আপনি নিক্ষেপ করুন আপনার লাঠি। অতঃপর যখন তিনি তাকে সর্পের ন্যায় ছুটাছুটি করতে দেখলেন, তখন তিনি বিপরীত দিকে ছুটতে লাগলেন এবং পেছন ফিরেও দেখলেন না। হে মূসা, ভয় করবেন না। আমি যে রয়েছি, আমার কাছে পয়গম্বরগণ ভয় করেন না।
”And throw down your stick!” But when he saw it moving as if it were a snake, he turned in flight, and did not look back. (It was said): ”O Mûsa (Moses)! Fear not, verily! The Messengers fear not in front of Me.
وَأَلْقِ عَصَاكَ فَلَمَّا رَآهَا تَهْتَزُّ كَأَنَّهَا جَانٌّ وَلَّى مُدْبِرًا وَلَمْ يُعَقِّبْ يَا مُوسَى لَا تَخَفْ إِنِّي لَا يَخَافُ لَدَيَّ الْمُرْسَلُونَ
Waalqi AAasaka falamma raaha tahtazzu kaannaha jannun walla mudbiran walam yuAAaqqib ya moosa la takhaf innee la yakhafu ladayya almursaloona
YUSUFALI: “Now do thou throw thy rod!” But when he saw it moving (of its own accord)as if it had been a snake, he turned back in retreat, and retraced not his steps: “O Moses!” (it was said), “Fear not: truly, in My presence, those called as messengers have no fear,-
PICKTHAL: And throw down thy staff! But when he saw it writhing as it were a demon, he turned to flee headlong; (but it was said unto him): O Moses! Fear not! the emissaries fear not in My presence,
SHAKIR: And cast down your staff. So when he saw it in motion as if it were a serpent, he turned back retreating and did not return: O Musa! fear not; surely the messengers shall not fear in My presence;
KHALIFA: “Throw down your staff.” When he saw it moving like a demon, he turned around and fled. “O Moses, do not be afraid. My messengers shall not fear.
০৯। হে মুসা ! অবশ্যই আমি মহাপরাক্রমশালী , প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্।
১০। ” এখন তুমি তোমার লাঠিটি নিক্ষেপ কর ৩২৪৬।” কিন্তু যখন সে উহাকে সাপের মত [ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে ] নড়াচড়া করতে দেখলো , সে পিছন ফিরে পশ্চাদপসরণ করলো এবং আর সামনে গেলো না। [ বলা হলো ], ” হে মুসা! ভয় পেয়ো না : কেননা যাদের রাসুল বলা হয়, তাদের আমার সান্নিধ্যে কোন ভয় নাই , ৩২৪৭ –
৩২৪৬। হযরত মুসা এখন এক সম্পূর্ণ পরিবর্তিত মানুষ। স্বর্গীয় আলোর স্পর্শে তিনি আত্মিক দিক থেকে এক নূতন পৃথিবীর সন্ধান পেয়েছেন। যা তিনি মনে করেছিলেন সাধারণ আগুন তা ছিলো স্বর্গীয় আলোর বিচ্ছুরণ। জাগতিক জীবনের মলিনতার উর্দ্ধে ঐশ্বরিক আলোর ভূবনে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঐশ্বরিক আলোর মাধ্যমে তিনি দিব্যজ্ঞান ও ক্ষমতা লাভ করেন। তাঁর মেষ চরানোর সাধারণ লাঠি আর প্রাণহীন লাঠিমাত্র ছিলো না। তা রূপান্তরিত হয় জীবন্ত প্রাণীতে। জীবনের সকল অনুভব সে লাঠিতে বিরাজ করে। ঠিক সেই রকম স্বর্গীয় আলোর সংস্পর্শে হযরত মুসা সম্পূর্ণ পরিবর্তিত মানুষে পরিণত হন। মুসার পরিবর্তন বর্ণনা করা হয়েছে পরবর্তী টিকাতে।
৩২৪৭। হযরত মুসা এখন সম্পূর্ণ নূতন এক আধ্যাত্মিক জগতে আগমন করেছেন। এই নূতন জগতের অপূর্ব সৌন্দর্য ও আলোর ঝলকানি তাঁকে ভীত ও সন্ত্রস্ত করে তোলে। অন্ধকার থেকে আলোতে হঠাৎ প্রবেশ কালে চক্ষুকে যেরূপ আলোর সাথে বিন্যস্ত করে নিতে হয়, সেরূপ আধ্যাত্মিক ভাবে ঐশ্বরিক আলোতে আলোকিত উদ্ভাসিত জগতের সাথে সামঞ্জস্য বিধানে মুসাকে চেষ্টা করতে হয়। প্রাণহীন লাঠি সাপে রূপান্তরিত হওয়ার ফলে তিনি ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। যদিও লাঠিটি ছিলো তাঁর প্রতিদিনের সঙ্গী, মেষ চারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ। এখন হযরত মুসার কর্মক্ষেত্র পরিবর্তিত হয়েছে। মেষ পাল পরিচালনার পরিবর্তে এখন তাঁকে ইসরাঈলীদের রাসুল রূপে প্রেরণ করা হবে ; তাই তাঁর লাঠিকেও পরিবর্তিত কর্মক্ষেত্রের উপযোগী করা হয়। সুতারাং তাঁর মন থেকে সকল ভয় দূর করতে বলা হয় – কারণ তিনি আল্লাহ্ কর্তৃক নির্বাচিত ব্যক্তি।