1 of 3

025.050

এবং আমি তা তাদের মধ্যে বিভিন্নভাবে বিতরণ করি, যাতে তারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক অকৃতজ্ঞতা ছাড়া কিছুই করে না।
And indeed We have distributed it (rain or water) amongst them in order that they may remember the Grace of Allâh, but most men refuse (or deny the Truth or Faith) and accept nothing but disbelief or ingratitude.

وَلَقَدْ صَرَّفْنَاهُ بَيْنَهُمْ لِيَذَّكَّرُوا فَأَبَى أَكْثَرُ النَّاسِ إِلَّا كُفُورًا
Walaqad sarrafnahu baynahum liyaththakkaroo faaba aktharu alnnasi illa kufooran

YUSUFALI: And We have distributed the (water) amongst them, in order that they may celebrate (our) praises, but most men are averse (to aught) but (rank) ingratitude.
PICKTHAL: And verily We have repeated it among them that they may remember, but most of mankind begrudge aught save ingratitude.
SHAKIR: And certainly We have repeated this to them that they may be mindful, but the greater number of men do not consent to aught except denying.
KHALIFA: We have distributed it among them in exact measure, that they may take heed. But most people insist upon disbelieving.

৫০। এবং আমি [ ঐ পানি ] তাদের মধ্যে বিতরণ করে থাকি যেনো তারা [ আমার ] প্রশংসা কীর্তন করতে পারে ৩১০৭। কিন্তু অধিকাংশ লোক কেবল অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করে থাকে ৩১০৮।

৩১০৭। আল্লাহ্‌র করুণা আল্লাহ্‌র প্রজ্ঞারই স্বাক্ষর। পৃথিবীর বুকে পানির সুসম বন্টন সেই প্রজ্ঞারই স্বাক্ষর বহন করে। প্রকৃতিতে জীবনের জন্য যেখানে যতুটুকু বৃষ্টির প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই বন্টিত হয়েছে। আয়াত [২৫:৪৮-৫০] এর বর্ণনা ভিন্ন আঙ্গিকে তুলনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে পানিই জীবন। পানি ব্যতীত জীবন ধারণ কল্পনাও করা যায় না। এই হচ্ছে সাধারণ সত্য। এই সত্যের মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে জীবনের মহত্তর ও বৃহত্তর সত্যের প্রতি। পানিকে আধ্যাত্মিক জীবনের প্রতীক হিসেবে তুলনা করা হয়েছে। পানির উপমার মাধ্যমে এই সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে যে পানির অভাবে যেমন জীব মৃত্যুবরণ করে ঠিক সেরূপ আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশের করুণা ও নীতিমালার সঠিক প্রয়োগ ও অনুশীলন ব্যতীত আত্মার মৃত্যু [Spiritual death] ঘটে। এখানে বৃষ্টিকে আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশের সাথে প্রতীক হিসেবে তুলনা করা হয়েছে। আমাদের আত্মিক জীবন সমৃদ্ধকারী আল্লাহ্‌র করুণা বিভিন্নভাবে আমাদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করে। কখনও তা প্রত্যাদেশের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, কখনও তা আমরা বিপদ বিপর্যয়ের মাধ্যমে আত্মার মাঝে অনুভব করি। আত্মার প্রচন্ড অস্থিরতা ও বিপর্যয় , দুঃখ-ব্যথা অনেক সময়েই আমাদের মনোজগতের পরিবর্তন ঘটায়, যে পরিবর্তন আত্মার মাঝে প্রকৃত অনুভব ক্ষমতা এবং অনুধাবন ক্ষমতার জন্ম দেয়। আল্লাহ্‌র করুণাকে অনুভব করতে পারা এবং তাঁর মঙ্গলময় ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পনের মাধ্যমে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক জগতে বিরাট পরিবর্তন ঘটে যায়। মেঘ যেরূপ বৃষ্টির বার্তা বহন করে , জাগতিক বিপদ বিপর্যয়ও সেরূপ আল্লাহ্‌র রহমত ও করুণার সুখবর দান করে। বৃষ্টি যেরূপ পৃথিবীর উপরিভাগের বর্জ্য দূর করে। আল্লাহ্‌র করুণা ধারা আত্মাকে কর পরিশুদ্ধ , পাপমুক্ত। বৃষ্টি যেরূপ মরুভূমিকে শষ্য শ্যামল ভূমিতে পরিণত করে, আল্লাহ্‌র করুণাও সেরূপ ঘুমন্ত বা মৃত আত্মাকে জাগরিত করে। বৃষ্টির পানি যেরূপ ভূপৃষ্ঠের সুপেয় পানির উৎসকে স্থির রাখে , আল্লাহ্‌র করুণার ধারাও সেরূপ আধ্যাত্মিক জগতের সকল প্রয়োজনের সঠিক ধারাটি বজায় রাখে। বৃষ্টি যেরূপ সকল পৃথিবীব্যপী ঘটে থাকে, আল্লাহ্‌র করুণা ধারাও সেরূপ সকল বিশ্বব্যপী পরিব্যপ্ত। তা স্থান ও কালের উর্দ্ধে। পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ্‌র বিশ্বব্যপী করুণার সম্বন্ধে বলা হয়েছে।

৩১০৮। আল্লাহ্‌র সীমাহীন করুণার প্রেক্ষাপটে মানুষের অকৃতজ্ঞতাকে তুলনা করা হয়েছে।