1 of 3

035.027

তুমি কি দেখনি আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন, অতঃপর তদ্দ্বারা আমি বিভিন্ন বর্ণের ফল-মূল উদগত করি। পর্বতসমূহের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বর্ণের গিরিপথ-সাদা, লাল ও নিকষ কালো কৃষ্ণ।
See you not that Allâh sends down water (rain) from the sky, and We produce therewith fruits of varying colours, and among the mountains are streaks white and red, of varying colours and (others) very black.

أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ أَنزَلَ مِنَ السَّمَاء مَاء فَأَخْرَجْنَا بِهِ ثَمَرَاتٍ مُّخْتَلِفًا أَلْوَانُهَا وَمِنَ الْجِبَالِ جُدَدٌ بِيضٌ وَحُمْرٌ مُّخْتَلِفٌ أَلْوَانُهَا وَغَرَابِيبُ سُودٌ
Alam tara anna Allaha anzala mina alssama-i maan faakhrajna bihi thamaratin mukhtalifan alwanuha wamina aljibali judadun beedun wahumrun mukhtalifun alwanuha wagharabeebu soodun

YUSUFALI: Seest thou not that Allah sends down rain from the sky? With it We then bring out produce of various colours. And in the mountains are tracts white and red, of various shades of colour, and black intense in hue.
PICKTHAL: Hast thou not seen that Allah causeth water to fall from the sky, and We produce therewith fruit of divers hues; and among the hills are streaks white and red, of divers hues, and (others) raven-black;
SHAKIR: Do you not see that Allah sends down water from the cloud, then We bring forth therewith fruits of various colors; and in the mountains are streaks, white and red, of various hues and (others) intensely black?
KHALIFA: Do you not realize that GOD sends down from the sky water, whereby we produce fruits of various colors? Even the mountains have different colors; the peaks are white, or red, or some other color. And the ravens are black.

রুকু – ৪

২৭। তুমি কি দেখ না আল্লাহ্‌ আকাশ থেকে বৃষ্টি প্রেরণ করেন ? এর দ্বারা আমি কৃষিজাত দ্রব্যে নানা বর্ণের বিকাশ ঘটাই ৩৯১০ ; এবং পর্বতে রয়েছে বিভিন্ন স্তরে রংএর মাত্রা – শুভ্র, লাল,ও নিকষ কালো ৩৯১১।

৩৯১০। এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ মানব সম্প্রদায়কে আহ্বান করেছেন প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে তাঁর শিল্পসত্ত্বাকে অনুভব করার জন্য। বৃষ্টি,মাটিকে সজীব করে দেয়, এবং পৃথিবীকে ফুল, ফল ও শষ্যে ভরিয়ে দেয়। রং এর বাহারে প্রকৃতি পৃথিবীর অঙ্গনকে ভরিয়ে তোলে। সোনালী , সবুজ , লাল , হলুদ প্রভৃতি বিভিন্ন রং বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষে , ফুলে , লতায় পাতায় বিরাজমান। তাদের গঠন প্রকৃতি সবই সেই বিশ্ব স্রষ্টার শিল্প সত্ত্বার প্রকাশ মাত্র। এ সব লতা পাতা প্রতিটি ঋতুতে, ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন রংএর সমারোহে ভরে যায়। পাতা ঝরার মেলায় বৃক্ষের এক রং, নূতন পাতায় আবার অন্য রং ; ফুলের সৌন্দর্য , রং গন্ধ এক কথায় বিশ্ব প্রকৃতির এই পরিবর্তন , আকাশে রং এর খেলা সৌন্দর্যের প্রকাশ সবই অনুভবের জিনিষ যে অনুভব পার্থিব থেকে অপার্থিব অনুভূতিতে ভরিয়ে দেবে।

৩৯১১। আল্লাহ্‌র শিল্প সত্ত্বার প্রকাশ যে শুধুমাত্র উদ্ভিদ জগতের মাঝে দেখা যায় তাই নয়। সারাটা পৃথিবীই তাঁর শিল্প সত্ত্বা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রকাশ মাত্র। এই আয়াতে দুইটা উদাহরণের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র শিল্প সত্ত্বাকে অনুভব করতে বলা হয়েছে। প্রথমটির কথা আলোচনা করা হয়েছে – তা হচ্ছে উদ্ভিদ জগত। দ্বিতীয়টি হচ্ছে উদ্ভিদের বিপরীত কঠিন প্রাণহীন শিলা। জীবন্ত , সজীব ,নরম ও রঙ্গীন উদ্ভিদ জগত এক মেরুতে , ঠিক তার বিপরীতে কঠিন, প্রাণহীন , বৃক্ষলতাহীন কঠিন শিলার স্তুপ। কিন্তু এই কঠিন প্রাণহীন শিলাস্তুপের আছে বিভিন্ন রং , শ্বেত মর্মর ,স্ফটিক অথবা খড়িমাটি ,লাল পাথরের পাহাড় , নীল ঘোর বর্ণের আগ্নেয় শিলা ,গাড় কালো রং এর চকমকি পাথরের পাহাড় ইত্যাদি বিভিন্ন বর্ণের পাহাড় প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে আছে। নীল আকাশের পটভূমিতে কঠিন শিলার রংএর বাহার মানুষের মনকে মুগ্ধ না করে পারে না। যদি কেউ আমেরিকার এরিজোনার স্থানটি শেষ বিকালের আলোয় অতিক্রম করে থাকেন তবে আকাশের পটভূমিতে সূর্যাস্তে এই সব বিভিন্ন রংয়ের পাথরের পাহাড়ের রূপ বিশ্বস্রষ্টার শিল্প সত্ত্বাকে অনুভবের পর্যায়ে পৌছিয়ে দিতে সক্ষম। আকাশের পটভূমিতে দূর থেকে সুউচ্চ পর্বতে মেঘের আনাগোনা,সূর্যদয় , সূর্যাস্ত, প্রভৃতি দৃশ্য আমাদের চিন্তার জগতকে আরও সূদূরে প্রসারিত করে। লক্ষ্যণীয় যে দুই বিপরীত মেরুর দুইটি প্রাকৃতিক বস্তুর উদাহরণের মাধ্যমে আল্লাহ্‌ বিশ্ব প্রকৃতির অন্যান্য জিনিষের সৌন্দর্যকে অনুভব করতে বলেছেন।