তোমরা কি দেখ না আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে যাকিছু আছে, সবই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করে দিয়েছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামতসমূহ পরিপূর্ন করে দিয়েছেন? এমন লোক ও আছে; যারা জ্ঞান, পথনির্দেশ ও উজ্জল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বাকবিতন্ডা করে।
See you not (O men) that Allâh has subjected for you whatsoever is in the heavens and whatsoever is in the earth, and has completed and perfected His Graces upon you, (both) apparent (i.e Islâmic Monotheism, and the lawful pleasures of this world, including health, good looks, etc.) and hidden [i.e. One’s Faith in Allâh (of Islâmic Monotheism) knowledge, wisdom, guidance for doing righteous deeds, and also the pleasures and delights of the Hereafter in Paradise, etc.]? Yet of mankind is he who disputes about Allâh without knowledge or guidance or a Book giving light!
أَلَمْ تَرَوْا أَنَّ اللَّهَ سَخَّرَ لَكُم مَّا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَأَسْبَغَ عَلَيْكُمْ نِعَمَهُ ظَاهِرَةً وَبَاطِنَةً وَمِنَ النَّاسِ مَن يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَلَا هُدًى وَلَا كِتَابٍ مُّنِيرٍ
Alam taraw anna Allaha sakhkhara lakum ma fee alssamawati wama fee al-ardi waasbagha AAalaykum niAAamahu thahiratan wabatinatan wamina alnnasi man yujadilu fee Allahi bighayri AAilmin wala hudan wala kitabin muneerin
YUSUFALI: Do ye not see that Allah has subjected to your (use) all things in the heavens and on earth, and has made his bounties flow to you in exceeding measure, (both) seen and unseen? Yet there are among men those who dispute about Allah, without knowledge and without guidance, and without a Book to enlighten them!
PICKTHAL: See ye not how Allah hath made serviceable unto you whatsoever is in the skies and whatsoever is in the earth and hath loaded you with His favours both without and within? Yet of mankind is he who disputeth concerning Allah, without knowledge or guidance or a scripture giving light.
SHAKIR: Do you not see that Allah has made what is in the heavens and what is in the earth subservient to you, and made complete to you His favors outwardly and inwardly? And among men is he who disputes in respect of Allah though having no knowledge nor guidance, nor a book giving light.
KHALIFA: Do you not see that GOD has committed in your service everything in the heavens and the earth, and has showered you with His blessings – obvious and hidden? Yet, some people argue about GOD without knowledge, without guidance, and without the enlightening scripture.
রুকু – ৩
২০। তোমরা কি দেখ না, আল্লাহ্ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করেছেন ৩৬০৫ এবং তোমাদের প্রতি পূর্ণ করে দিয়েছেন তাঁর প্রকাশ্য ও অদৃশ্য [ উভয় ] নেয়ামত সমূহ ৩৬০৬। তবুও মানুষের মধ্যে অনেকে আছে যারা আল্লাহ্র সম্বন্ধে তর্ক করে, তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে পথের নির্দ্দেশ এবং না কোন দীপ্তিমান কিতাব ৩৬০৭।
৩৬০৫। এই বিশাল বিশ্ব ভূবন আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় নাই। আল্লাহ্র করুণা অসীম, তিনি মানুষকে ক্ষমতা দান করেছেন যেনো, বিশ্ব প্রকৃতির সকল শক্তিকে সে পদানত করতে পারে। মানুষ তাঁর বিচার শক্তি ও কল্পনা শক্তি প্রয়োগ দ্বারা প্রকৃতির সকল রহস্য উদ্ঘাটনে সমর্থ। মানুষকে আল্লাহ্ প্রকৃতির সকল কিছু জয় করার ক্ষমতা দান করেছেন। শুধু তাই নয়, মানুষের জন্য মৃত্যুর পরে রয়েছে অন্য আর এক জীবন।
৩৬০৬। “প্রকাশ্য ও অদৃশ্য অনুগ্রহ” – আল্লাহ্র অনুগ্রহ বিশ্ব ভূমন্ডলে সর্বত্র ছড়ানো। তাঁর অনুগ্রহের কোন সীমা পরিসীমা নাই। কখনও আমরা তা অনুভব করি, আবার কখনও তা অনুধাবন করতে পারি না। মানুষের জ্ঞান সীমিত। সুতারাং আল্লাহ্র সকল অনুগ্রহ মানুষের পক্ষে উপলব্ধি করা বা অনুধাবন করা এক অসম্ভব ব্যাপার। মানুষের জানা বা বোঝার বাইরেও রয়েছে মানুষের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহের বিশাল ভান্ডার। যারা আধ্যাত্মিক জগতে অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন , তারা সামান্য পরিমাণে অনুভবে সমর্থ হন আল্লাহ্র অনুগ্রহের এই বিশাল ভান্ডার। তবে অধিকাংশই আমাদের অগোচরে থেকে যায়। আমরা বুঝি বা না বুঝি, আল্লাহ্র অনুগ্রহ মানুষের কল্যাণের জন্য সকল সময় নিয়োজিত থাকে।
৩৬০৭। যারা অজ্ঞ, তারা বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে আল্লাহ্র উপস্থিতি অনুভবে ব্যর্থ। তারা তাদের অর্ন্তদৃষ্টিকে ব্যবহারে অসমর্থ, তাঁরা যা ব্যবহার করে তা হচ্ছে তাদের আবেগ। আর আবেগের তাড়নায় তারা সত্যকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে অসমর্থ হয়। ফলে তারা সঠিক পথ নির্দ্দেশ পায় না। যেহেতু তারা সত্যকে প্রত্যাখান করে থাকে, সেই কারণে আল্লাহ্র প্রেরিত প্রত্যাদেশের সুফল এবং আধ্যাত্মিক অর্ন্তদৃষ্টি লাভে অসমর্থ হয়। এরাই আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা বিতন্ডা করে।