1 of 3

028.028

মূসা বললেন, আমার ও আপনার মধ্যে এই চুক্তি স্থির হল। দু’টি মেয়াদের মধ্য থেকে যে কোন একটি পূর্ণ করলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না। আমরা যা বলছি, তাতে আল্লাহর উপর ভরসা।
He [Mûsa (Moses)] said: ”That (is settled) between me and you whichever of the two terms I fulfill, there will be no injustice to me, and Allâh is Surety over what we say.”

قَالَ ذَلِكَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ أَيَّمَا الْأَجَلَيْنِ قَضَيْتُ فَلَا عُدْوَانَ عَلَيَّ وَاللَّهُ عَلَى مَا نَقُولُ وَكِيلٌ
Qala thalika baynee wabaynaka ayyama al-ajalayni qadaytu fala AAudwana AAalayya waAllahu AAala ma naqoolu wakeelun

YUSUFALI: He said: “Be that (the agreement) between me and thee: whichever of the two terms I fulfil, let there be no ill-will to me. Be Allah a witness to what we say.”
PICKTHAL: He said: That (is settled) between thee and me. Whichever of the two terms I fulfil, there will be no injustice to me, and Allah is Surety over what we say.
SHAKIR: He said: This shall be (an agreement) between me and you; whichever of the two terms I fulfill, there shall be no wrongdoing to me; and Allah is a witness of what we say.
KHALIFA: He said, “It is an agreement between me and you. Whichever period I fulfill, you will not be averse to either one. GOD is the guarantor of what we said.”

২৮। মুসা বলেছিলো, ” আমার ও আপনার মধ্যে এই [ চুক্তি ] রইল। এই দুটি মেয়াদের যে কোনটি আমি পূর্ণ করলে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকবে না। আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি আল্লাহ্‌ তার সাক্ষী ৩৩৫৮।”

৩৩৫৮। পিতৃতন্ত্র সমাজে কন্যার পিতাকে যৌতুক প্রদান করা খুব একটা নূতন বা অভিনব কিছু নয়। তবে মুসাকে গৃহী করার মাধ্যমে আল্লাহ্‌ মানুষকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা হচ্ছে :

১) যিনি আল্লাহ্‌র ভবিষ্যতে নবী হবেন, তাকেও সাধারণ মানুষের মত দৈনন্দিক জীবনের উত্থান পতনের মাধ্যমে, আবেগ অনুভূতি অনুভবের মাঝে জীবনের পথকে অতিক্রম করতে হয়। তবে সাধারণ লোকদের থেকে তাঁর পার্থক্য হবে তিনি জীবনের এই বন্ধুর পথ অতিক্রম করেন সৌন্দর্যমন্ডিত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভাবে , যা সাধারণ লোকের পক্ষে সম্ভব নয়।

২) বিয়ের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর প্রেম ও ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপিত হয় , দৈহিক ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত দেহাতীত ভালোবাসাতে রূপান্তরিত হয়। এ ভাবেই আধ্যাত্মিক ভালোবাসার সন্ধান পাওয়া যায় যা মুসার জন্য অপেক্ষা করছিলো। মুসার জন্য ভবিষ্যতে অপেক্ষা করছিলো সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক জগতের মুক্তি ও সম্মান। এখানে শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে নারীর ভালোবাসা কোনও প্রলোভনের ফাঁদ নয়, নারীকে সাধারণত যেভাবে চিত্রায়িত করা হয়। নারী হতে পারে পুরুষের সহকর্মী, যে তাঁর সহমর্মিতায় ভালোবাসাতে স্বামীকে নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে, ঠিক যেমনটি আমাদের রসুলের [ সা ] জীবনে ছিলো বিবি খাদিজার ভূমিকা। নারীর এই ভূমিকা মুসার জীবনে নবুয়ত পাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজন ছিলো। পৃথিবীতে যে কোন মহৎ ও কল্যাণকর কার্য নারী পুরুষের সম্মিলীত প্রয়াসেই করা সম্ভব।

এই বার্তাকেই কবি নজরুল এ ভাবে ব্যক্ত করেছেন,

” বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্দ্ধেক তার সৃজিয়াছে নারী, অর্দ্ধেক তার নর। ”

আল্লাহ্‌র নবীদের জীবনীর মাধ্যমে নারীর এই ভূমিকাকেই তুলে ধরা হয়েছে। যারা ধর্মের নামে নারীকে পৃথিবীর কর্মশালা থেকে বিতাড়িত করে বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ করতে চায় তারা স্রষ্টার এই অমোঘ নিয়মকেই অস্বীকার করে থাকে।