সেখানে তারা আর্ত চিৎকার করে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, বের করুন আমাদেরকে, আমরা সৎকাজ করব, পূর্বে যা করতাম, তা করব না। (আল্লাহ বলবেন) আমি কি তোমাদেরকে এতটা বয়স দেইনি, যাতে যা চিন্তা করার বিষয় চিন্তা করতে পারতে? উপরন্তু তোমাদের কাছে সতর্ককারীও আগমন করেছিল। অতএব আস্বাদন কর। জালেমদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই।
Therein they will cry: ”Our Lord! Bring us out, we shall do righteous good deeds, not (the evil deeds) that we used to do.” (Allâh will reply): ”Did We not give you lives long enough, so that whosoever would receive admonition, – could receive it? And the warner came to you. So taste you (the evil of your deeds). For the Zâlimûn (polytheists and wrongdoers, etc.) there is no helper.”
وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَا أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُم مَّا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَن تَذَكَّرَ وَجَاءكُمُ النَّذِيرُ فَذُوقُوا فَمَا لِلظَّالِمِينَ مِن نَّصِيرٍ
Wahum yastarikhoona feeha rabbana akhrijna naAAmal salihan ghayra allathee kunna naAAmalu awa lam nuAAammirkum ma yatathakkaru feehi man tathakkara wajaakumu alnnatheeru fathooqoo fama lilththalimeena min naseerin
YUSUFALI: Therein will they cry aloud (for assistance): “Our Lord! Bring us out: we shall work righteousness, not the (deeds) we used to do!” – “Did We not give you long enough life so that he that would should receive admonition? and (moreover) the warner came to you. So taste ye (the fruits of your deeds): for the wrong-doers there is no helper.”
PICKTHAL: And they cry for help there, (saying): Our Lord! Release us; we will do right, not (the wrong) that we used to do. Did not We grant you a life long enough for him who reflected to reflect therein? And the warner came unto you. Now taste (the flavour of your deeds), for evil-doers have no helper.
SHAKIR: And they shall cry therein for succour: O our Lord ! take us out, we will do good deeds other than those which we used to do. Did We not preserve you alive long enough, so that he who would be mindful in it should mind? And there came to you the warner; therefore taste; because for the unjust, there is no helper.
KHALIFA: They will scream therein, “Our Lord, if you get us out of here, we will work righteousness, instead of the works we used to do.” Did we not give you a life-long chance, with continuous reminders for those who would take heed? Did you not receive the warner? Therefore, taste (the consequences). The transgressors will have no one to help them.
৩৭। [ সাহায্যের জন্য ] সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, ” হে আমাদের প্রভু! আমাদের [এখান থেকে ] বের করে নাও ৩৯২৬। আমরা সৎকাজ করবো ৩৯২৭ ; পূর্বে যে [ কাজ ] করতাম তা করবো না। ” [আল্লাহ্ বলবেন ] , ” আমি কি তোমাদের যথেষ্ট দীর্ঘ জীবন দান করি নাই , যেনো তোমরা উপদেশ গ্রহণ করতে পার ? [উপরন্তু ] তোমাদের নিকট একজন সর্তককারীও এসেছিলো। সুতারাং [ তোমাদের কৃতকর্মের ফল ] আস্বাদন কর ৩৯২৮। পাপীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নাই।”
৩৯২৬। দেখুন আয়াত [ ৩৩ : ১০৭ ]। জাহান্নামে পাপীদের অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে এখানে পাপীদের মানসিক অবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের যে শুধু বাহ্যিক যন্ত্রনা ভোগ করতে হবে তাই-ই নয়, তারা মানসিক দিক থেকেও প্রচন্ড যন্ত্রণার সম্মুখীন হবে। মানসিক ভাবে তারা হবে অপমানিত , করুণার পাত্র ; – তারা আল্লাহ্র করুণা ভিক্ষা করে বারে বারে আবেদন করবে যে, তারা পৃথিবীতে তাদের পূর্ব কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত,তাদের নিষ্কৃতি দিয়ে আর একবার সুযোগ দান করা হোক। কিন্তু অতীতকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না, পরলোকের, ভবিষ্যত জীবনের সুখের রাস্তা তারা নিজ হাতে বন্ধ করে দিয়েছে। আয়াত [ ৬ : ২৮ ] এ আল্লাহ্ বলেছেন এ সব অপরাধীদের সুযোগ দান করা বৃথা , তারা আবার তাদের পাপের পুণরাবৃত্তি ঘটাবে। ” যদি তারা পুণঃ প্রেরিত হয়, তবুও তাই করবে , যা তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিলো। ”
৩৯২৭। দেখুন [ ৭ : ৫৩ ]। অপরাধী পাপীরা আল্লাহ্র কাছে করুণা ভিক্ষা করে বলবে যে, তাদের আর একবার সুযোগ দান করা হোক। কিন্তু পৃথিবীতে তাদের সাবধান করা সত্ত্বেও তারা পাপের পঙ্কে নিমজ্জিত ছিলো। সুতারাং তাদের এই আবেদন অর্থহীন।
৩৯২৮। পৃথিবীতে আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের দীর্ঘ সময় দান করেন, অনুতাপের মাধ্যমে আত্মসংশোধনের দ্বারা পাপের পথ পরিত্যাগ পূর্বক আল্লাহ্র প্রদর্শিত পথে ফিরে আসার জন্য।
৩৯২৮। বিশ্ব প্রকৃতি আল্লাহ্র নির্ধারিত আইনে চলে। প্রকৃতির আইন অক্ষরে অক্ষরে মানা হয়। যে কেউ প্রকৃতির আইনের বাইরে যেতে চায় তার ধ্বংস অনিবার্য। ঠিক সেভাবেই ইতিহাস বলে যে, যে জাতি আল্লাহ্র প্রদত্ত নৈতিক আইনকে অস্বীকার করেছে, তার ধ্বংস অনিবার্য। এগুলি হচ্ছে বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে আল্লাহ্র নিদর্শন আদম সন্তানদের জন্য। এ ব্যতীত প্রতিটি লোকই আত্মার মাঝে ন্যায় -অন্যায়কে বিচার করার সামর্থ রাখে , উপরন্তু আল্লাহ্ যুগে যুগে নবী রসুলদের প্রেরণ করেছেন মানুষকে ন্যায়-অন্যায় , পাপ-পূণ্য , ভালো-মন্দ,সত্য -অসত্য শিক্ষাদান করার জন্য। এত কিছুর পরেও যাদের জ্ঞান চক্ষুর উম্মীলন ঘটে না , তারা ‘জালিম’ বই আর কিছু নয়। এক্ষেত্রে দোযখের শাস্তি হচ্ছে তাদের কর্মের অবধারিত ফল যা তারা দুনিয়াতে অর্জন করেছে।