023.051

হে রসূলগণ, পবিত্র বস্তু আহার করুন এবং সৎকাজ করুন। আপনারা যা করেন সে বিষয়ে আমি পরিজ্ঞাত।
O (you) Messengers! Eat of the Taiyibât [all kinds of Halâl (legal) foods which Allâh has made legal (meat of slaughtered eatable animals, milk products, fats, vegetables, fruits, etc.], and do righteous deeds. Verily! I am Well-Acquainted with what you do.

يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ
Ya ayyuha alrrusulu kuloo mina alttayyibati waiAAmaloo salihan innee bima taAAmaloona AAaleemun

YUSUFALI: O ye messengers! enjoy (all) things good and pure, and work righteousness: for I am well-acquainted with (all) that ye do.
PICKTHAL: O ye messengers! Eat of the good things, and do right. Lo! I am Aware of what ye do.
SHAKIR: O messengers! eat of the good things and do good; surely I know what you do.
KHALIFA: O you messengers, eat from the good provisions, and work righteousness. I am fully aware of everything you do.

রুকু – ৪

৫১। হে রাসুলগণ ! [ সকল ] ভালো ও পবিত্র বস্তু উপভোগ কর , এবং সৎ কাজ কর। নিশ্চয়ই তোমরা যা কিছু কর [ সে সব ] সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত ২৯০৮।

২৯০৮। “উপভোগ কর” বাক্যটি প্রতীক অর্থে ব্যবহৃত। দেখুন টিকা ৭৭৬ এবং আয়াত [ ৫ : ৬৬ ] যেখানে শব্দটির ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই আয়াতে সুস্পষ্ট নির্দ্দেশ আছে যে, যারা আল্লাহ্‌র রাসুল, নবী বা ওলী তাদেরও কঠোর সংযমী হওয়ার প্রয়োজন নাই। আল্লাহ্‌ প্রদত্ত সকল নেয়ামত তারা ভোগ করবে এবং সে জন্য আল্লাহ্‌র দরবারে তারা কৃতজ্ঞতা জানাবে। এখানেই ইসলামের সৌন্দর্য। খৃষ্টান, ইহুদী ও পৃথিবীর বহু ধর্মে সংসার ত্যাগী সাধু, সন্ন্যাসীদের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ইসলাম সংসার ত্যাগ করে শুধু মাত্র ধর্মকে অবলম্বন করা অনুমোদন করে না। দ্বীন ও দুনিয়া এই দুয়ে মিলেই ইসলাম ধর্ম। দুনিয়া ব্যতীত দ্বীনকে ইসলাম অনুমোদন করে না। কারণ একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে যে, ধর্মীয় বিধান হচ্ছে জীবনের মূল নৈতিক নীতিমালা , যা সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুষ্ঠ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। যে সমাজ আল্লাহ্‌র প্রেরিত নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত সে সমাজ উন্নতি লাভে শীর্ষে অবস্থান করবে। উদাহরণ : যেমন সততা – যদি সমাজে সততা বিরাজ করে , তবে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার লাভ ঘটবে। যদি ন্যায় বিরাজ করে তবে সমাজের প্রতিটি ক্রিয়াকর্ম সুষ্ঠভাবে সম্পাদিত হবে। যদি গরীবের প্রতি নিষ্পেষণ না করা হয়, তবে সমাজের প্রতিটি নাগরিক সমভাবে বাঁচার অধিকার লাভ করবে। এ ভাবে আল্লাহ্‌র প্রেরিত প্রতিটি নৈতিক নীতিমালা একটি সমাজকে সুখী ও সমৃদ্ধিশালী হতে সাহায্য করে। সুতারাং ইসলাম ও জীবন ব্যবস্থা কোনও পৃথক ব্যবস্থা নয়।