1 of 3

029.020

বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পুর্নবার সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।
Say: ”Travel in the land and see how (Allâh) originated creation, and then Allâh will bring forth (resurrect) the creation of the Hereafter (i.e. resurrection after death). Verily, Allâh is Able to do all things.”

قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانظُرُوا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللَّهُ يُنشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
Qul seeroo fee al-ardi faonthuroo kayfa badaa alkhalqa thumma Allahu yunshi-o alnnash-ata al-akhirata inna Allaha AAala kulli shay-in qadeerun

YUSUFALI: Say: “Travel through the earth and see how Allah did originate creation; so will Allah produce a later creation: for Allah has power over all things.
PICKTHAL: Say (O Muhammad): Travel in the land and see how He originated creation, then Allah bringeth forth the later growth. Lo! Allah is Able to do all things.
SHAKIR: Say: Travel in the earth and see how He makes the first creation, then Allah creates the latter creation; surely Allah has power over all things.
KHALIFA: Say, “Roam the earth and find out the origin of life.” For GOD will thus initiate the creation in the Hereafter. GOD is Omnipotent.

২০। বল, ” পৃথিবী ভ্রমণ কর এবং অনুধাবন কর কি ভাবে আল্লাহ্‌ সৃষ্টিকে প্রথমে আরম্ভ করেছেন। সে ভাবেই আল্লাহ্‌ পরবর্তী [ দ্বিতীয় ] সৃষ্টিও করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাবান ৩৪৪১।

৩৪৪১। ” পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর ” – বাক্যটির আক্ষরিক ও প্রতীক অর্থ বিদ্যমান। এই বিশাল বিশ্বভূবন আল্লাহ্‌র সৃষ্টির সৌন্দর্য্যে ভরপুর। পূর্ব , পশ্চিম,উত্তর , দক্ষিণ পৃথিবীর সর্বত্র সৃষ্টির বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। আমেরিকার গ্রান্ড ক্যানিয়ন , জাপানের ফুজিয়ামা পর্বত, ভারতের হিমালয় পর্বত শ্রেণী, এশিয়ার এলবুজ পর্বতশ্রেণী, মিশরের নীল নদী ও তার জলপ্রপাতসমূহ , নরওয়ের পর্বত বেষ্টিত উপসাগর ও সমুদ্র খাঁড়ি , আইসল্যান্ডের উষ্ণ প্রস্রবন, মধ্যরাতের সূর্যের দেশ, ইত্যাদি অসংখ্য দৃশ্যমান অত্যাশ্চার্য জিনিষ আল্লাহ্‌ সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র এই পৃথিবীতেই। দৃশ্যমান নয় এরূপ আরও বহু অত্যাশ্চার্য জিনিষ এই পৃথিবীতে আছে যেমন , ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণু, পরমাণুর গঠন। অদৃশ্য ক্ষুদ্র এই পরমাণু বিশাল শক্তির আঁধার [Atomic energy], বুদ্ধিহীন প্রাণীকূলের ভিতরে যে সব স্বাভাবিক প্রবণতা [Instinct] দেখা যায় যেমন তারা সন্তান পালন করে, প্রতিকূল অবস্থার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করতে সমর্থ হয়, এ সবই আল্লাহ্‌র কুদরত। চিন্তা করলে দেখা যায় সারাটা পৃথিবী আল্লাহ্‌র সৃষ্টির অত্যাশ্চার্য কলাকৌশলে সমৃদ্ধ। এর কোন সীমা পরিসীমা নাই। প্রতিটি মূহুর্তে , প্রতি পলে , এই সৃষ্টিকর্ম চল্‌ছে অনাদি অনন্ত কাল থেকে। এর কোনটা মানুষের দৃষ্টি সীমার মধ্যে কোনটা দৃষ্টিসীমার বাইরে ঘটে। সে ভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে মানুষের মন কি আল্লাহ্‌র এক অত্যাশ্চার্য সৃষ্টি নয় ? কি বিশাল এই মনের ধারণ ক্ষমতা – সে জানা থেকে অজানাকে অনুধাবন করতে সক্ষম, যা শুধু মানুষের পক্ষেই সম্ভব। দৃশ্য থেকে অদৃশ্যে উপলব্ধিতে সক্ষম।