তিনি জানেন যা ভূগর্ভে প্রবেশ করে, যা সেখান থেকে নির্গত হয়, যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয় এবং যা আকাশে উত্থিত হয়। তিনি পরম দয়ালু ক্ষমাশীল।
He knows that which goes into the earth and that which comes forth from it, and that which descend from the heaven and that which ascends to it. And He is the Most Merciful, the OftForgiving.
يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنزِلُ مِنَ السَّمَاء وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ الرَّحِيمُ الْغَفُورُ
YaAAlamu ma yaliju fee al-ardi wama yakhruju minha wama yanzilu mina alssama-i wama yaAAruju feeha wahuwa alrraheemu alghafooru
YUSUFALI: He knows all that goes into the earth, and all that comes out thereof; all that comes down from the sky and all that ascends thereto and He is the Most Merciful, the Oft-Forgiving.
PICKTHAL: He knoweth that which goeth into the earth and that which cometh forth from it, and that descendeth from the heaven and that which ascendeth into it. He is the Merciful, the Forgiving.
SHAKIR: He knows that which goes down into the earth and that which comes out of it, and that which comes down from the heaven and that which goes up to it; and He is the Merciful, the Forgiving.
KHALIFA: He knows everything that goes into the earth, and everything that comes out of it, and everything that comes down from the sky, and everything that climbs into it. He is the Most Merciful, the Forgiving.
০২। তিনি জানেন, ভূমিতে যা কিছু প্রবেশ করে ৩৭৮৬ এবং যা কিছু উহা থেকে বের হয়; যা কিছু আকাশ থেকে পতিত হয় ৩৭৮৭ এবং যা কিছু উহাতে আরোহণ করে। এবং তিনি অতীব দয়াময় , ক্ষমাশীল।
৩৭৮৬। বিজ্ঞানে সুন্দর এক তত্ব রয়েছে , যা বিবৃত করে যে : বস্তুর ধ্বংস নাই ; তা শুধু এক রূপ থেকে অন্যরূপ ধারণ করে। শুধু অজ্ঞ লোকেরাই ধারণা করে যে, মাটি পানিকে শোষণ করে নিয়ে পানিকে অস্তিত্ব বিহীন করে ফেলে। অথবা বীজ মাটির নীচে হারিয়ে যায়। পৃথিবীতে কিছুই হারায় না। যে পানি মাটিতে প্রবেশ করে হারিয়ে যায়, সেই পানি-ই পরবর্তীতে নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-কূপ, প্রভৃতি পরিপূর্ণ করতে সাহায্য করে, পৃথিবীর উদ্ভিদ জগতকে বাঁচিয়ে রাখে, নূতন উদ্ভিদের জন্ম দেয় এবং কোটি কোটি প্রাণকে বাঁচিয়ে রাখে। সৃষ্টির আদি থেকে কোটি কোটি ধরণের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে আসছে, এবং নির্দ্দিষ্ট সময় অন্তে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ; নূতন প্রাণের জন্ম হচ্ছে আবার তা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে – কিন্তু স্রষ্টার সৃষ্টি নৈপুন্যে কিছুই সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যায় না। জীবন ও মৃত্যু, ধ্বংস ও সৃষ্টি পাশাপাশি কাজ করে যায়। চক্রাকারে তা আবর্তিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। এ সবই হচ্ছে প্রতীক, যার মাধ্যমে পার্থিব জ্ঞানের পরিধি অপার্থিব জ্ঞানকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। আমরা মানব সন্তানের জন্ম ও মৃত্যুকে অহরহ প্রত্যক্ষ করে থাকি। এই মৃত্যু হচ্ছে মানবের দৈহিক বা পার্থিব বা জান্তব অংশের মৃত্যু। যখন মৃত ব্যক্তিকে মাটির নীচে কবর দেয়া হয়, অজ্ঞ ব্যক্তিরা মনে করতে পারে যে মৃতের সব শেষ হয়ে গেলো বা সে অস্তিত্ব বিহীন হয়ে গেলো। কিন্তু আল্লাহ্র নিকট কিছুই হারায় না।
৩৭৮৭। সুন্দর উপমার মাধ্যমে আল্লাহ্র করুণা ও দয়ার চিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে। পানি বাস্প হয়ে আকাশে উত্থিপ হয় এবং বৃষ্টিরূপ রহমত স্বরূপ মাটিতে ঝরে পড়ে মাটিকে সজীব করে থাকে। ঠিক সেরূপই হচ্ছে আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও করুণা। দুঃখে-বিপদে, বিপর্যয়ে ,মানুষ যখন আন্তরিক ভাবে প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহকে ডাকে, আল্লাহ্র সাহায্য , পথনির্দ্দেশ প্রার্থনাকারীর সকল সত্তাকে বিধৌত করে দেয়। এ অভিজ্ঞতা প্রতিটি বিজ্ঞ জনেই জীবনের বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের সময়ে লাভ করেছেন। সুতারাং এ কথা আমরা যেনো ভুলে না যাই যে, আল্লাহ্ পরম করুণাময় ও দয়ালু আবার তিনি ন্যায়বিচারক ও শাস্তি দানেও সক্ষম।