দুর্বলরা অহংকারীদেরকে বলবে, বরং তোমরাই তো দিবারাত্রি চক্রান্ত করে আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যেন আমরা আল্লাহকে না মানি এবং তাঁর অংশীদার সাব্যস্ত করি তারা যখন শাস্তি দেখবে, তখন মনের অনুতাপ মনেই রাখবে। বস্তুতঃ আমি কাফেরদের গলায় বেড়ী পরাব। তারা সে প্রতিফলই পেয়ে থাকে যা তারা করত।
Those who were deemed weak will say to those who were arrogant: ”Nay, but it was your plotting by night and day, when you ordered us to disbelieve in Allâh and set up rivals to Him!” And each of them (parties) will conceal their own regrets (for disobeying Allâh during this worldly life), when they behold the torment. And We shall put iron collars round the necks of those who disbelieved. Are they requited aught except what they used to do?
وَقَالَ الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا لِلَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا بَلْ مَكْرُ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ إِذْ تَأْمُرُونَنَا أَن نَّكْفُرَ بِاللَّهِ وَنَجْعَلَ لَهُ أَندَادًا وَأَسَرُّوا النَّدَامَةَ لَمَّا رَأَوُا الْعَذَابَ وَجَعَلْنَا الْأَغْلَالَ فِي أَعْنَاقِ الَّذِينَ كَفَرُوا هَلْ يُجْزَوْنَ إِلَّا مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
Waqala allatheena istudAAifoo lillatheena istakbaroo bal makru allayli waalnnahari ith ta/muroonana an nakfura biAllahi wanajAAala lahu andadan waasarroo alnnadamata lamma raawoo alAAathaba wajaAAalna al-aghlala fee aAAnaqi allatheena kafaroo hal yujzawna illa ma kanoo yaAAmaloona
YUSUFALI: Those who had been despised will say to the arrogant ones: “Nay! it was a plot (of yours) by day and by night: Behold! Ye (constantly) ordered us to be ungrateful to Allah and to attribute equals to Him!” They will declare (their) repentance when they see the Penalty: We shall put yokes on the necks of the Unbelievers: It would only be a requital for their (ill) Deeds.
PICKTHAL: Those who were despised say unto those who were proud: Nay but (it was your) scheming night and day, when ye commanded us to disbelieve in Allah and set up rivals unto Him. And they are filled with remorse when they behold the doom; and We place carcans on the necks of those who disbelieved. Are they requited aught save what they used to do?
SHAKIR: And those who were deemed weak shall say to those who were proud. Nay, (it was) planning by night and day when you told us to disbelieve in Allah and to set up likes with Him. And they shall conceal regret when they shall see the punishment; and We will put shackles on the necks of those who disbelieved; they shall not be requited but what they did.
KHALIFA: The followers will say to their leaders, “It was you who schemed night and day, then commanded us to be unappreciative of GOD, and to set up idols to rank with Him.” They will be ridden with remorse, when they see the retribution, for we will place shackles around the necks of those who disbelieved. Are they not justly requited for what they did?
