলকেও [সা ] মুসার ন্যায় অর্থাৎ সারিয়া আইন সমৃদ্ধ কিতাব প্রেরণ করা হবে। পরবর্তীতে মদিনায় প্রেরিত সূরাগুলির মাধ্যমে ‘সারিয়া ‘ আইন বা জীবন বিধান প্রেরণ করা হয়। নবীর [সা] নিকট প্রেরিত মুসলিম জীবন বিধানে পূর্ববর্তীদের হযরত মুসার নিকট প্রেরিত অনেক জীবন বিধানকে বাতিল করা হয় এবং যুগোপযোগী জীবন বিধানের অবতারণা করা হয়। এ ভাবেই কোরাণ হচ্ছে এক পূণার্ঙ্গ ঐশি গ্রন্থ বা প্রত্যাদেশ।

৩৬৫৭। এই আয়াতটি সম্বন্ধে মতদ্বৈত আছে। “Liqa-i-hi” – এই বাক্যটির অর্থ সম্বন্ধে অনুবাদকদের মতদ্বৈতের কারণ ঘটেছে। এখানে সর্বনাম ‘hi’ কেহ কেহ অনুবাদ করেছেন ‘ইহা’ শব্দ দ্বারা আবার কেহ কেহ ‘তাহার’ শব্দ দ্বারা। মওলানা ইউসুফ আলী অনুবাদ করেছেন ‘ইহা’ শব্দ দ্বারা। এখানে ‘ইহা’ অর্থাৎ ‘কোরাণ’ বা ঐশি গ্রন্থকে বোঝানো হয়েছে। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান প্রণীত মারেফুল কোরাণেও অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে ” আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছি, অতএব আপনি কোরাণ প্রাপ্তির বিষয়ে কোন সন্দেহ করবেন না। আমি একে বনী ইসরাঈলীদের জন্য পথ প্রদর্শক করেছিলাম।” অনুবাদে এই অর্থটিই অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ। ‘hi’ শব্দটিকে ‘তাহার ‘ শব্দ দ্বারা অনুবাদ করলে অর্থ দাড়ায় হযরত মুসার সাথে সাক্ষাৎকারের ব্যাপার, যা পরবর্তী লাইন থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না।