1 of 3

023.083

অতীতে আমাদেরকে এবং আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদাই দেয়া হয়েছে। এটা তো পূর্ববতীদের কল্প-কথা বৈ কিছুই নয়।
”Verily, this we have been promised, we and our fathers before (us)! This is only the tales of the ancients!”

لَقَدْ وُعِدْنَا نَحْنُ وَآبَاؤُنَا هَذَا مِن قَبْلُ إِنْ هَذَا إِلَّا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ
Laqad wuAAidna nahnu waabaona hatha min qablu in hatha illa asateeru al-awwaleena

YUSUFALI: “Such things have been promised to us and to our fathers before! they are nothing but tales of the ancients!”
PICKTHAL: We were already promised this, we and our forefathers. Lo! this is naught but fables of the men of old.
SHAKIR: Certainly we are promised this, and (so were) our fathers aforetime; this is naught but stories of those of old.
KHALIFA: “Such promises were given to us and to our parents in the past. These are no more than tales from the past.”

৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?

৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”

৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”

৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্‌র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”

২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্‌ বলে স্বীকার করে। দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।