তারা কেন এ ব্যাপারে চার জন সাক্ষী উপস্থিত করেনি; অতঃপর যখন তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।
Why did they not produce four witnesses? Since they (the slanderers) have not produced witnesses! Then with Allâh they are the liars.
لَوْلَا جَاؤُوا عَلَيْهِ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَإِذْ لَمْ يَأْتُوا بِالشُّهَدَاء فَأُوْلَئِكَ عِندَ اللَّهِ هُمُ الْكَاذِبُونَ
Lawla jaoo AAalayhi bi-arbaAAati shuhadaa fa-ith lam ya/too bialshshuhada-i faola-ika AAinda Allahi humu alkathiboona
YUSUFALI: Why did they not bring four witnesses to prove it? When they have not brought the witnesses, such men, in the sight of Allah, (stand forth) themselves as liars!
PICKTHAL: Why did they not produce four witnesses? Since they produce not witnesses, they verily are liars in the sight of Allah.
SHAKIR: Why did they not bring four witnesses of it? But as they have not brought witnesses they are liars before Allah.
KHALIFA: Only if they produced four witnesses (you may believe them). If they fail to produce the witnesses, then they are, according to GOD, liars.
১৩। কেন তারা প্রমাণ স্বরূপ চারজন সাক্ষী উপস্থিত করলো না ? ২৯৬৬। যেহেতু তারা সাক্ষী উপস্থিত করে নাই সে কারণে , তারা আল্লাহ্র নিকট মিথ্যাবাদী।
২৯৬৬। যদি কেহ সন্দেহ পোষণই করে থাকে, তবে তারা তা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে গ্রহণ করে নাই কেন ? অপবাদ রটনা না করে তাদের উচিত ছিলো এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানো এবং প্রকৃত সত্যকে উদ্ঘাটন করা এবং চারজন সাক্ষীকে সংগ্রহ করা। যেহেতু তারা কুৎসা রটনা ব্যতীত সত্যকে প্রমাণ করার জন্য কোন উদ্যোগই গ্রহণ করে নাই , সুতারাং তারা মিথ্যাবাদী ও অপবাদ রটনাকারী রূপে চিহ্নিত এবং তার দরুণ যে শাস্তি, তা তাদের প্রাপ্য।
মন্তব্য : উপরের আয়াতগুলির মাধ্যমে মহিলাদের রক্ষা করার কি অপূর্ব বিধান আল্লাহ্ প্রেরণ করেছেন। হযরত আয়েশা [রা] পর্দ্দা প্রথা চালু হওয়ার পরেও মহিলা হওয়া সত্বেও যুদ্ধের মত কঠিন কর্মে অংশ গ্রহণ করেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে , পর্দ্দা প্রথা সত্বেও, মহিলাদের বাইরের পৃথিবীর কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে কোনও আয়াত অবতীর্ণ হয় নাই। বরং এসব মিথ্যা কুৎসা রটনাকারীদের কঠোর শাস্তির বর্ণনা করে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ মেয়েদের কর্ম জগত শুধুমাত্র ঘরে-ই আল্লাহ্ সীমাবদ্ধ রাখেন নাই। বাইরেও তাদের কর্ম জগতের অবশ্যই বিস্তৃতি ঘটবে এবং সেখানে যারা এসব মহিলাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করবে পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন তাদের আশিটি বেত্রাঘাত ও নাগরিক অধিকার হরণ করা হবে। সুতারাং বাহিরের কর্মজগত মহিলাদের কাজের উপযোগী করার নির্দ্দেশই দেয়া হয়েছে পুরুষদের। বিবি আয়েশার [রা ] জীবনের মাধ্যমে আল্লাহ্ বিশ্বের নারী জাতির ভবিষ্যতকে নিরাপদ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় মুসলিম সমাজ কোরানের এই শিক্ষা থেকে বহু দূরে।