৩৩। যারা ছিলো নগণ্য তারা ক্ষমতাদর্পীদের বলবে, ” না বরং এটা ছিলো [তোমাদের ] দিনরাত্রির ষড়যন্ত্র ৩৮৩৮। স্মরণ কর ! তোমরা [ অবিরত ] আমাদের আদেশ দিতে যেনো আমরা আল্লাহ্র প্রতি অকৃতজ্ঞ হতে পারি এবং তার সাথে সমান অংশীদারিত্ব আরোপ করি।” ৩৮৩৯। যখন তারা শাস্তিকে প্রত্যক্ষ করবে, তারা [তাদের ] অনুতাপ ঘোষণা করবে ৩৮৪০। আমি অবিশ্বাসীদের গলায় বেড়ী পরাবো। এটা হবে শুধুমাত্র তাদের [মন্দ ] কর্মের প্রতিদান।
৩৮৩৮। যারা বুদ্ধিমান এবং প্রভাবশালী ছিলো , তারা দুর্বল চিত্তদের ও অজ্ঞদের নিজেদের অধীনে রাখার জন্য দিবা রাত্র চক্রান্ত করতো যেনো তারা কিছু জানতে না পারে এবং অজ্ঞ থাকে। তারা তাদের পাপের পথে পরিচালিত করে যেনো এ ভাবে দুর্বল ও অজ্ঞদের তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৩৮৩৯। যদি মানুষ প্রকৃত ঈমানদার হয় এবং শুধুমাত্র আল্লাহ্র উপাসনা করে তবে তারা কখনও অন্যায় ও অসত্যের আশ্রয় গ্রহণ করবে না। কারণ ঈমানের দৃঢ়তা শুধুমাত্র মৌখিক নয় – কাজের মাধ্যমেই প্রকৃত ঈমানের প্রকাশ ঘটে। আল্লাহ্ যে সব কাজকে নিষেধ করেছেন , যদি আল্লাহ্কে খুশী করার জন্য দৃঢ়ভাবে তা থেকে বিরত থাকতে পারে – তবেই সে প্রকৃত ঈমানদার। প্রকৃত ঈমানদার কখনও অন্যায় ও অসত্যের আশ্রয় গ্রহণ করবে না। ঈমানদারদের পদ দলিত করা বা এদের উপর প্রভুত্ব করা সহজ নয়। কারণ তারা শুধুমাত্র আল্লাহ্র নিকট মাথা নত করে থাকে। সুতারাং ক্ষমতাদর্পীরা তাদের ক্ষমতার ভিত্তিকে মজবুত করার জন্য আল্লাহ্র হুকুম সমূহ অমান্য করার জন্য সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করে। আর এই কাজের জন্য তারা প্রতারণা ও অন্যায়ের আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। মানুষকে তারা মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার জন্য উদ্বুদ্ধ করে -যা অন্যায় ও অসত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত।
৩৮৪০। দেখুন আয়াত [ ১০ : ৫৪ ] এবং টিকা ১৪৪৫। শেষ বিচারের দিনে পরস্পরের প্রতি অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে কোন সুফল বয়ে আনবে না। ভয়ঙ্কর সে দিনে সকলেই প্রকৃত সত্যকে অনুধাবন করতে পারবে। পৃথিবীতে যে সব ঘটনা তাদের চোখে মায়া অঞ্জন পরিয়েছিলো , পরলোকে সকল মিথ্যা, সকল প্রতারণা , সকল প্রচার, ভান, মিথ্যা জাহির সব কিছু বিদূরিত হয়ে সত্যের প্রকৃত রূপ উদ্ভাসিত হবে। সেদিন অন্যায়কারী ,পাপীর অন্তর অনুতাপে পূর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু অনুতাপ করার জন্য তখন আর কোনও সময় থাকবে না। তাদের মন্দ বা পাপ কাজ তাদের গলদেশে জোয়ালের ন্যায় বেষ্টন করে থাকবে। একেই বলা হয়েছে , “গন্ডদেশে বেড়ী পরাইব।” মানুষ পৃথিবীতে যে যা করে – ভালো কাজ বা মন্দ কাজ – তার প্রতিক্রিয়া তার মনোজগতকে আচ্ছন্ন করে রাখে। এ ভাবেই সে পৃথিবীর জীবনে প্রতিনিয়ত মন্দ কাজে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তার চিন্তা-ভাবনার জগত সেই কাজের পরিণতিতে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। যা ভালো , সুন্দর , পূণ্য তা বোঝার ক্ষমতা তার থাকে না। সে হিসেবে পৃথিবীতেই অন্যায়কারীর গলদেশে শৃঙ্খলিত হয়ে পড়ে যা বাহ্যিক ভাবে দৃষ্টিগোচর হয় না। মৃত্যুর পরে পাপীদের কর্মফল জোয়ালের ন্যায় পাপীদের স্কন্ধে চেপে বসবে। পৃথিবীতে তারা তাদের আত্মাকে পাপ কাজের দাসে পরিণত করেছিলো , সেই দাসত্বের জোয়াল থেকে তাদের মুক্তি ঘটবে না। এটাই হবে তাদের জন্য আল্লাহ্র ন্যায় বিচার। তাদের পাপ কাজ-ই তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।