1 of 3

002.194

সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর জবর দস্তি করেছে, তোমরা তাদের উপর জবরদস্তি কর, যেমন জবরদস্তি তারা করেছে তোমাদের উপর। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন।
The sacred month is for the sacred month, and for the prohibited things, there is the Law of Equality (Qisâs). Then whoever transgresses the prohibition against you, you transgress likewise against him. And fear Allâh, and know that Allâh is with Al-Muttaqûn (the pious – see V.2:2) .

الشَّهْرُ الْحَرَامُ بِالشَّهْرِ الْحَرَامِ وَالْحُرُمَاتُ قِصَاصٌ فَمَنِ اعْتَدَى عَلَيْكُمْ فَاعْتَدُواْ عَلَيْهِ بِمِثْلِ مَا اعْتَدَى عَلَيْكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ
Alshshahru alharamu bialshshahri alharami waalhurumatu qisasun famani iAAtada AAalaykum faiAAtadoo AAalayhi bimithli ma iAAtada AAalaykum waittaqoo Allaha waiAAlamoo anna Allaha maAAa almuttaqeena

YUSUFALI: The prohibited month for the prohibited month,- and so for all things prohibited,- there is the law of equality. If then any one transgresses the prohibition against you, Transgress ye likewise against him. But fear Allah, and know that Allah is with those who restrain themselves.
PICKTHAL: The forbidden month for the forbidden month, and forbidden things in retaliation. And one who attacketh you, attack him in like manner as he attacked you. Observe your duty to Allah, and know that Allah is with those who ward off (evil).
SHAKIR: The Sacred month for the sacred month and all sacred things are (under the law of) retaliation; whoever then acts aggressively against you, inflict injury on him according to the injury he has inflicted on you and be careful (of your duty) to Allah and know that Allah is with those who guard (against evil).
KHALIFA: During the Sacred Months, aggression may be met by an equivalent response. If they attack you, you may retaliate by inflicting an equitable retribution. You shall observe GOD and know that GOD is with the righteous.

১৯৪। পবিত্র মাসের বিনিময় পবিত্র মাস ২০৯। এবং সকল পবিত্র জিনিষের জন্য, [কিসাসের] সমতার বিধান রয়েছে। যদি কেহ তোমাদের পবিত্রতার সীমা-লঙ্ঘন করে তোমরাও তাদের বিরুদ্ধে অনুরূপ লঙ্ঘন কর। কিন্তু আল্লাহ্‌কে ভয় কর এবং জেনে রাখ যে, যারা নিজেকে সংযত রাখতে পারে, আল্লাহ্‌ তাদের সাথে থাকেন ২১০।

২০৯। আশহুরে-হারাম বা সম্মানিত মাস চারটি-(১) যিলকদ্ব, (২) যিলহজ্ব, (৩) মহরম, (৪) রজব। ইসলাম পূর্ব যুগেও এ চার মাস যুদ্ধ বিগ্রহকে হারাম মনে করা হতো; মক্কার মুশরিকরাও এ বিধি মেনে চলতো। এখানে আল্লাহ্‌ বলেছেন, হে মুসলমানগণ! মক্কার কাফিররা যদি তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তবে হারাম মাসে অর্থাৎ যিলকদ মাসে যুদ্ধ করতে হবে বলে তোমরা যে আশঙ্কা করছো সে সম্পর্কেও নিশ্চিত থাক। হারাম মাসে কেবল সে ক্ষেত্রেই তোমাদের জন্য যুদ্ধ নিষিদ্ধ, যে ক্ষেত্রে কাফিররা তোমাদের বিপক্ষে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে। অতএব যারা তোমাদের এই নিষিদ্ধতা মেনে চলে, তোমরাও তাদের বিপক্ষে এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চল। আর যদি তারা তোমাদের সঙ্গে এই নিষিদ্ধতা মেনে না চলে, তোমাদের বিপক্ষে সীমা অতিক্রম করে, তবে তোমরাও তাদের প্রতি ততটুকুই সীমা অতিক্রম কর, যতটুকু তারা করেছে। আর এসব নির্দেশাবলী পালনে আল্লাহ্‌কে ভয় কর, যাতে সমতার ভিত্তিতে (Law of equality) সবকিছু হয়। আল্লাহ্‌ তায়ালার দান ও রহমত ঐসব আল্লাহ্‌ ভীরুদের সঙ্গে থাকে, যারা কোন ক্ষেত্রেই আইনের সীমা অতিক্রম করে না।

২১০। যদিও আল্লাহ্‌ মুসলমানদের যুদ্ধের হুকুম দিয়েছেন কিন্তু একই সাথে আত্মসংযমের আদেশ দিচ্ছেন। শক্তি প্রয়োগের এক ধরণের মাদকতা আছে। কিন্তু ধ্বংসের জন্য এ শক্তি প্রয়োগ নিষেধ। শুধুমাত্র আত্মরক্ষা ও অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করা চলবে। মানুষের স্বভাবধর্ম এই যে শক্তির স্বাদ একবার পেলে সে শক্তি মদমত্ত হয়ে যায়। তাই আল্লাহ্‌র হুকুম হচ্ছে প্রয়োজনে অস্ত্র ধরবে কিন্তু সর্বদা নিজেকে সংযত রাখবে। যারা শক্তিধর হয়েও আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে সংযত রাখে আল্লাহ্‌র কাছে তারা মুত্তাকী। আল্লাহ্‌র হুকুম হচ্ছে যুদ্ধ করবে নীতিগত কারণে অন্ধ আবেগ ত্বারিত হয়ে নয়। নীতির জন্য প্রয়োজনে প্রাণ বিসর্জন দেবে এবং শহীদ হবে। আবেগ ত্বারিত এবং আক্রোশ দ্বেষ বা হিংসা চরিতার্থ করার জন্য যুদ্ধ করা না জায়েজ।