1 of 3

040.033

যেদিন তোমরা পেছনে ফিরে পলায়ন করবে; কিন্তু আল্লাহ থেকে তোমাদেরকে রক্ষাকারী কেউ থাকবে না। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
“A Day when ye shall turn your backs and flee: No defender shall ye have from Allah. Any whom Allah leaves to stray, there is none to guide…

يَوْمَ تُوَلُّونَ مُدْبِرِينَ مَا لَكُم مِّنَ اللَّهِ مِنْ عَاصِمٍ وَمَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِنْ هَادٍ
Yawma tuwalloona mudbireena ma lakum mina Allahi min AAasimin waman yudlili Allahu fama lahu min hadin

YUSUFALI: “A Day when ye shall turn your backs and flee: No defender shall ye have from Allah: Any whom Allah leaves to stray, there is none to guide…
PICKTHAL: A day when ye will turn to flee, having no preserver from Allah: and he whom Allah sendeth astray, for him there is no guide.
SHAKIR: The day on which you will turn back retreating; there shall be no savior for you from Allah, and whomsoever Allah causes to err, there is no guide for him:
KHALIFA: “That is the day when you may wish to turn around and flee. But nothing will protect you then from GOD. Whomever GOD sends astray, nothing can guide him.”

৩৩। ” সেদিন যখন তোমরা তোমাদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে এবং পলায়ন করবে, আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে তোমরা কোন রক্ষাকারী পাবে না। আল্লাহ্‌ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন পথ প্রদর্শক নাই।

৩৪। ” ইহার পূর্বে তোমাদের নিকট ইউসুফ এসেছিলো , স্পষ্ট নিদর্শন সহ ৪৪০৫ , কিন্তু সে তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছিলো তোমরা [ তার উপদেশ সম্বন্ধে ] সন্দেহ করা থেকে বিরত থাক নাই। অবশেষে সে যখন পরলোকে গমন করলো তখন তোমরা বললে, ” তার পরে আর কোন রাসুল আল্লাহ্‌ প্রেরণ করবেন না। ” এভাবেই যারা সীমালংঘন করে এবং সন্দেহের মধ্যে থাকে আল্লাহ্‌ তাদের পথ ভ্রান্ত করেন, ৪৪০৬

৪৪০৫। এতক্ষণ সার্বজনীনভাবে ধর্মীয় ইতিহাসের ঐতিহ্য বা ধারাকে তুলে ধরা হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে নির্দ্দিষ্ট ভাবে মিশরবাসীদের সম্বোধন করে, মিশরে হযরত ইউসুফের নবুয়তের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। হযরত ইউসুফের জন্য দেখুন সূরা নং ১২। ইউসুফ মিশরে জন্মগ্রহণ করেন নাই বা তিনি মিশরবাসীও ছিলেন না। আল্লাহ্‌র পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি মিশরে নীত হন। তাঁর নিজের ভাইদের ষড়যন্ত্রের শীকার হন তিনি। কি অদ্ভুদ ভাবে তিনি মিশরে নীত হন এবং মিশরে উজীরের পরিবারে দত্তক পুত্র হিসেবে গৃহিত হন। মানুষের অন্যায় , ঘৃণা, বিস্মৃতি তার জীবনকে অমানিশার অন্ধকারে ঢেকে দেয় , কিন্তু তার মাঝেই ছিলো প্রভাতের সোনালী সূর্যের ইশারা। ইউসুফের দুর্যোগের ও অন্যায়ের দিন শেষ হয়ে যায় , এবং শেষ পর্যন্ত তিনি মিশরের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন এবং মিশরকে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে রক্ষা করেন। তিনি সত্যের প্রচার করেন কয়েদখানায় বন্দীদের মাঝে, আজিজের স্ত্রীর নিকট , মিশরের সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোকদের মাঝে এবং শেষ পর্যন্ত ফেরাউনের রাজসভায়। মিশরবাসীরা তার কার্যদ্বারা জাগতিক দিক থেকে লাভবান হয় সত্য, কিন্তু তারা ইউসুফের নিকট থেকে কোনও আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে গ্রহণ করে নাই। কারণ তারা ছিলো সংশয়বাদী বা সন্দেহবাতিক জাতি। তারা এবং তাদের পরবর্তী বহু প্রজন্ম ইউসুফের প্রচারিত সত্যকে গ্রহণ করে নাই।
উপদেশ : আল্লাহ্‌র অস্তিত্বে যারা সংশয়বাদী ও সত্যকে গ্রহণের ব্যাপারে যারা সীমালংঘনকারী তারা কখনও সঠিক পথের সন্ধান লাভ করবে না। কারণ আল্লাহ্‌ তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে দেবেন।

৪৪০৬। হযরত ইউসুফের সময়ে ইসরাঈলীরা মিশরে আগমন করে। মিশর বাসীদের ধারণা ছিলো ইউসুফের পরে আল্লাহ্‌ আর কোনও রাসুল প্রেরণ করবেন না। কিন্তু ইউসুফের পরে আল্লাহ্‌ মিশরে হযরত মুসাকে প্রেরণ করেন ইসরাঈলীদের উদ্ধারের জন্য। কারণ ইতিমধ্যে মিশরবাসীরা ইউসুফের আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে অবহেলা করে ইসরাঈলীদের উপরে নির্যাতন , অত্যাচার ও অবিচার আচরণ করে থাকেন। কারণ তারা ইউসুফের কার্যের পরিণতির সুফল ভোগ করতে আগ্রহী , কিন্তু অনুধাবনে অক্ষম যে, আল্লাহ্‌র আইন সর্বযুগে সর্বক্ষেত্রে একই ভাবে কাজ করে যায়। যদিও মানুষ তা অগ্রাহ্য ও অবহেলা করে থাকে। হযরত ইউসুফ ও হযরত মুসার মধ্যে সময়ের পার্থক্য ২-৩ শত বৎসর। একটি সুসভ্য জাতির জন্য এই সময় খুব বেশী লম্বা নয় যে তারা ইউসুফের শিক্ষাকে ভুলে যাবে। সংশয়বাদীরা ও সীমালংঘনকারীরা সর্বদাই বিভ্রান্তিতে ভুগবে এই আল্লাহ্‌র আইন।